নেত্রকোনা ০৮:৩৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পাল্টে যাচ্ছে নেত্রকোনা বিউবো, বাড়ছে গ্রাহকসেবা

  • সৌমিন খেলন :
  • আপডেট : ০৯:২৭:৪৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০১৯
  • ৩৬০
নেত্রকোনার বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডে (বিউবো) লক্ষণীয়ভাবে বেড়েছে গ্রাহকসেবা। তারই সাথে সরকারের সুদৃষ্টিতে কার্যালয়ে অবকাঠামো দিকেও একের পর এক হচ্ছে ব্যাপক উন্নয়ন।
সংশ্লিষ্ট দফতরের নেত্রকোনা কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রুবেল আহম্মেদ সংবাদমাধ্যমে এসব তথ্য তোলে ধরেন।

তিনি জানান, নেত্রকোনায় বিউবোর গ্রাহকদের ছোটখাটো সকল ধরনের ভোগান্তি দূর করে সেবার মান বাড়াতে ব্যাপক কর্মযজ্ঞ হাতে নেয়া হয়েছে।

এরই মধ্যে গুছিয়ে আনা হয়েছে কর্মযজ্ঞের আশি শতাংশ কাজ। যার সুফল ভোগ করতে শুরু করেছে গ্রাহকরা।

৪৪ বছরের পুরাতন লাইন সরিয়ে ৩৩ কেভি নতুন দ্বিতীয় সোর্স লাইন নির্মাণ করা হয়েছে। একটি নতুন ১০ এমভিএ পাওয়ার ট্রান্সফরমার স্থাপন, ৩৩/১১ কেভি নিয়ন্ত্রণ কক্ষের সুইচ ইয়ার্ডের সকল যন্ত্রাংশ পরিবর্তন, চল্লিশা গ্রীড উপকেন্দ্রের গ্রান্ডিস্ট্রাকচারসহ নির্মাণ, ৩৩ কেভি নিয়ন্ত্রণ কক্ষের ভিতরের নতুন ১১ কেভিন ও ৩৩ কেভি প্যানেল স্থাপন ও কমিশনিং, ৬ ও ৪ নম্বর ফিডারের ননস্ট্যন্ডার্ড লাইনকে স্ট্যান্ডার্ড লাইনে রুপান্তর করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন নির্বাহী প্রকৌশলী রুবেল আহম্মেদ।

সিস্টেম লসের টার্গেট অর্জন ৯.৩৬ শতাংশ জানিয়ে সন্তোষজনক রাজস্ব আদায় সম্পর্কে তিনি জানান, সন্তোষজনক রাজস্ব আদায় সিবি রেশিও ১০৬.৩ শতাংশ।

এছাড়াও নেত্রকোনা বিউবোকে নিয়ে ভবিষ্যত পরিকল্পনা তোলে ধরতে গিয়ে তিনি জানান, নতুন ৩৩/১১ কেভি উপকেন্দ্র নির্মান (মদন বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন এলকায়) পাওয়ার ট্রান্সফরমার স্থাপন ও ৩৩ কেভি নতুন লাইন নির্মান, নতুন ৩৩/১১ কেভি উপকেন্দ্র নির্মান (শেহাবি সংলগ্ন এলাকা) ৩৩ কেভি নতুন লাইন নির্মান, তিনটি ১১ কেভি ফিডার নির্মান, অভারলোড বিতরণ ট্রান্সফরমার অভারলোড মুক্ত করা হবে, ৬ টি ফিডারের সব ননস্ট্যান্ডার্ড লাইন স্ট্যান্ডার্ড করা হবে, পুরাতন ৩৩ কেভি লাইনটি নতুন লাইনে রূপান্তর করা হবে। ২০২০ সালের মধ্যে গ্রাহকদের ঘরে বসে যাবে প্রায় ২০ হাজার প্রি-পেইড মিটার।

