নেত্রকোনা ০১:২০ অপরাহ্ন, বুধবার, ০৮ মে ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পূর্বধলা সরকারী কলেজের অধ্যক্ষের অনিয়ম, দুর্নীতির বিরুদ্ধে মানববন্ধন

  • আপডেট : ০৭:৩৫:৫৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ অক্টোবর ২০১৯
  • ৩৯৬

কে. এম. সাখাওয়াত হোসেন, নেত্রকোনা :

নেত্রকোনার পূর্বধলা উপজেলায় পূর্বধলা সরকারি কলেজে ভর্তি ফি ও ফরম ফিলাপের নামে অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের অভিযোগ তুলে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছে কলেজের শিক্ষার্থীরা। সোমবার (১৪ অক্টোবর) সকালে কলেজ চত্বরে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আনোয়ারুল হক রতনের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতসহ নানা অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ তুলে ধরে এ কর্মসূচি পালন করে।

এসময় শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন ডিগ্রী প্রথম বর্ষের ভর্তির সময় আনুসাংঙ্গিক দেখিয়ে বিভিন্ন খাতে ২ হাজার ৭০০ টাকা ও ফরম ফিলাপের সময় আবারও ১ হাজার ৫০০ টাকা নেয়া হচ্ছে। একই মানের গৌরীপুর সরকারী কলেজে ডিগ্রী প্রথম বর্ষে ভর্তি হতে ওই কলেজের শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে নেয়া হয়েছে এক হাজার ২৫০ টাকা। যা দরিদ্র শিক্ষার্থীদের দ্বারা বহন করা অনেকটাই কষ্টসাধ্য হয়েছে দাঁড়িয়েছে। তাই নিয়মবহির্ভূতভাবে অতিরিক্ত ফি আদায় বন্ধ করা নিয়ে এ মানববন্ধন বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেন তারা।

তবে কিছুক্ষণের মধ্যেই আইন-শৃংখলার স্বার্থে সকল শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন থেকে সরে আসার পদক্ষেপ নেন পূর্বধলা পুলিশ প্রশাসন। পূর্বধলা থানার ওসি মোহাম্মদ তাওহীদুর রহমানের হস্তক্ষেপে কলেজ অধ্যক্ষের রুমে বসে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়। সেই সাথে শিক্ষার্থী ও অধ্যক্ষের বক্তব্য শুনেন ওসি। এ সময় কলেজের অন্যান্য শিক্ষকসহ পূর্বধলা উপজেলার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। পরে বিষয়টি তদন্তাধীন রয়েছে বলে কোনরকম আন্দোলন না করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন।

নানা অনিয়ম ও অতিরিক্ত ফি আদায়ের বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উম্মে কুলসুম বরাবরে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন কলেজ শিক্ষার্থীদের পক্ষে রাজিব আহমেদ রাজু নামে এক শিক্ষার্থী। এরই প্রেক্ষিতে ইউএনও তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন বলে নিশ্চিত করেন। সেইসথে তদন্ত প্রতিবেদন পেলে এ ব্যাপারে ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলেও জানান ইউএনও উম্মে কুলসুম।

এদিকে অভিযুক্ত ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আনোয়ারুল হক রতন জানান, অহেতুক হয়রানীর উদ্দেশ্যে এধরনের অভিযোগ আনয়ন করা হয়েছে। তদন্তে দোষী প্রমাণিত হলে যেকোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করলে তা মেনে নেবেন বলে জানান তিনি।

এ সময় তিনি আরো জানান, কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ শহীদুল্লাহ খান চলে যাওয়াার পর থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে কলেজের কিছুই বুঝিয়ে দেন নি তিনি। বিশেষ করে কলেজের বিগত কয়েক বছরের রেজুলেশন খাতা পাওয়া যাচ্ছে না। এ নিয়ে কলেজটি সরকারিকরণে বিভিন্ন বেগ পোহাতে হচ্ছে মর্মে পূর্বধলা থানায় একটি জিডিও করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ওই কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আনোয়ারুল হক রতন।

