নেত্রকোনা ০৩:৫৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ মে ২০২৪, ৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পূর্বধলায় স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের ওপর হামলা, প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

  • আপডেট : ০৪:২৩:৪৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩ জানুয়ারী ২০২৪
  • ১৫৬

পূর্বধলা (নেত্রকোনা) সংবাদদাতা : নেত্রকোনা-৫ (পূর্বধলা) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ট্রাক প্রতীকের নির্বাচনী কার্যালয়ে হামলা, ভাঙচুর, কর্মী সমর্থকদের মারধর ও মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগের অভিযোগ উঠেছে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রার্থীর কর্মী সমর্থকদের বিরুদ্ধে।

মঙ্গলবার রাতে উপজেলার বাদে পুটিকা ও ইচুলিয়া বাজারে এ হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় মঙ্গলবার রাতেই ট্রাক প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী মাজহারুল ইসলাম সোহেল ফকিরের সমর্থক উপজেলা সদরের কালাম মিয়ার ছেলে রাসেল মিয়াা বাদী হয়ে পূর্বধলা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।

এ মামলায় কেন্দ্রীয় নেতা আহমদ হোসেনের ভাতিজা ধলা গ্রামের আমজাদ হোসেনের ছেলে শাহাদাত হোসেনকে (২৮) প্রধান আসামি করে ২১ জনের নামসহ ও অজ্ঞাতনামা আরও ২৫-৩০ জনকে আসামি করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পূর্বধলা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মুহাম্মদ রাশেদুল ইসলাম।

এদিকে এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে দায়ীদের দ্রুত গ্রেফতার ও সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবীতে স্বতন্ত্র প্রার্থী মাজহারুল ইসলাম সোহেল ফকির আজ বুধবার বিকালে তার নিজ বাড়ি উপজেলার জুগলী গ্রামে জেলা ও উপজেলায় কর্মরত সাংবাদিকদের নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন।

জানা যায়, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় উপজেলার বাদে পুটিকা ও ইচুলিয়া বাজারে স্বতন্ত্র প্রার্থী মাজহারুল ইসলাম সোহেল ফকিরের অস্থায়ী কার্যালয়ের চেয়ার-টেবিল ভাংচুর তার সমর্থকদের ব্যবহৃত বেশ কয়েকটি মোটরসাইকেল ভাংচুর ও একটি মোটরসাইকেলে আগুন ধরিয়ে দেয় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক নৌকার প্রার্থী আহমদ হোসেনের সমর্থকরা। এ সময় তারা মাজহারুল ইসলাম সোহেল ফকিরের ১০/১৫জন কর্মী-সমর্থকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে আহত করে।

এদের মধ্যে গুরুতর আহত ভিতরগাঁও গ্রামের বোরহান উদ্দিন (৪৫), একই গ্রামের মোস্তফা (৩০) ও বাদেপুটিকা গ্রামের মঈন উদ্দিনকে (২৫) প্রথমে পূর্বধলা হাসপাতালে ও পরে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

এ ব্যাপারেউপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সহকারী রির্টানিং কর্মকর্তা মোঃ খবিরুল আহসান জানান, নির্বাচনি কার্যালয় ভাঙচুরের খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

পূর্বধলা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মুহাম্মদ রাশেদুল ইসলাম জানান, স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থক বাদী হয়ে নৌকার সমর্থকদের আসামী করে মঙ্গলবার রাতেই থানায় মামলা দায়ের করেছে। আসামীদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

