নেত্রকোনা ০৪:৪২ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৫ মে ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালে মেডিকেল ট্যাকনোলজিস্টকে মারধর আসবাবপত্র ভাংচুর

নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতলে প্র্যাগনেন্সি রিপোর্টকে কেন্দ্র করে মেডিকেল ট্যাকনোলজিস্ট আসাদুজ্জামানকে মারধর করেছে কাটলি এলাকার চৈতির স্বজনরা। এসময় চেয়ার ভাংচুরসহ আসবাবপত্র ভাংচুর করে তারা। মঙ্গলবার সকালে হাসপাতালের ভেতরে এই ঘটনা ঘটে। পরে অন্যারা আসাদুজ্জামানকে উদ্ধার করে পুরুষ ওয়ার্ডে ভর্তি করে।

এদিকে খবর পেয়ে নেত্রকোনার মডেল থানার পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। এই ঘটনায় হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসক নার্সরা কর্ম বিরতি শুরু করলে সিভিল সার্জন রোগীদের কথা বিবেচনা করে চিকিৎসা দেয়ার অনুরোধ জানালে পুনরায় চিকিৎসা সেবা শুরু করে আন্দোলনকারীরা। এ ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে বলে জানান মডেল থানার ওসি মো. তাজুল ইসলাম।

পুলিশ ও হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, সকালে চৈতি নামের এক গৃহবধুর প্র্যাগনেন্সি টেস্ট করিয়েছিলো। এতে নেগেটিভ আসে। তখন তার স্বামী জয় এ নিয়ে আসাদুজ্জামানের সাথে তর্কে জড়ান। পরবর্তীতে হাসপাতাল থেকে তারা চলে যায়। এর কিছুক্ষণ পর অন্য রোগীকে পরীক্ষা নিরীক্ষা করার সময় অতর্কিতে এসে হামলা চালায় জয়, তার মা আসমা ও মামুন। তারা আসাদুজ্জামনকে কিল ঘুসি মারতে মারতে শ্বাসরোধ করে ফেলার চেষ্টা করে। এসময় হাসপাতালের অন্যরা এগিয়ে এসে উদ্ধার করে। খবর পেয়ে মডেল থানার পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

এদিকে সহকারি ট্যাকনোলজিস্ট সুমন ঘোষ জানান কাটলি এলাকার লোকজন এর আগেও ডাক্তারকে মারধর করেছে। প্রায় সময়ই এরা হাসপাতালে এসে ঝগড়া বিবাদে লিপ্ত হয়।
এব্যাপারে সিভিল সার্জন ডাক্তার মো. তাজুল ইসলাম জানান, এই ঘটনায় মামলা করা হয়েছে থানায়। আমরা পুলিশের কাছে নিরাপত্তার বিষয়টিও জানিয়েছি। পুলিশ দ্রুত আসামী ধরে আইনের আওতায় শাস্তি দিলে কিছুদিন পরপর এরা এমন করতে পারবে না।

এদিকে মডেল থানার ওসি মো. তাজুল ইসলাম জানান, আমরা সাথে সাথে ফোর্স পাঠিয়েছি। অভিযান চলবে।

এ ব্যাপারে পুলিশ সুপার মো. আকবর আলী মুনসী জানান, কোন আসামী ছাড় যাবে না। পুলিশ তৎপর রয়েছে। অভিযোগের প্রেক্ষিতে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্তরা পলাতক থাকায় তাদের সাথে কথা বলা সম্ভব হয়নি।

আপনার মন্তব্য লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষণ করুন

প্রকাশক ও সম্পাদক সম্পর্কে-

আমি মো. শফিকুল আলম শাহীন। আমি একজন ওয়েব ডেভেলপার ও সাংবাদিক । আমি পূর্বকণ্ঠ অনলাইন প্রকাশনার সম্পাদক ও প্রকাশক। আমি জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে ইতিবাচক। আমি করতে, দেখতে এবং অভিজ্ঞতা করতে পছন্দ করি এমন অনেক কিছু আছে। আমি আইটি সেক্টর নিয়ে বিভিন্ন এক্সপেরিমেন্ট করতে পছন্দ করি। যেমন ওয়েব পেজ তৈরি করা, বিভিন্ন অ্যাপ তৈরি করা, অনলাইন রেডিও স্টেশন তৈরি করা, অনলাইন সংবাদপত্র তৈরি করা ইত্যাদি।
জনপ্রিয়

