নেত্রকোনা ১২:০৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পা-বেঁধে ঝুলিয়ে তরুণকে নির্যাতন

  • আপডেট : ০১:০০:৫৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০১৯
  • ৩১২

পা- বেঁধে এক তরুণকে ঝুলিয়ে পেটানো হচ্ছে। এতে ওই তরুণ চিৎকার করছে। নির্যাতনের এমন একটি ভিডিও গত দুই দিন ধরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ঘুরছে। ঘটনাটি সিলেটের জকিগঞ্জ উপজেলার কাজলশাহ ইউনিয়নের বলে পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে ।

পুলিশ বলছে, নির্যাতনকারী ব্যক্তিকে আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ছয়টার দিকে কানাইঘাট কারাবাল্লা এলাকা থেকে আটক করা হয়েছে। তাঁর নাম আবদুস ছালাম। তিনি জকিগঞ্জের কাজলশাহ ইউনিয়ন পরিষদের ২ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য।

নির্যাতনের শিকার তরুণ একই ইউনিয়নের বরবন গ্রামের বাসিন্দা। তাঁর নাম গিয়াস উদ্দিন। আবদুস ছালামকে আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কানাইঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শামসুদ্দোহা।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ‘ভাইরাল’ হওয়া ২৪ সেকেন্ডের ওই ভিডিওতে দেখা গেছে, এক তরুণের পা বেঁধে একটি বাঁশের সঙ্গে উল্টো করে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। ওই বাঁশ দুই ব্যক্তি কাঁধে নিয়ে একটি বাড়ির আঙিনায় দাঁড়িয়ে আছেন। সেখানে মানুষের জটলা। এরই মধ্যে সাদা শার্ট ও লুঙ্গি পড়া এক ব্যক্তি লাঠি দিয়ে ওই তরুণের পায়ের নিচে আঘাত করছেন। এর ফলে ওই তরুণ চিৎকার করছেন।

জকিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর মো. আবদুন নাসের প্রথম আলোকে বলেন, নির্যাতনের ঘটনাটি প্রায় ১০ মাস আগের বলে জানা গেছে। তখন পুলিশ এ ব্যাপারে কিছু জানত না। তবে ভিডিওটি ফেসবুকে ভাইরাল হওয়ার পর সিলেটের পুলিশ সুপারের নজরে আসে। সঙ্গে সঙ্গে তিনি তাদের বিষয়টি গুরুত্বের সহকারে দেখার জন্য বলেন। এরপর পরই পুলিশ নাম-পরিচয় সংগ্রহ করে নির্যাতনের শিকার ব্যক্তিকে খুঁজে বের করে।

ওসি আবদুন নাসের জানান, এ ব্যাপারে নির্যাতনের শিকার গিয়াস উদ্দিন থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছে। আবদুস ছালাম ছাড়াও এই ঘটনায় আরও কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে।

জকিগঞ্জের কাজলশাহ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. জুলকার নাইন লস্কর প্রথম আলোকে বলেন, ‘ওই তরুণকে নির্যাতনের ঘটনা আমরা জানতাম না। সামাজিক যোগযোগ মাধ্যমে গত বুধবার দেখার পর বিষয়টি জানতে পারি। ইউনিয়নে কেউ আমাদের অভিযোগও দেননি।

