নেত্রকোনা ০১:১২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মদন সরকারি ডিগ্রী কলেজের অনিয়ম-দূর্নীতির তদন্তে পরিদর্শন টিম

নেত্রকোনার মদন সরকারি হাজী আব্দুল আজিজ খান ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ ও প্রভাষকদের বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দূর্নীতির অভিযোগ তদন্তে ময়মনসিংহ অঞ্চলের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা পরিচালকসহ তিন সদস্যের তদন্ত টিম মঙ্গলবার কলেজে পরিদর্শন করে তদন্ত কাজ পরিচালনা করেন।

গত ২৯ জুলাই ২০১৯ ইং তারিখে উক্ত কলেজের অধ্যক্ষ ও কয়েকজন প্রভাষকের অনিয়ম ও দূর্নীতির বিরুদ্ধে এলাকাবাসির পক্ষে জসীম উদ্দিনসহ কয়েকজন শিক্ষা সচিব বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। এতে অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাৎ, কর্মস্থলে অনুপস্থিত থেকে দুই জন প্রভাষকের বেতন ভাতা উত্তোলন, ইংরেজি প্রভাষক আজিজুল হকের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ ও জাল সর্টিফিকেটে চাকরি নেয়ার অভিযোগ রয়েছে। এরই প্রেক্ষিতে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা (মাউশি) অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের নির্দেশে ময়মনসিংহ অঞ্চলের পরিচালক প্রফেসর মোঃ আজহারুল হকের নেতৃত্বে তিন সদস্যের তদন্ত টিম মঙ্গলবার কলেজে উপস্থিত হয়ে তদন্ত কাজ পরিচালনা করেন। এ সময় তদন্ত টিম অভিযোগকারীসহ কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, অভিভাবক, গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও সংশ্লিষ্ট অধ্যক্ষ-প্রভাষকদের সঙ্গে পৃথক সাক্ষাৎকার গ্রহণ করেন।

এ বিষয়ে তদস্ত টিমের সাথে কথা বললে, টিমের প্রধান ময়মনসিংহ অঞ্চলের পরিচালক প্রফেসর মোঃ আজহারুল হক জানান, ‘একটি কলেজের অধ্যক্ষ ও প্রভাষকদের বিরুদ্ধে এ ধরনের অভিযোগ উঠা খুবই দুঃখ জনক। মাউশির মহাপরিচালকের নির্দেশে আমরা তদন্ত করার জন্য মঙ্গলবার এসেছি। অভিযোগকারী, শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গের সাথে আমরা কথা বলেছি এবং অভিযোগের বিষয়ে তাদের লিখিত মতামত নিয়েছি। একই সঙ্গে যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উত্থাপন করা হয়েছে তাদের বক্তব্যও নিয়েছি। তিনি আরো জানান, তদন্ত রিপোর্ট দ্রæতই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট জমা দিতে পারবো এবং অচিরেই বিষয়টি সুন্দর ও সুষ্ঠুভাবে সমাধান হবে’।

মদন ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ শফিকুল ইসলাম জানান, উত্থাপিত অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত টিমের কাছে লিখিত জবাব দিয়েছি।

অভিযোগকারীদের পক্ষে জসীম উদ্দিন জানান, তদন্ত টিমের কাছে লিখিত ভাবে জবাব দিয়েছি। আমি এর সুষ্টু তদন্ত ও দায়িদের বিরুদ্ধে ন্যায় বিচার চাই।

 

 

আপনার মন্তব্য লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষণ করুন

প্রকাশক ও সম্পাদক সম্পর্কে-

আমি মো. শফিকুল আলম শাহীন। আমি একজন ওয়েব ডেভেলপার ও সাংবাদিক । আমি পূর্বকণ্ঠ অনলাইন প্রকাশনার সম্পাদক ও প্রকাশক। আমি জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে ইতিবাচক। আমি করতে, দেখতে এবং অভিজ্ঞতা করতে পছন্দ করি এমন অনেক কিছু আছে। আমি আইটি সেক্টর নিয়ে বিভিন্ন এক্সপেরিমেন্ট করতে পছন্দ করি। যেমন ওয়েব পেজ তৈরি করা, বিভিন্ন অ্যাপ তৈরি করা, অনলাইন রেডিও স্টেশন তৈরি করা, অনলাইন সংবাদপত্র তৈরি করা ইত্যাদি। আমাদের প্রকাশনা “পূর্বকন্ঠ” স্বাধীনতার চেতনায় একটি নিরপেক্ষ জাতীয় অনলাইন । পাঠক আমাদের সবচেয়ে বড় অনুপ্রেরনা। পূর্বকণ্ঠ কথা বলে বাঙালির আত্মপ্রত্যয়ী আহ্বান ও ত্যাগে অর্জিত স্বাধীনতার। কথা বলে স্বাধীনতার চেতনায় উদ্বুদ্ধ হতে। ছড়িয়ে দিতে এ চেতনা দেশের প্রত্যেক কোণে কোণে। আমরা রাষ্ট্রের আইন কানুন, রীতিনীতির প্রতি শ্রদ্ধাশীল। দেশপ্রেম ও রাষ্ট্রীয় আইন বিরোধী এবং বাঙ্গালীর আবহমান কালের সামাজিক সহনশীলতার বিপক্ষে পূর্বকন্ঠ কখনো সংবাদ প্রকাশ করে না। আমরা সকল ধর্মমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল, কোন ধর্মমত বা তাদের অনুসারীদের অনুভূতিতে আঘাত দিয়ে আমরা কিছু প্রকাশ করি না। আমাদের সকল প্রচেষ্টা পাঠকের সংবাদ চাহিদাকে কেন্দ্র করে। তাই পাঠকের যে কোনো মতামত আমরা সাদরে গ্রহন করব।
জনপ্রিয়