নেত্রকোনা শহরের একাধিক বিদ্যুৎ গ্রাহকের সাথে কথা বলে জানা যায়, বিউবোতে উন্নয়নমূলক দৃশ্যমান কিছু কাজ দেখা যাচ্ছে। যা নেত্রকোনাবাসীর জন্য সুদিনের হাতছানি বটে। তবে সেবার মান বেড়েছে এটিও মিথ্যে বলে উড়িয়ে দেয়া যাবে না। লোডশেডিং নেই বললেই চলে। কোনো ত্রুটি দেখা দিলে বিদ্যুতে তাৎক্ষণিক লোক পৌঁছে সমস্যার সমাধান করে দিচ্ছেন। তবে এরপরও হাতেগোনা কয়েকজন আছেন যারা সেবা দিতে গড়িমসি করেন গ্রাহকদের সাথে। সেক্ষেত্রে নির্বাহী প্রকৌশলীর সুদৃষ্টি কামনা করেন গ্রাহকরা।

এদিকে নির্বাহী প্রকৌশলী রুবেল আহম্মেদ জানান, অভিযুক্ত এ ধরণের স্টাফ কয়েকজনকে স্টেশন থেকে এরই মধ্যে সরিয়ে অন্য জেলায় পাঠানো হয়েছে। ভবিষ্যতে আরও সেবার মান বাড়বে এতে কোনো ধরণের সন্দেহ নেই। তবে প্রয়োজন গ্রাহকদেরও সুদৃষ্টি ও সহযোগিতা।

আপনার মন্তব্য লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষণ করুন

প্রকাশক ও সম্পাদক সম্পর্কে-

আমি মো. শফিকুল আলম শাহীন। আমি একজন ওয়েব ডেভেলপার ও সাংবাদিক । আমি পূর্বকণ্ঠ অনলাইন প্রকাশনার সম্পাদক ও প্রকাশক। আমি জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে ইতিবাচক। আমি করতে, দেখতে এবং অভিজ্ঞতা করতে পছন্দ করি এমন অনেক কিছু আছে। আমি আইটি সেক্টর নিয়ে বিভিন্ন এক্সপেরিমেন্ট করতে পছন্দ করি। যেমন ওয়েব পেজ তৈরি করা, বিভিন্ন অ্যাপ তৈরি করা, অনলাইন রেডিও স্টেশন তৈরি করা, অনলাইন সংবাদপত্র তৈরি করা ইত্যাদি।

পূর্বধলায় উপজেলা নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন চেয়ারম্যান প্রার্থী

পাল্টে যাচ্ছে নেত্রকোনা বিউবো, বাড়ছে গ্রাহকসেবা

আপডেট : ০৯:২৭:৪৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০১৯
নেত্রকোনার বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডে (বিউবো) লক্ষণীয়ভাবে বেড়েছে গ্রাহকসেবা। তারই সাথে সরকারের সুদৃষ্টিতে কার্যালয়ে অবকাঠামো দিকেও একের পর এক হচ্ছে ব্যাপক উন্নয়ন।
সংশ্লিষ্ট দফতরের নেত্রকোনা কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রুবেল আহম্মেদ সংবাদমাধ্যমে এসব তথ্য তোলে ধরেন।

তিনি জানান, নেত্রকোনায় বিউবোর গ্রাহকদের ছোটখাটো সকল ধরনের ভোগান্তি দূর করে সেবার মান বাড়াতে ব্যাপক কর্মযজ্ঞ হাতে নেয়া হয়েছে।

এরই মধ্যে গুছিয়ে আনা হয়েছে কর্মযজ্ঞের আশি শতাংশ কাজ। যার সুফল ভোগ করতে শুরু করেছে গ্রাহকরা।

