ছাত্রলীগের একাধিক নেতা বলছেন, এর আগে হল কমিটি করার ক্ষেত্রে কিছুটা সময় নেয়া হতো। তবে অন্যান্যবারের তুলনায় এবার আগে হল কমিটি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার নেতৃবৃন্দ। তবে গত সেপ্টেম্বরে দুর্নীতির অভিযোগে ছাত্রলীগের সভাপতি রেজোওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন ও সাধারণ সম্পাদক গোলাম রব্বানীর অব্যাহতির পর নতুন নেতৃত্ব আসায় সেখানে একটা সমন্বয়হীনতার সৃষ্টি হয়েছিল। সমন্বয়হীনতা ফিরিয়ে আনতে সময় নেয় ছাত্রলীগের বর্তমান নেতৃবৃন্দ। তবে ২০১৯ সালের ৩১ জুলাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ কমিটির এক বছর পূর্ণ হওয়ার সাথেই ছাত্রলীগের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী মেয়াদ শেষ হয়েছে কমিটির।
তবে এই কমিটির মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই বিশ্ববিদ্যালয় শাখার কমিটি পূর্ণাঙ্গ করা হলেও আটকা পড়ে হল কমিটি। গঠনতন্ত্র অনুযায়ী, ছাত্রলীগের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা সাংগঠনিক জেলার মর্যাদা পায়। আর জেলা শাখার মেয়াদ এক বছর। সে হিসেবে গত বছরের ৩১ জুলাই শেষ হয়েছে বর্তমান কমিটির মেয়াদ। বাংলাদেশ ছাত্রলীগের গঠনতন্ত্রের ১০ (খ) ধারায় বলা হয়েছে, ‘জেলা শাখার কার্যকাল এক বছর। জেলা শাখাকে উপরিউক্ত সময়ের মধ্যে নির্বাচিত কর্মকর্তাদের হাতে দায়িত্বভার বুঝিয়ে দিতে হবে। বিশেষ পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের অনুমোদনক্রমে ৯০ দিন সময় বৃদ্ধি করা যাবে। এই সময়ের মধ্যে সম্মেলন না হলে জেলা কমিটি বিলুপ্ত বলে গণ্য হবে।’ গঠনতান্ত্রিক বাধ্যবাধকতা থাকলেও নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে হল সম্মেলন ও হল কমিটি দিতে পারেনি ঢাবি ছাত্রলীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক। এর আগে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ছাত্রলীগকে হল কমিটি করার নির্দেশনা প্রদান করেন। এর পরপরই ফেব্রুয়ারি মাসেই কমিটি গঠনের উদ্যোগ নেয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় হল কমিটি গঠন করার কথা বলেন।
এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় বলেন, আমরা হল সম্মেলন করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছি। ফেব্রুয়ারির ৭ থেকে ১৫ তারিখের মধ্যে আমরা সম্মেলনের তারিখ দেবো। সম্মেলনের পরপরই কমিটি ঘোষণা করা হবে।