নেত্রকোনার মদন সরকারি হাজী আব্দুল আজিজ খান ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ ও প্রভাষকদের বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দূর্নীতির অভিযোগ তদন্তে ময়মনসিংহ অঞ্চলের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা পরিচালকসহ তিন সদস্যের তদন্ত টিম মঙ্গলবার কলেজে পরিদর্শন করে তদন্ত কাজ পরিচালনা করেন।
গত ২৯ জুলাই ২০১৯ ইং তারিখে উক্ত কলেজের অধ্যক্ষ ও কয়েকজন প্রভাষকের অনিয়ম ও দূর্নীতির বিরুদ্ধে এলাকাবাসির পক্ষে জসীম উদ্দিনসহ কয়েকজন শিক্ষা সচিব বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। এতে অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাৎ, কর্মস্থলে অনুপস্থিত থেকে দুই জন প্রভাষকের বেতন ভাতা উত্তোলন, ইংরেজি প্রভাষক আজিজুল হকের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ ও জাল সর্টিফিকেটে চাকরি নেয়ার অভিযোগ রয়েছে। এরই প্রেক্ষিতে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা (মাউশি) অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের নির্দেশে ময়মনসিংহ অঞ্চলের পরিচালক প্রফেসর মোঃ আজহারুল হকের নেতৃত্বে তিন সদস্যের তদন্ত টিম মঙ্গলবার কলেজে উপস্থিত হয়ে তদন্ত কাজ পরিচালনা করেন। এ সময় তদন্ত টিম অভিযোগকারীসহ কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, অভিভাবক, গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও সংশ্লিষ্ট অধ্যক্ষ-প্রভাষকদের সঙ্গে পৃথক সাক্ষাৎকার গ্রহণ করেন।
এ বিষয়ে তদস্ত টিমের সাথে কথা বললে, টিমের প্রধান ময়মনসিংহ অঞ্চলের পরিচালক প্রফেসর মোঃ আজহারুল হক জানান, ‘একটি কলেজের অধ্যক্ষ ও প্রভাষকদের বিরুদ্ধে এ ধরনের অভিযোগ উঠা খুবই দুঃখ জনক। মাউশির মহাপরিচালকের নির্দেশে আমরা তদন্ত করার জন্য মঙ্গলবার এসেছি। অভিযোগকারী, শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গের সাথে আমরা কথা বলেছি এবং অভিযোগের বিষয়ে তাদের লিখিত মতামত নিয়েছি। একই সঙ্গে যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উত্থাপন করা হয়েছে তাদের বক্তব্যও নিয়েছি। তিনি আরো জানান, তদন্ত রিপোর্ট দ্রæতই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট জমা দিতে পারবো এবং অচিরেই বিষয়টি সুন্দর ও সুষ্ঠুভাবে সমাধান হবে’।
মদন ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ শফিকুল ইসলাম জানান, উত্থাপিত অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত টিমের কাছে লিখিত জবাব দিয়েছি।
অভিযোগকারীদের পক্ষে জসীম উদ্দিন জানান, তদন্ত টিমের কাছে লিখিত ভাবে জবাব দিয়েছি। আমি এর সুষ্টু তদন্ত ও দায়িদের বিরুদ্ধে ন্যায় বিচার চাই।