৪৪ বছরের পুরাতন লাইন সরিয়ে ৩৩ কেভি নতুন দ্বিতীয় সোর্স লাইন নির্মাণ করা হয়েছে। একটি নতুন ১০ এমভিএ পাওয়ার ট্রান্সফরমার স্থাপন, ৩৩/১১ কেভি নিয়ন্ত্রণ কক্ষের সুইচ ইয়ার্ডের সকল যন্ত্রাংশ পরিবর্তন, চল্লিশা গ্রীড উপকেন্দ্রের গ্রান্ডিস্ট্রাকচারসহ নির্মাণ, ৩৩ কেভি নিয়ন্ত্রণ কক্ষের ভিতরের নতুন ১১ কেভিন ও ৩৩ কেভি প্যানেল স্থাপন ও কমিশনিং, ৬ ও ৪ নম্বর ফিডারের ননস্ট্যন্ডার্ড লাইনকে স্ট্যান্ডার্ড লাইনে রুপান্তর করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন নির্বাহী প্রকৌশলী রুবেল আহম্মেদ।

সিস্টেম লসের টার্গেট অর্জন ৯.৩৬ শতাংশ জানিয়ে সন্তোষজনক রাজস্ব আদায় সম্পর্কে তিনি জানান, সন্তোষজনক রাজস্ব আদায় সিবি রেশিও ১০৬.৩ শতাংশ।

এছাড়াও নেত্রকোনা বিউবোকে নিয়ে ভবিষ্যত পরিকল্পনা তোলে ধরতে গিয়ে তিনি জানান, নতুন ৩৩/১১ কেভি উপকেন্দ্র নির্মান (মদন বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন এলকায়) পাওয়ার ট্রান্সফরমার স্থাপন ও ৩৩ কেভি নতুন লাইন নির্মান, নতুন ৩৩/১১ কেভি উপকেন্দ্র নির্মান (শেহাবি সংলগ্ন এলাকা) ৩৩ কেভি নতুন লাইন নির্মান, তিনটি ১১ কেভি ফিডার নির্মান, অভারলোড বিতরণ ট্রান্সফরমার অভারলোড মুক্ত করা হবে, ৬ টি ফিডারের সব ননস্ট্যান্ডার্ড লাইন স্ট্যান্ডার্ড করা হবে, পুরাতন ৩৩ কেভি লাইনটি নতুন লাইনে রূপান্তর করা হবে। ২০২০ সালের মধ্যে গ্রাহকদের ঘরে বসে যাবে প্রায় ২০ হাজার প্রি-পেইড মিটার।

নেত্রকোনা শহরের একাধিক বিদ্যুৎ গ্রাহকের সাথে কথা বলে জানা যায়, বিউবোতে উন্নয়নমূলক দৃশ্যমান কিছু কাজ দেখা যাচ্ছে। যা নেত্রকোনাবাসীর জন্য সুদিনের হাতছানি বটে। তবে সেবার মান বেড়েছে এটিও মিথ্যে বলে উড়িয়ে দেয়া যাবে না। লোডশেডিং নেই বললেই চলে। কোনো ত্রুটি দেখা দিলে বিদ্যুতে তাৎক্ষণিক লোক পৌঁছে সমস্যার সমাধান করে দিচ্ছেন। তবে এরপরও হাতেগোনা কয়েকজন আছেন যারা সেবা দিতে গড়িমসি করেন গ্রাহকদের সাথে। সেক্ষেত্রে নির্বাহী প্রকৌশলীর সুদৃষ্টি কামনা করেন গ্রাহকরা।

এদিকে নির্বাহী প্রকৌশলী রুবেল আহম্মেদ জানান, অভিযুক্ত এ ধরণের স্টাফ কয়েকজনকে স্টেশন থেকে এরই মধ্যে সরিয়ে অন্য জেলায় পাঠানো হয়েছে। ভবিষ্যতে আরও সেবার মান বাড়বে এতে কোনো ধরণের সন্দেহ নেই। তবে প্রয়োজন গ্রাহকদেরও সুদৃষ্টি ও সহযোগিতা।