কে. এম. সাখাওয়াত হোসেন, নেত্রকোনা :
নেত্রকোনা আঞ্জুমান সরকারী আদর্শ স্কুলের এক শিক্ষার্থীর চিকিৎসার জন্য চাঁদা তোলাকে কেন্দ্র করে সড়কে বিক্ষোভ করেছে শিক্ষার্থীরা। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বৃহস্পতিবার দুপুরে এই ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও স্কুল সূত্রে জানা গেছে, স্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্র সাব্বির আহমেদ রাফির চিকিৎসার জন্য গত দুদিন ধরে চাঁদা উঠাচ্ছে স্বজন, পাঠিসহ স্কুলের শিক্ষার্থীরা। শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা মিলে কিছু টাকা তুলে বুধবার রাফির বাবার হাতে দেন প্রধান শিক্ষক।
কিন্তু বৃহস্পতিবার স্কুলের তহবিল থেকে এক লাখ টাকা দাবী ও প্রত্যায়ন পত্র চাইলে স্কুলের নিয়ম কানুন বর্হিভূত ভাবে দেয়া যাবে না জানালে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ শুরু করে। তারা স্কুলের সামনের সড়কের গাড়ী আটকিয়ে দেয়। স্কুলের গেইটে তালা লাগিয়ে দেয়। পরে খবর পেয়ে পুলিশ এবং প্রশাসন গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। অবশেষে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্কুল কর্তৃপক্ষ আবেদন করে টাকার ব্যবস্থার আশ্বাস প্রদান করা হয়।
শিক্ষার্থী সোয়াদ জানায়, আমরা যখন টাকা চাইছি আমাদেরকে তারা স্কুল থেকে বের করে দেয়। পরে আমরা বিক্ষোভ করেছি। আমরা ভালোভাবে বলেছি স্কুলের ফন্ডেই অনেক টাকা আছে। গত প্রায় ১০ বছর ধরে এই পর্যন্ত কোন টাকা কাউকে দিতে হয়নি। তাহলে টাকাগুলো কোথায় গেলো। আমরা সেখান থেকে টাকা চেয়েছি। আমরা তো রাজপথ ছাড়া কোন উপায় দেখিনা বলেও জানায় শিক্ষার্থীরা।
এ ব্যাপারে স্কুলের প্রধান শিক্ষক আকলিমা খাতুন জানান, গত দুদিন ধরে স্কুলে ডে মনিং শিফট থেকে বাচ্চারা চাঁদা নিচ্ছে। আমাদের শিক্ষকদের কাছ থেকেও কিছু তুলে দেয়া হয়েছে। গত বুধবার সেই টাকাগুলো একত্র করে আমি রাফির বাবার হাতে তুলে দিয়েছি। স্কুলের ফান্ড থেকেও ১০ হজার টাকা দেয়ার ব্যাবস্থা করেছি। কিন্তু তারা একলাখ টাকা দাবী করেছে। এখন এতো টাকা তো আমি একা দিতে পারবো না। নিয়ম কানুন আছে। সেগুলো মেইনটেইন করে দিতে হবে।
এর মাঝে সিক্সের দুটো ছেলে গত তিনদিন আগে রাস্তায় চাঁদা তোলা নিয়ে ঝামেলা করেছে। তাদের কথা শুনছিলাম ওদের অভিভাবকদের ডেকে। এর মাঝে এই ছেলেরা এসে প্রত্যায়ন পত্র চাইছে বাইরে টাকা তুলতে। কিন্তু সেটা তো এই সরকারী স্কুল থেকে দেয়া যায় না। স্কুলের ভেতর থেকে নিয়েছে আমরাও দিয়েছি। কিন্তু বাহিরেরটা আমি কেমন করে দেই। এটা না করাতেই তারা স্কুলের সব শিক্ষার্থীকে ডেকে বের করে ফেলে বলে জানান প্রধান শিক্ষক।