কে. এম. সাখাওয়াত হোসেন, নেত্রকোনা :
নেত্রকোনা সদর উপজেলায় ফুফুর বাড়িতে থেকে ফেরার পথে ১২ বছরের এক শিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে গত রবিবার রাতে উপজেলার রৌহা ইউনিয়নের বড়গাড়া এলাকায় মগড়া নদীর পাড়ে। শিশুটিকে মূমূর্ষ অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসেন স্বজনরা।
খবর পেয়ে নেত্রকোনা মডেল থানার পুলিশ রবিবার দিনগত মধ্য রাতেরই ট্রেনে পালানোর সময় সাতপাই রেলষ্টেশন থেকে অভিযুক্ত প্রতিবেশী রুহুল আমিনকে (২২) গ্রেপ্তার করে। এ ব্যাপারে শিশুটির বাবা বাদী হয়ে দুজনকে আসামি করে মামলা দয়ের করেছে বলে জানান ওসি মো. তাজুল ইসলাম।
পরিবার সূত্রে জানা যায়, গত রবিবার (৩ নভেম্বর) এশার নামাজের পর পার্শ্ববর্তী ফুফুর বাড়িতে মোবাইলের চার্জার ফেরত দিয়ে বাড়ি ফেরার পথে পিছন থেকে শিশুটিকে গামছা দিয়ে পেঁচিয়ে মুখ বেঁধে বড়গাড়া এলাকার রব্বানীর ছেলে রুহুল আমিন ও তার এক সহযোগি স্বাধীন (১৮) শিশুটিকে মগড়া নদীর পাড়ে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে। পরে তার চিৎকার ও কান্নাকাটি শুনে আশেপাশের লোকজন ও স্বজনরা শিশুটিকে উদ্ধার করে। রক্তক্ষরনের ফলে রাতেই মূমূর্ষ অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা শিশুটিকে চিকিৎসা দেন।
এদিকে নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. মো. একরামুল হাসান বলেন, শিশুটিকে নিয়ে আসার সাথে সাথেই রক্তক্ষরনের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে শিশুটিকে গাইনী বিভাগে নিবিঢ় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। নমুনা সংগ্রহ করে তা পরীক্ষাধীন রয়েছে বলে তিনি জানান।
এ ব্যাপারে নেত্রকোনা মডেল থানার ওসি মো. তাজুল ইসলাম জানান, প্রধান আসামী ধর্ষক রুহুল আমীনকে পালানোর সময় নেত্রকোনা সাতপাই রেলষ্টেশন থেকে রাতেই গ্রেফতার করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ধর্ষণের কথা স্বাীকার করেছে এবং সোমবার দুপুরে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
শিশুর বাবা মা কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে বলেন, নিজ বাড়ি ঘরেও শিশু কন্যারা নিরাপদ নয়। কেমন করে মানুষ কন্যা সন্তান জন্ম দেবে? রুহুল ও স্বাধীন আমার এলাকার ছেলে। সে আমার মেয়েকে ধরে নিয়ে ধর্ষণ করেছে। এর সঠিক বিচার দাবী করেন এবং পুলিশের তড়িৎ কার্যক্রমের উপর সন্তুষ্ট প্রকাশ করেন শিশুটির বাবা।