পূর্বধলায় বণিক সমিতির সাথে উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীর মতবিনিময়

নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালে মেডিকেল ট্যাকনোলজিস্টকে মারধর আসবাবপত্র ভাংচুর

আপডেট : ০৪:৪৯:১৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০১৯

নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতলে প্র্যাগনেন্সি রিপোর্টকে কেন্দ্র করে মেডিকেল ট্যাকনোলজিস্ট আসাদুজ্জামানকে মারধর করেছে কাটলি এলাকার চৈতির স্বজনরা। এসময় চেয়ার ভাংচুরসহ আসবাবপত্র ভাংচুর করে তারা। মঙ্গলবার সকালে হাসপাতালের ভেতরে এই ঘটনা ঘটে। পরে অন্যারা আসাদুজ্জামানকে উদ্ধার করে পুরুষ ওয়ার্ডে ভর্তি করে।

এদিকে খবর পেয়ে নেত্রকোনার মডেল থানার পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। এই ঘটনায় হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসক নার্সরা কর্ম বিরতি শুরু করলে সিভিল সার্জন রোগীদের কথা বিবেচনা করে চিকিৎসা দেয়ার অনুরোধ জানালে পুনরায় চিকিৎসা সেবা শুরু করে আন্দোলনকারীরা। এ ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে বলে জানান মডেল থানার ওসি মো. তাজুল ইসলাম।

পুলিশ ও হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, সকালে চৈতি নামের এক গৃহবধুর প্র্যাগনেন্সি টেস্ট করিয়েছিলো। এতে নেগেটিভ আসে। তখন তার স্বামী জয় এ নিয়ে আসাদুজ্জামানের সাথে তর্কে জড়ান। পরবর্তীতে হাসপাতাল থেকে তারা চলে যায়। এর কিছুক্ষণ পর অন্য রোগীকে পরীক্ষা নিরীক্ষা করার সময় অতর্কিতে এসে হামলা চালায় জয়, তার মা আসমা ও মামুন। তারা আসাদুজ্জামনকে কিল ঘুসি মারতে মারতে শ্বাসরোধ করে ফেলার চেষ্টা করে। এসময় হাসপাতালের অন্যরা এগিয়ে এসে উদ্ধার করে। খবর পেয়ে মডেল থানার পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

এদিকে সহকারি ট্যাকনোলজিস্ট সুমন ঘোষ জানান কাটলি এলাকার লোকজন এর আগেও ডাক্তারকে মারধর করেছে। প্রায় সময়ই এরা হাসপাতালে এসে ঝগড়া বিবাদে লিপ্ত হয়।
এব্যাপারে সিভিল সার্জন ডাক্তার মো. তাজুল ইসলাম জানান, এই ঘটনায় মামলা করা হয়েছে থানায়। আমরা পুলিশের কাছে নিরাপত্তার বিষয়টিও জানিয়েছি। পুলিশ দ্রুত আসামী ধরে আইনের আওতায় শাস্তি দিলে কিছুদিন পরপর এরা এমন করতে পারবে না।

এদিকে মডেল থানার ওসি মো. তাজুল ইসলাম জানান, আমরা সাথে সাথে ফোর্স পাঠিয়েছি। অভিযান চলবে।

এ ব্যাপারে পুলিশ সুপার মো. আকবর আলী মুনসী জানান, কোন আসামী ছাড় যাবে না। পুলিশ তৎপর রয়েছে। অভিযোগের প্রেক্ষিতে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্তরা পলাতক থাকায় তাদের সাথে কথা বলা সম্ভব হয়নি।