নেত্রকোনা ১২:০৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০১ মে ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পূর্বধলায় ইউএনওকে বয়কট করলেন ইউপি চেয়ারম্যানরা

  • আপডেট : ০৯:২৪:৫১ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৪ অগাস্ট ২০২৩
  • ১০১৮

পূর্বধলা (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি :

নেত্রকোনার পূর্বধলায় ইউপি চেয়ারম্যানদের সাথে অশোভন আচরণের জেরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে (ইউএনও) বয়কট করে সভাস্থল ত্যাগ করেছেন ইউপি চেয়ারম্যানরা। আজ সোমবার (১৪ আগস্ট) বিকালে উপজেলা পরিষদে ইউএনও’র কার্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, সোমবার বেলা দুইটার দিকে উপজেলার ১১ ইউনিয়নের চেয়ারম্যানদের মধ্যে ১০ ইউনিয়নের চেয়ারম্যানদের  নিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ জাহিদ হাসান প্রিন্স তার কক্ষে একটি জরুরী সভায় বসেন। সভায় শুরুতে ইউএনও চেয়ারম্যানদেরকে সাদা কাগজে স্বাক্ষর করতে বলেন। এ সময় চেয়ারম্যানরা সভার বিষয়ে জানতে চাইলে ক্ষেপে যান ইউএনও।

জারিয়া ইউপি চেয়াম্যান আমিনূল ইসলাম মন্ডল নান্টু বলেন, ইউএনও কোনো চিঠি ছাড়াই তাদেরকে চায়ের দাওয়াত দিয়ে তার কক্ষে ডেকে নেন ও সাদা কাগজে স্বাক্ষর করতে বলেন। এ নিয়ে তার সাথে কথা হলে তিনি তার সাথে অশোভন আচরণ করেন ও ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে সভা থেকে চলে যেতে বলেন।

পূর্বধলা সদর ইউপি চেয়ারম্যান সিদ্দিকুর রহমান বুলবুল বলেন, ইউএনও সাহেব আমাদের সাথে রূঢ় আচরণ করেছেন। তাই আমরা সবাই তাকে বয়কট করে সভাস্থল ত্যাগ করেছি।

খলিশাউড় ইউপি চেয়ারম্যান কমল কৃষ্ণ সরকার বলেন, ইউএনও সাহেব গত তিন দিন আগে আমার ইউনিয়নে গ্রাম পুলিশ নিয়োগেও দুর্নীতি ও নিয়োগ বাণিজ্য করেছেন। তাই এমন ইউএনওকে আমরা চাই না।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, উক্ত সভায় আমিও উপস্থিত ছিলাম। সভাটি ছিল রাস্তার আইডি সংক্রান্ত । ইউএনও স্যার চেয়ারম্যানদেরকে স্বাক্ষর করতে বললে তারা বলেন, ভেবেচিন্তে পরে স্বাক্ষর করবেন। এ নিয়ে জারিয়া ইউপি চেয়ারম্যান কথা বললে ইউএনও সাহেব চেয়ারম্যানকে বলেন আপনি ইচ্ছে করলে চলে যেতে পারেন। পরে চেয়ারম্যানরা সভাস্থল ত্যাগ করে চলে যান।,

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ জাহিদ হাসান প্রিন্স’র সরকারি মুঠো ফোনে ফোন দিয়ে  জানতে চাইলে তিনি কথা বলার জন্য প্রস্তুত নন ও পরে কথা বলবেন বলে ফোন কেটে দেন।,

