নেত্রকোনা ১১:২৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পৌনে ২ কোটি টাকার রাস্তা ৫ মাসেই শেষ !

১২শ’ ৮৫ মিটার রাস্তার মধ্যে প্রায় ৫শ’ ৮৫ মিটার কার্পেটিং রাস্তা নির্মাণের ৫ মাসের মাথায় নষ্ট হয়ে গেছে। নিম্নমানের ইট বালি ও পিচ দেওয়ার কারণে অধিকাংশ স্থানে গর্তসহ রাস্তা ধসে ও দেবে গেছে।

এ চিত্র নেত্রকোনার পূর্বধলা উপজেলা হেডকোয়াটার (রেল স্টেশন)-পূর্বধলা জিসি সড়কের। এ ঘটনায় পথচারী ও সাধারণ মানুষসহ এলাকাবাসীর মনে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

পূর্বধলা উপজেলা প্রকৌশল অফিস সূত্রে জানা গেছে, পূর্বধলা রেল স্টেশন বাজার থেকে পূর্বধলা বাজার পর্যন্ত জিওবিএম প্রকল্পের আওতায় ১ কোটি ৫৭ লাখ ৬২ হাজার টাকা ব্যয়ে ১২শ’ ৮৫ মিটার রাস্তার কাজ গত বছরের ডিসেম্বর মাসে শুরু হয়ে চলতি বছরের মে মাসে শেষ হয়। এর মধ্যে ৭ শ’ মিটার ছিল আরসিসি ও ৫শ’ ৮৫ মিটার ছিল কার্পেটিং এর কাজ। কাজটি করেছেন স্থানীয় এমএম আর এন্টারপ্রাইজ নামে ঠিকাদারী প্রতিষ্টানের মালিক মো. মোখলেছুর রহমান হাসান।

স্থানীয়দের অভিযোগ, রাস্তা নির্মাণের কয়েকদিন পর বিভিন্ন স্থানে গর্ত হয়ে দেবে গেছে। অনেক স্থান উঁচু-নিচু হয়ে গেছে। তাদের অভিযোগ রাস্তায় কাজ করার সময় ঠিকাদার নিম্নমানের ইটের সুরকি, বালি ও পুরাতন পিচ তুলে তার ওপরেই পিচ ঢেলে রোলার টেনেছেন। যার কারণে রাস্তা দেবে সরকারের সব টাকা গচ্ছা গেছে।

নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠানের ঠিকাদার মো. মোখলেছুর রহমান হাসান বলেন, কাজ চলাকালিন সময়ে ভারী যানবাহন চলাচলের জন্য কিছু কিছু জায়গা ভেঙ্গে গেছে। তাছাড়া অতিবৃষ্টি ও পানি নিষ্কাশনের সুবিধা না থাকায় পানি জমে কিছু কিছু জায়গা ভেঙ্গে গেছে। উপজেলা প্রকৌশলীর সাথে যোগাযোগ করে আবারও মেরামতের চেষ্টা করবো।

উপজেলা প্রকৌশলী সাদিকুল জাহান রিদান বলেন, কাজ চলাকালিন সময়ে বেশ কিছু ভারী যানবাহন চলাচলের জন্য কিছু কিছু জায়গা ভেঙ্গে গেছে। তাছাড়া ওই রাস্তার পাশে আবাসিক এলাকার একটি ড্রেনের পানি রাস্তায় নিষ্কাশিত হওয়ায় সেখানের কিছু অংশ ভেঙ্গে গেছে। বিষয়টি নিয়ে আমি ইউএনও স্যারের সাথে কথা বলেছি। যে সব জায়গায় গর্তসহ রাস্তা ধসে ও দেবে গেছে তা সংস্কারের জন্য টিকাদারকে বলা হয়েছে।

আপনার মন্তব্য লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষণ করুন

প্রকাশক ও সম্পাদক সম্পর্কে-

আমি মো. শফিকুল আলম শাহীন। আমি একজন ওয়েব ডেভেলপার ও সাংবাদিক । আমি পূর্বকণ্ঠ অনলাইন প্রকাশনার সম্পাদক ও প্রকাশক। আমি জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে ইতিবাচক। আমি করতে, দেখতে এবং অভিজ্ঞতা করতে পছন্দ করি এমন অনেক কিছু আছে। আমি আইটি সেক্টর নিয়ে বিভিন্ন এক্সপেরিমেন্ট করতে পছন্দ করি। যেমন ওয়েব পেজ তৈরি করা, বিভিন্ন অ্যাপ তৈরি করা, অনলাইন রেডিও স্টেশন তৈরি করা, অনলাইন সংবাদপত্র তৈরি করা ইত্যাদি। আমাদের প্রকাশনা “পূর্বকন্ঠ” স্বাধীনতার চেতনায় একটি নিরপেক্ষ জাতীয় অনলাইন । পাঠক আমাদের সবচেয়ে বড় অনুপ্রেরনা। পূর্বকণ্ঠ কথা বলে বাঙালির আত্মপ্রত্যয়ী আহ্বান ও ত্যাগে অর্জিত স্বাধীনতার। কথা বলে স্বাধীনতার চেতনায় উদ্বুদ্ধ হতে। ছড়িয়ে দিতে এ চেতনা দেশের প্রত্যেক কোণে কোণে। আমরা রাষ্ট্রের আইন কানুন, রীতিনীতির প্রতি শ্রদ্ধাশীল। দেশপ্রেম ও রাষ্ট্রীয় আইন বিরোধী এবং বাঙ্গালীর আবহমান কালের সামাজিক সহনশীলতার বিপক্ষে পূর্বকন্ঠ কখনো সংবাদ প্রকাশ করে না। আমরা সকল ধর্মমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল, কোন ধর্মমত বা তাদের অনুসারীদের অনুভূতিতে আঘাত দিয়ে আমরা কিছু প্রকাশ করি না। আমাদের সকল প্রচেষ্টা পাঠকের সংবাদ চাহিদাকে কেন্দ্র করে। তাই পাঠকের যে কোনো মতামত আমরা সাদরে গ্রহন করব।
জনপ্রিয়