পূর্বধলায় রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় মুক্তিযোদ্ধা আলাউদ্দিনের দাফন সম্পন্ন

মদন সরকারি ডিগ্রী কলেজের অনিয়ম-দূর্নীতির তদন্তে পরিদর্শন টিম

আপডেট : ০৫:২৬:৫৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০১৯

নেত্রকোনার মদন সরকারি হাজী আব্দুল আজিজ খান ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ ও প্রভাষকদের বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দূর্নীতির অভিযোগ তদন্তে ময়মনসিংহ অঞ্চলের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা পরিচালকসহ তিন সদস্যের তদন্ত টিম মঙ্গলবার কলেজে পরিদর্শন করে তদন্ত কাজ পরিচালনা করেন।

গত ২৯ জুলাই ২০১৯ ইং তারিখে উক্ত কলেজের অধ্যক্ষ ও কয়েকজন প্রভাষকের অনিয়ম ও দূর্নীতির বিরুদ্ধে এলাকাবাসির পক্ষে জসীম উদ্দিনসহ কয়েকজন শিক্ষা সচিব বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। এতে অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাৎ, কর্মস্থলে অনুপস্থিত থেকে দুই জন প্রভাষকের বেতন ভাতা উত্তোলন, ইংরেজি প্রভাষক আজিজুল হকের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ ও জাল সর্টিফিকেটে চাকরি নেয়ার অভিযোগ রয়েছে। এরই প্রেক্ষিতে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা (মাউশি) অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের নির্দেশে ময়মনসিংহ অঞ্চলের পরিচালক প্রফেসর মোঃ আজহারুল হকের নেতৃত্বে তিন সদস্যের তদন্ত টিম মঙ্গলবার কলেজে উপস্থিত হয়ে তদন্ত কাজ পরিচালনা করেন। এ সময় তদন্ত টিম অভিযোগকারীসহ কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, অভিভাবক, গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও সংশ্লিষ্ট অধ্যক্ষ-প্রভাষকদের সঙ্গে পৃথক সাক্ষাৎকার গ্রহণ করেন।

এ বিষয়ে তদস্ত টিমের সাথে কথা বললে, টিমের প্রধান ময়মনসিংহ অঞ্চলের পরিচালক প্রফেসর মোঃ আজহারুল হক জানান, ‘একটি কলেজের অধ্যক্ষ ও প্রভাষকদের বিরুদ্ধে এ ধরনের অভিযোগ উঠা খুবই দুঃখ জনক। মাউশির মহাপরিচালকের নির্দেশে আমরা তদন্ত করার জন্য মঙ্গলবার এসেছি। অভিযোগকারী, শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গের সাথে আমরা কথা বলেছি এবং অভিযোগের বিষয়ে তাদের লিখিত মতামত নিয়েছি। একই সঙ্গে যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উত্থাপন করা হয়েছে তাদের বক্তব্যও নিয়েছি। তিনি আরো জানান, তদন্ত রিপোর্ট দ্রæতই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট জমা দিতে পারবো এবং অচিরেই বিষয়টি সুন্দর ও সুষ্ঠুভাবে সমাধান হবে’।

মদন ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ শফিকুল ইসলাম জানান, উত্থাপিত অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত টিমের কাছে লিখিত জবাব দিয়েছি।

অভিযোগকারীদের পক্ষে জসীম উদ্দিন জানান, তদন্ত টিমের কাছে লিখিত ভাবে জবাব দিয়েছি। আমি এর সুষ্টু তদন্ত ও দায়িদের বিরুদ্ধে ন্যায় বিচার চাই।