আপনার মন্তব্য লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষণ করুন

প্রকাশক ও সম্পাদক সম্পর্কে-

আমি মো. শফিকুল আলম শাহীন। আমি একজন ওয়েব ডেভেলপার ও সাংবাদিক । আমি পূর্বকণ্ঠ অনলাইন প্রকাশনার সম্পাদক ও প্রকাশক। আমি জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে ইতিবাচক। আমি করতে, দেখতে এবং অভিজ্ঞতা করতে পছন্দ করি এমন অনেক কিছু আছে। আমি আইটি সেক্টর নিয়ে বিভিন্ন এক্সপেরিমেন্ট করতে পছন্দ করি। যেমন ওয়েব পেজ তৈরি করা, বিভিন্ন অ্যাপ তৈরি করা, অনলাইন রেডিও স্টেশন তৈরি করা, অনলাইন সংবাদপত্র তৈরি করা ইত্যাদি। আমাদের প্রকাশনা “পূর্বকন্ঠ” স্বাধীনতার চেতনায় একটি নিরপেক্ষ জাতীয় অনলাইন । পাঠক আমাদের সবচেয়ে বড় অনুপ্রেরনা। পূর্বকণ্ঠ কথা বলে বাঙালির আত্মপ্রত্যয়ী আহ্বান ও ত্যাগে অর্জিত স্বাধীনতার। কথা বলে স্বাধীনতার চেতনায় উদ্বুদ্ধ হতে। ছড়িয়ে দিতে এ চেতনা দেশের প্রত্যেক কোণে কোণে। আমরা রাষ্ট্রের আইন কানুন, রীতিনীতির প্রতি শ্রদ্ধাশীল। দেশপ্রেম ও রাষ্ট্রীয় আইন বিরোধী এবং বাঙ্গালীর আবহমান কালের সামাজিক সহনশীলতার বিপক্ষে পূর্বকন্ঠ কখনো সংবাদ প্রকাশ করে না। আমরা সকল ধর্মমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল, কোন ধর্মমত বা তাদের অনুসারীদের অনুভূতিতে আঘাত দিয়ে আমরা কিছু প্রকাশ করি না। আমাদের সকল প্রচেষ্টা পাঠকের সংবাদ চাহিদাকে কেন্দ্র করে। তাই পাঠকের যে কোনো মতামত আমরা সাদরে গ্রহন করব।
জনপ্রিয়

পূর্বধলায় বণিক সমিতির সাথে উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীর মতবিনিময়

পূর্বধলায় ইউএনওকে বয়কট করলেন ইউপি চেয়ারম্যানরা

আপডেট : ০৯:২৪:৫১ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৪ অগাস্ট ২০২৩

পূর্বধলা (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি :

নেত্রকোনার পূর্বধলায় ইউপি চেয়ারম্যানদের সাথে অশোভন আচরণের জেরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে (ইউএনও) বয়কট করে সভাস্থল ত্যাগ করেছেন ইউপি চেয়ারম্যানরা। আজ সোমবার (১৪ আগস্ট) বিকালে উপজেলা পরিষদে ইউএনও’র কার্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, সোমবার বেলা দুইটার দিকে উপজেলার ১১ ইউনিয়নের চেয়ারম্যানদের মধ্যে ১০ ইউনিয়নের চেয়ারম্যানদের  নিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ জাহিদ হাসান প্রিন্স তার কক্ষে একটি জরুরী সভায় বসেন। সভায় শুরুতে ইউএনও চেয়ারম্যানদেরকে সাদা কাগজে স্বাক্ষর করতে বলেন। এ সময় চেয়ারম্যানরা সভার বিষয়ে জানতে চাইলে ক্ষেপে যান ইউএনও।

জারিয়া ইউপি চেয়াম্যান আমিনূল ইসলাম মন্ডল নান্টু বলেন, ইউএনও কোনো চিঠি ছাড়াই তাদেরকে চায়ের দাওয়াত দিয়ে তার কক্ষে ডেকে নেন ও সাদা কাগজে স্বাক্ষর করতে বলেন। এ নিয়ে তার সাথে কথা হলে তিনি তার সাথে অশোভন আচরণ করেন ও ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে সভা থেকে চলে যেতে বলেন।

পূর্বধলা সদর ইউপি চেয়ারম্যান সিদ্দিকুর রহমান বুলবুল বলেন, ইউএনও সাহেব আমাদের সাথে রূঢ় আচরণ করেছেন। তাই আমরা সবাই তাকে বয়কট করে সভাস্থল ত্যাগ করেছি।

খলিশাউড় ইউপি চেয়ারম্যান কমল কৃষ্ণ সরকার বলেন, ইউএনও সাহেব গত তিন দিন আগে আমার ইউনিয়নে গ্রাম পুলিশ নিয়োগেও দুর্নীতি ও নিয়োগ বাণিজ্য করেছেন। তাই এমন ইউএনওকে আমরা চাই না।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, উক্ত সভায় আমিও উপস্থিত ছিলাম। সভাটি ছিল রাস্তার আইডি সংক্রান্ত । ইউএনও স্যার চেয়ারম্যানদেরকে স্বাক্ষর করতে বললে তারা বলেন, ভেবেচিন্তে পরে স্বাক্ষর করবেন। এ নিয়ে জারিয়া ইউপি চেয়ারম্যান কথা বললে ইউএনও সাহেব চেয়ারম্যানকে বলেন আপনি ইচ্ছে করলে চলে যেতে পারেন। পরে চেয়ারম্যানরা সভাস্থল ত্যাগ করে চলে যান।,

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ জাহিদ হাসান প্রিন্স’র সরকারি মুঠো ফোনে ফোন দিয়ে  জানতে চাইলে তিনি কথা বলার জন্য প্রস্তুত নন ও পরে কথা বলবেন বলে ফোন কেটে দেন।,