আপনার মন্তব্য লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষণ করুন

প্রকাশক ও সম্পাদক সম্পর্কে-

আমি মো. শফিকুল আলম শাহীন। আমি একজন ওয়েব ডেভেলপার ও সাংবাদিক । আমি পূর্বকণ্ঠ অনলাইন প্রকাশনার সম্পাদক ও প্রকাশক। আমি জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে ইতিবাচক। আমি করতে, দেখতে এবং অভিজ্ঞতা করতে পছন্দ করি এমন অনেক কিছু আছে। আমি আইটি সেক্টর নিয়ে বিভিন্ন এক্সপেরিমেন্ট করতে পছন্দ করি। যেমন ওয়েব পেজ তৈরি করা, বিভিন্ন অ্যাপ তৈরি করা, অনলাইন রেডিও স্টেশন তৈরি করা, অনলাইন সংবাদপত্র তৈরি করা ইত্যাদি।

পূর্বধলায় নিজ মেয়েকে হত্যা করে শেষ রক্ষা হলো না মায়ের

পূর্বধলা সরকারী কলেজের অধ্যক্ষের অনিয়ম, দুর্নীতির বিরুদ্ধে মানববন্ধন

আপডেট : ০৭:৩৫:৫৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ অক্টোবর ২০১৯

কে. এম. সাখাওয়াত হোসেন, নেত্রকোনা :

নেত্রকোনার পূর্বধলা উপজেলায় পূর্বধলা সরকারি কলেজে ভর্তি ফি ও ফরম ফিলাপের নামে অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের অভিযোগ তুলে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছে কলেজের শিক্ষার্থীরা। সোমবার (১৪ অক্টোবর) সকালে কলেজ চত্বরে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আনোয়ারুল হক রতনের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতসহ নানা অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ তুলে ধরে এ কর্মসূচি পালন করে।

এসময় শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন ডিগ্রী প্রথম বর্ষের ভর্তির সময় আনুসাংঙ্গিক দেখিয়ে বিভিন্ন খাতে ২ হাজার ৭০০ টাকা ও ফরম ফিলাপের সময় আবারও ১ হাজার ৫০০ টাকা নেয়া হচ্ছে। একই মানের গৌরীপুর সরকারী কলেজে ডিগ্রী প্রথম বর্ষে ভর্তি হতে ওই কলেজের শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে নেয়া হয়েছে এক হাজার ২৫০ টাকা। যা দরিদ্র শিক্ষার্থীদের দ্বারা বহন করা অনেকটাই কষ্টসাধ্য হয়েছে দাঁড়িয়েছে। তাই নিয়মবহির্ভূতভাবে অতিরিক্ত ফি আদায় বন্ধ করা নিয়ে এ মানববন্ধন বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেন তারা।

তবে কিছুক্ষণের মধ্যেই আইন-শৃংখলার স্বার্থে সকল শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন থেকে সরে আসার পদক্ষেপ নেন পূর্বধলা পুলিশ প্রশাসন। পূর্বধলা থানার ওসি মোহাম্মদ তাওহীদুর রহমানের হস্তক্ষেপে কলেজ অধ্যক্ষের রুমে বসে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়। সেই সাথে শিক্ষার্থী ও অধ্যক্ষের বক্তব্য শুনেন ওসি। এ সময় কলেজের অন্যান্য শিক্ষকসহ পূর্বধলা উপজেলার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। পরে বিষয়টি তদন্তাধীন রয়েছে বলে কোনরকম আন্দোলন না করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন।

নানা অনিয়ম ও অতিরিক্ত ফি আদায়ের বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উম্মে কুলসুম বরাবরে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন কলেজ শিক্ষার্থীদের পক্ষে রাজিব আহমেদ রাজু নামে এক শিক্ষার্থী। এরই প্রেক্ষিতে ইউএনও তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন বলে নিশ্চিত করেন। সেইসথে তদন্ত প্রতিবেদন পেলে এ ব্যাপারে ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলেও জানান ইউএনও উম্মে কুলসুম।

এদিকে অভিযুক্ত ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আনোয়ারুল হক রতন জানান, অহেতুক হয়রানীর উদ্দেশ্যে এধরনের অভিযোগ আনয়ন করা হয়েছে। তদন্তে দোষী প্রমাণিত হলে যেকোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করলে তা মেনে নেবেন বলে জানান তিনি।

এ সময় তিনি আরো জানান, কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ শহীদুল্লাহ খান চলে যাওয়াার পর থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে কলেজের কিছুই বুঝিয়ে দেন নি তিনি। বিশেষ করে কলেজের বিগত কয়েক বছরের রেজুলেশন খাতা পাওয়া যাচ্ছে না। এ নিয়ে কলেজটি সরকারিকরণে বিভিন্ন বেগ পোহাতে হচ্ছে মর্মে পূর্বধলা থানায় একটি জিডিও করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ওই কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আনোয়ারুল হক রতন।