বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, বিএনপিকে নিয়ে বিচলিত হবার কোন কারন নেই। বিএনপি এখন নিজেদের মধ্যেই হানাহানি করে নিজেরাই ধ্বংশ হয়ে যাচ্ছে ।
বিএপিকে ধংশ করতে বিএনপিই যথেষ্ট। বিএনপি বলেন র্যাব-পুলিশ দিয়ে বিএনপিকে ধ্বংশ করা হচ্ছে। আমরা বলি বিএনপিকে ধ্বংশ করতে র্যাব-পুলিশের প্রয়োজন নেই তারা নিজেরাই ধ্বংশ হচ্ছে। বিএনপি এখন বাংলাদেশের নালিশী পার্র্টি। তারা জনগণের সমর্থন হারিয়ে কোন ইস্যু না পেয়ে এখন বিদেশীদের কাছে ধর্ণা দিয়ে নালিশ করছে। বিদেশীদের কাছে নালিশ, প্রেস ব্রিফিং-এ নালিশ। তিনি বলেন, আন্দোলনে জনগণের কোন সাড়া না পেয়ে তারা সন্ত্রাশী পথ বেছে নিয়েছে।
তিনি বলে, বেগম খালেদা জিয়ার মামলাকে কেন্দ্র করে চক্রান্তের পথ বেছে নিয়েছে, সংঘাতের পথ বেছে নিয়েছে। বিএনপি কোন আইন মানে না, আদালত মানে না, বিচার মানেনা। সেই বিএনপির নেতিবাচক রাজনীতি জনগনের কাছে আস্থাহীনতার পরিচয় দিচ্ছে।
বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১১টায় কুষ্টিয়া ইসলামিয়া কলেজ মাঠে কুষ্টিয়া জেলা আওয়ামীলীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ সব কথা বলেন। জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব সদর উদ্দিন খান এর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আজগর আলীর পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব-উল আলম হানিফ এমপি ও আব্দুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, সদস্য এস এম কামাল হোসেন, পারভীন জামান কল্পনা, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি মন্ডলীর সদস্য পিযুষ কান্তি ভট্টাচার্য্য, জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন, উপ-দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়–য়া, নির্বাহী সদস্য ঝিনাইদহের অধ্যক্ষ কামরুজ্জামান, সংসদ সদস্য শেখ সারহান নাসের তন্ময়, কুষ্টিয়া- ১ আসনের সংসদ সদস্য আ, কা,ম সরওয়ার জাহান বাদশা, কুষ্টিয়া- ৪ আসনের সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার সেলিম আলতাফ জর্জসহ কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামীলীগ জনগনের দল, তাই ত্যাগী নেতাদেরকেই দলেস্থান দিতে হবে। দল ভারী করতে দলের মধ্যে খারাপ লোক প্রবেশ ঘটিয়ে দলের ভাবমূর্তী নষ্ট করা যাবে না। দলের ভিতর ঘুপটি মেরে থাকা খারাপ লোকদেরকে বের করে দেয়ারও আহবান করেন। কমিটিতে আত্মীয় স্বজন, আত্মীয়করণ করে পকেট কমিটি না করার নির্দেশ দেন ।
সম্মেলন শেষে আলহাজ্ব সদর উদ্দিন খানকে সভাপতি, হাজী রবিউল ইসলাম ও জাহিদ হোসেন জাফরকে সহ-সভাপতি ও আজগর আলীকে সাধারণ সম্পদক করে কুষ্টিয়া জেলা আওয়ামীলীগের ৩ বছর মেয়াদী নতুন কমিটি ঘোষনা করেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। এই কমিটি পূর্ণাঙ্গ কমিটি করবেন বলে ঘোষনা দেন তিনি।
সম্মেলন শুরুতে জেলার ৬টি উপজেলা থেকে খন্ড খন্ড মিছিল নিয়ে কয়েক হাজার নেতা কর্মী সম্মেলন স্থলে উপস্থিত হয়। সকাল সাড়ে ১০টার মধ্যে ইসলামিয়া কলেজ মাঠ সম্মেলন স্থল কানায় কানায় পরিপূর্ন হয়ে যায়। শ্লোগানে শ্লোগানে সম্মেলনস্থল মুখরিত হয়ে উঠে। সকাল সাড়ে ১১টায় জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্যদিয়ে সম্মেলনের কার্যক্রম শুরু হয়।