আপনার মন্তব্য লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষণ করুন

প্রকাশক ও সম্পাদক সম্পর্কে-

আমি মো. শফিকুল আলম শাহীন। আমি একজন ওয়েব ডেভেলপার ও সাংবাদিক । আমি পূর্বকণ্ঠ অনলাইন প্রকাশনার সম্পাদক ও প্রকাশক। আমি জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে ইতিবাচক। আমি করতে, দেখতে এবং অভিজ্ঞতা করতে পছন্দ করি এমন অনেক কিছু আছে। আমি আইটি সেক্টর নিয়ে বিভিন্ন এক্সপেরিমেন্ট করতে পছন্দ করি। যেমন ওয়েব পেজ তৈরি করা, বিভিন্ন অ্যাপ তৈরি করা, অনলাইন রেডিও স্টেশন তৈরি করা, অনলাইন সংবাদপত্র তৈরি করা ইত্যাদি।

পূর্বধলায় উপজেলা নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন চেয়ারম্যান প্রার্থী

পূর্বধলায় স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের ওপর হামলা, প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

আপডেট : ০৪:২৩:৪৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩ জানুয়ারী ২০২৪

পূর্বধলা (নেত্রকোনা) সংবাদদাতা : নেত্রকোনা-৫ (পূর্বধলা) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ট্রাক প্রতীকের নির্বাচনী কার্যালয়ে হামলা, ভাঙচুর, কর্মী সমর্থকদের মারধর ও মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগের অভিযোগ উঠেছে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রার্থীর কর্মী সমর্থকদের বিরুদ্ধে।

মঙ্গলবার রাতে উপজেলার বাদে পুটিকা ও ইচুলিয়া বাজারে এ হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় মঙ্গলবার রাতেই ট্রাক প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী মাজহারুল ইসলাম সোহেল ফকিরের সমর্থক উপজেলা সদরের কালাম মিয়ার ছেলে রাসেল মিয়াা বাদী হয়ে পূর্বধলা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।

এ মামলায় কেন্দ্রীয় নেতা আহমদ হোসেনের ভাতিজা ধলা গ্রামের আমজাদ হোসেনের ছেলে শাহাদাত হোসেনকে (২৮) প্রধান আসামি করে ২১ জনের নামসহ ও অজ্ঞাতনামা আরও ২৫-৩০ জনকে আসামি করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পূর্বধলা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মুহাম্মদ রাশেদুল ইসলাম।

এদিকে এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে দায়ীদের দ্রুত গ্রেফতার ও সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবীতে স্বতন্ত্র প্রার্থী মাজহারুল ইসলাম সোহেল ফকির আজ বুধবার বিকালে তার নিজ বাড়ি উপজেলার জুগলী গ্রামে জেলা ও উপজেলায় কর্মরত সাংবাদিকদের নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন।

জানা যায়, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় উপজেলার বাদে পুটিকা ও ইচুলিয়া বাজারে স্বতন্ত্র প্রার্থী মাজহারুল ইসলাম সোহেল ফকিরের অস্থায়ী কার্যালয়ের চেয়ার-টেবিল ভাংচুর তার সমর্থকদের ব্যবহৃত বেশ কয়েকটি মোটরসাইকেল ভাংচুর ও একটি মোটরসাইকেলে আগুন ধরিয়ে দেয় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক নৌকার প্রার্থী আহমদ হোসেনের সমর্থকরা। এ সময় তারা মাজহারুল ইসলাম সোহেল ফকিরের ১০/১৫জন কর্মী-সমর্থকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে আহত করে।

এদের মধ্যে গুরুতর আহত ভিতরগাঁও গ্রামের বোরহান উদ্দিন (৪৫), একই গ্রামের মোস্তফা (৩০) ও বাদেপুটিকা গ্রামের মঈন উদ্দিনকে (২৫) প্রথমে পূর্বধলা হাসপাতালে ও পরে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

এ ব্যাপারেউপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সহকারী রির্টানিং কর্মকর্তা মোঃ খবিরুল আহসান জানান, নির্বাচনি কার্যালয় ভাঙচুরের খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

পূর্বধলা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মুহাম্মদ রাশেদুল ইসলাম জানান, স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থক বাদী হয়ে নৌকার সমর্থকদের আসামী করে মঙ্গলবার রাতেই থানায় মামলা দায়ের করেছে। আসামীদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।