সুত্র: প্রথম আলো

আপনার মন্তব্য লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষণ করুন

প্রকাশক ও সম্পাদক সম্পর্কে-

আমি মো. শফিকুল আলম শাহীন। আমি একজন ওয়েব ডেভেলপার ও সাংবাদিক । আমি পূর্বকণ্ঠ অনলাইন প্রকাশনার সম্পাদক ও প্রকাশক। আমি জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে ইতিবাচক। আমি করতে, দেখতে এবং অভিজ্ঞতা করতে পছন্দ করি এমন অনেক কিছু আছে। আমি আইটি সেক্টর নিয়ে বিভিন্ন এক্সপেরিমেন্ট করতে পছন্দ করি। যেমন ওয়েব পেজ তৈরি করা, বিভিন্ন অ্যাপ তৈরি করা, অনলাইন রেডিও স্টেশন তৈরি করা, অনলাইন সংবাদপত্র তৈরি করা ইত্যাদি। আমাদের প্রকাশনা “পূর্বকন্ঠ” স্বাধীনতার চেতনায় একটি নিরপেক্ষ জাতীয় অনলাইন । পাঠক আমাদের সবচেয়ে বড় অনুপ্রেরনা। পূর্বকণ্ঠ কথা বলে বাঙালির আত্মপ্রত্যয়ী আহ্বান ও ত্যাগে অর্জিত স্বাধীনতার। কথা বলে স্বাধীনতার চেতনায় উদ্বুদ্ধ হতে। ছড়িয়ে দিতে এ চেতনা দেশের প্রত্যেক কোণে কোণে। আমরা রাষ্ট্রের আইন কানুন, রীতিনীতির প্রতি শ্রদ্ধাশীল। দেশপ্রেম ও রাষ্ট্রীয় আইন বিরোধী এবং বাঙ্গালীর আবহমান কালের সামাজিক সহনশীলতার বিপক্ষে পূর্বকন্ঠ কখনো সংবাদ প্রকাশ করে না। আমরা সকল ধর্মমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল, কোন ধর্মমত বা তাদের অনুসারীদের অনুভূতিতে আঘাত দিয়ে আমরা কিছু প্রকাশ করি না। আমাদের সকল প্রচেষ্টা পাঠকের সংবাদ চাহিদাকে কেন্দ্র করে। তাই পাঠকের যে কোনো মতামত আমরা সাদরে গ্রহন করব।
জনপ্রিয়

পূর্বধলায় বণিক সমিতির সাথে উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীর মতবিনিময়

পা-বেঁধে ঝুলিয়ে তরুণকে নির্যাতন

আপডেট : ০১:০০:৫৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০১৯

পা- বেঁধে এক তরুণকে ঝুলিয়ে পেটানো হচ্ছে। এতে ওই তরুণ চিৎকার করছে। নির্যাতনের এমন একটি ভিডিও গত দুই দিন ধরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ঘুরছে। ঘটনাটি সিলেটের জকিগঞ্জ উপজেলার কাজলশাহ ইউনিয়নের বলে পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে ।

পুলিশ বলছে, নির্যাতনকারী ব্যক্তিকে আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ছয়টার দিকে কানাইঘাট কারাবাল্লা এলাকা থেকে আটক করা হয়েছে। তাঁর নাম আবদুস ছালাম। তিনি জকিগঞ্জের কাজলশাহ ইউনিয়ন পরিষদের ২ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য।

নির্যাতনের শিকার তরুণ একই ইউনিয়নের বরবন গ্রামের বাসিন্দা। তাঁর নাম গিয়াস উদ্দিন। আবদুস ছালামকে আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কানাইঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শামসুদ্দোহা।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ‘ভাইরাল’ হওয়া ২৪ সেকেন্ডের ওই ভিডিওতে দেখা গেছে, এক তরুণের পা বেঁধে একটি বাঁশের সঙ্গে উল্টো করে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। ওই বাঁশ দুই ব্যক্তি কাঁধে নিয়ে একটি বাড়ির আঙিনায় দাঁড়িয়ে আছেন। সেখানে মানুষের জটলা। এরই মধ্যে সাদা শার্ট ও লুঙ্গি পড়া এক ব্যক্তি লাঠি দিয়ে ওই তরুণের পায়ের নিচে আঘাত করছেন। এর ফলে ওই তরুণ চিৎকার করছেন।

জকিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর মো. আবদুন নাসের প্রথম আলোকে বলেন, নির্যাতনের ঘটনাটি প্রায় ১০ মাস আগের বলে জানা গেছে। তখন পুলিশ এ ব্যাপারে কিছু জানত না। তবে ভিডিওটি ফেসবুকে ভাইরাল হওয়ার পর সিলেটের পুলিশ সুপারের নজরে আসে। সঙ্গে সঙ্গে তিনি তাদের বিষয়টি গুরুত্বের সহকারে দেখার জন্য বলেন। এরপর পরই পুলিশ নাম-পরিচয় সংগ্রহ করে নির্যাতনের শিকার ব্যক্তিকে খুঁজে বের করে।

ওসি আবদুন নাসের জানান, এ ব্যাপারে নির্যাতনের শিকার গিয়াস উদ্দিন থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছে। আবদুস ছালাম ছাড়াও এই ঘটনায় আরও কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে।

জকিগঞ্জের কাজলশাহ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. জুলকার নাইন লস্কর প্রথম আলোকে বলেন, ‘ওই তরুণকে নির্যাতনের ঘটনা আমরা জানতাম না। সামাজিক যোগযোগ মাধ্যমে গত বুধবার দেখার পর বিষয়টি জানতে পারি। ইউনিয়নে কেউ আমাদের অভিযোগও দেননি।

সুত্র: প্রথম আলো