পূর্বধলায় বণিক সমিতির সাথে উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীর মতবিনিময়

পৌনে ২ কোটি টাকার রাস্তা ৫ মাসেই শেষ !

আপডেট : ০৬:০৮:০৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ৬ ডিসেম্বর ২০২৩

১২শ’ ৮৫ মিটার রাস্তার মধ্যে প্রায় ৫শ’ ৮৫ মিটার কার্পেটিং রাস্তা নির্মাণের ৫ মাসের মাথায় নষ্ট হয়ে গেছে। নিম্নমানের ইট বালি ও পিচ দেওয়ার কারণে অধিকাংশ স্থানে গর্তসহ রাস্তা ধসে ও দেবে গেছে।

এ চিত্র নেত্রকোনার পূর্বধলা উপজেলা হেডকোয়াটার (রেল স্টেশন)-পূর্বধলা জিসি সড়কের। এ ঘটনায় পথচারী ও সাধারণ মানুষসহ এলাকাবাসীর মনে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

পূর্বধলা উপজেলা প্রকৌশল অফিস সূত্রে জানা গেছে, পূর্বধলা রেল স্টেশন বাজার থেকে পূর্বধলা বাজার পর্যন্ত জিওবিএম প্রকল্পের আওতায় ১ কোটি ৫৭ লাখ ৬২ হাজার টাকা ব্যয়ে ১২শ’ ৮৫ মিটার রাস্তার কাজ গত বছরের ডিসেম্বর মাসে শুরু হয়ে চলতি বছরের মে মাসে শেষ হয়। এর মধ্যে ৭ শ’ মিটার ছিল আরসিসি ও ৫শ’ ৮৫ মিটার ছিল কার্পেটিং এর কাজ। কাজটি করেছেন স্থানীয় এমএম আর এন্টারপ্রাইজ নামে ঠিকাদারী প্রতিষ্টানের মালিক মো. মোখলেছুর রহমান হাসান।

স্থানীয়দের অভিযোগ, রাস্তা নির্মাণের কয়েকদিন পর বিভিন্ন স্থানে গর্ত হয়ে দেবে গেছে। অনেক স্থান উঁচু-নিচু হয়ে গেছে। তাদের অভিযোগ রাস্তায় কাজ করার সময় ঠিকাদার নিম্নমানের ইটের সুরকি, বালি ও পুরাতন পিচ তুলে তার ওপরেই পিচ ঢেলে রোলার টেনেছেন। যার কারণে রাস্তা দেবে সরকারের সব টাকা গচ্ছা গেছে।

নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠানের ঠিকাদার মো. মোখলেছুর রহমান হাসান বলেন, কাজ চলাকালিন সময়ে ভারী যানবাহন চলাচলের জন্য কিছু কিছু জায়গা ভেঙ্গে গেছে। তাছাড়া অতিবৃষ্টি ও পানি নিষ্কাশনের সুবিধা না থাকায় পানি জমে কিছু কিছু জায়গা ভেঙ্গে গেছে। উপজেলা প্রকৌশলীর সাথে যোগাযোগ করে আবারও মেরামতের চেষ্টা করবো।

উপজেলা প্রকৌশলী সাদিকুল জাহান রিদান বলেন, কাজ চলাকালিন সময়ে বেশ কিছু ভারী যানবাহন চলাচলের জন্য কিছু কিছু জায়গা ভেঙ্গে গেছে। তাছাড়া ওই রাস্তার পাশে আবাসিক এলাকার একটি ড্রেনের পানি রাস্তায় নিষ্কাশিত হওয়ায় সেখানের কিছু অংশ ভেঙ্গে গেছে। বিষয়টি নিয়ে আমি ইউএনও স্যারের সাথে কথা বলেছি। যে সব জায়গায় গর্তসহ রাস্তা ধসে ও দেবে গেছে তা সংস্কারের জন্য টিকাদারকে বলা হয়েছে।