নেত্রকোনার পূর্বধলায় দুর্বত্তদের হামলায় উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সোলায়মান হোসেন হাসিবসহ (২৮) চার ছাত্রলীগ নেতা আহত হয়েছেন। আজ মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) দুপুরে উপজেলা পরিষদ চত্বরে মুক্তিযোদ্ধ স্মৃতি স্তম্ভে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
হামলায় অপর আহতরা হলেন, উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রনি বেপারী (২৫), দপ্তর সম্পাদক সালমান হাসান (২৫) ও ছাত্রলীগ নেতা রহুল আমীন (২৬) ।
জানাগেছে, মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সোলায়মান হোসেন হাসিব’র নেতৃত্বে ছাত্রলীগের নেতা কর্মীরা উপজেলা পরিষদ চত্বরে মুক্তিযোদ্ধ স্মৃতি স্তম্ভে পুষ্পত্বক অর্পণ শেষে ফেরার পথে একদল দুর্বত্ত ধারালো অস্ত্র ও লাঠিসোটা নিয়ে তাদের ওপর অতকীর্ত হামলা করে। হামলায় উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সোলায়মান হোসেন হাসিবসহ চার ছাত্রলীগ নেতা আহত হয়। স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রেরণ করে। এদের মধ্যে গুরুতর আহত উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রনি বেপারীকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সোলায়মান হোসেন হাসিব বলেন, আমরা শান্তিপূর্ণ পরিবেশে উপজেলা পরিষদ চত্বরে মুক্তিযোদ্ধ স্মৃতি স্তম্ভে ফুল দিয়ে শ্লোগান সহকারে ফেরার পথে উপজেলা চত্বরেই উপজেলা প্রশাসন ও আইনশৃংঙ্খলাবাহীনীর সামনেই স্থানীয় সাব্বীর আহমেদ’র নেতৃত্বে ১০/১৫ জনের একটি দল আমাদের ওপর হামলা চালিয়ে পালিয়ে যায়। কেন কি কারণে আমাদের ওপর হামলা করেছে তা আপাদের জানা নেই।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত সাব্বীর আহমেদ’র সাথে মুঠো ফোনে কথা বললে, তিনি পরে কথা বলবেন বলে ফোন রেখে দেন।
সহকারি কমিশনার (ভূমি) নাজনীন আখতার বলেন, উপজেলা প্রশাসনের সামনে কোনো ঝগড়া বা মারা মারির ঘটনা ঘটেনি। আমি আমার ব্যবহৃত গাড়ি নিয়ে উপজেলা পরিষদের মূল ফটক দিয়ে প্রবেশ করেই স্মৃতি স্তম্ভের পাশেই লোকজনের ঝটলা দেখতে পাই। তখন জানতে পারি সেখানে হামলার ঘটনা ঘটছিল।
পূর্বধলা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মুহাম্মদ রাশেদুল ইসলাম বলেন, পূর্বধলা সরকারি কলেজ শাখার ছাত্রলীগের সভাপতি হৃদয় খান নাঈম ও ছাত্রলীগ নেতা সাব্বীর আহমেদের নেতৃত্বে অতকীর্তভাবে হামলার ঘটনাটি ঘটেছে। পুলিশ এগিয়ে গেলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।