নেত্রকোনা ০৪:১১ অপরাহ্ন, বুধবার, ০১ মে ২০২৪, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নারীর প্রতি অবমাননার প্রতিবাদে জাবিতে মানববন্ধন

  • আপডেট : ০৬:১৮:২০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর ২০১৯
  • ৪৬৮

আহমেদ সাব্বির, জাবি প্রতিনিধি:

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. ফারজানা ইসলামের কুশপুত্তলিকা দাহ করে নারীর প্রতি অবমাননা এবং আন্দোলনের নামে সহিংস কর্মসূচীর প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের নারী শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ।

মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) সকাল সাড়ে দশটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার সংলগ্ন সড়কে এই মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করা হয়। মানববন্ধনে প্রায় শতাধিক নারী শিক্ষক অংশগ্রহন করেন। এসময় বক্তারা বলেন, ‘কুশপুত্তলিকা দাহ করার মাধ্যমে সকল নারী সমাজকে অবমাননা করা হয়েছে।

আর শাড়ি নারী অগ্রযাত্রা ও সম্মানের প্রতীক। শাড়ি পোড়ানোর মধ্য দিয়ে নারীর প্রতি তাদের বিদ্ধেষ ও সহিংস মনোভাব প্রকাশ পেয়েছে। আমরা মনে করি কোন শিক্ষকের কুশপুত্তলিকা দাহ করা শিক্ষকসুলভ কোন আচরন নয়।’ মানববন্ধন শেষে নারী অপমানের বিচার চেয়ে সংবাদ সম্মেলন করা হয়। সংবাদ সম্মেলনের লিখিত বক্তব্যে মার্কেটিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক বারতা চক্রবর্তী বলেন, ‘কল্পিত দুর্নীতির অভিযোগ করে বাংলাদেশের প্রথম নারী উপাচার্য অধ্যাপক ড. ফারজানা ইসলামকে পদচ্যুত করার জন্য কয়েকজন শিক্ষক ও কিছু শিক্ষার্থী এমন কিছু কর্মসূচী অবলম্বন করেছেন যা নারীর জন্য অবমাননাকর। কিন্তু কর্মসূচীর নামে বল প্রয়োগ করা, নারীকে অসম্মান করা মেনে নেওয়া যায় না।

তিনি আরও বলেন, ‘নারী বিদ্বেষী আন্দোলনকারীগন কুশপুত্তলিকা দাহ করার মাধ্যমে নজিরবিহীন দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। উপাচার্যের মুখচ্ছবি সংযুক্ত করে শাড়িতে আগুন ধরিয়েছে।’ বক্তব্যে আরও বলা হয়, ‘আবহমানকাল ধরে শাড়ি বাঙ্গালী নারীর সম্মানের প্রতীক হয়ে আছে। শাড়িতে আগুন ধরিয়ে চরম নারী বিদ্ধেষীরা কেবল জাহাঙ্গীরনগর বিশ^বিদ্যালয়ের নারী শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শিক্ষার্থীদেরই অপমান করেনি বরং একই সঙ্গে অপমান করেছে বাঙ্গালী নারীর অগ্রণী ভূমিকা রাখা সকল সম্মানিত নারীদের ।

এসময় উপাচার্যের কুশপুত্তলিকা দাহ করার দায়ে আন্দোলনকারী শিক্ষক অধ্যাপক রায়হান রাইন, অধ্যাপক ড. তারেক রেজা, অধ্যাপক ড. খবির উদ্দিনসহ সহিংস কর্মসূচীতে জড়িতদের বিচার দাবি করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষকরা নারীর প্রতি এমন বিদ্বেষের প্রতিবাদে বাংলাদেশ মহিলা সমিতিসহ বিভিন্ন নারী অধিকার সংগঠনকে সোচ্চার হওয়ার আহবান জানান। প্রসঙ্গত, ‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে জাহাঙ্গীরনগর’ ব্যানারে আন্দোলনকারী শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা গত ২০ অক্টোবর উপাচার্য অধ্যাপক ড. ফারজানা ইসলামের কুশপুত্তলিকা দাহ করেন। এর মাধ্যমে উপাচার্যকে কোনো প্রসাশনিক কাজ করতে দওেয়া হবে না বলেও ঘোষণা দেয় তারা।

আপনার মন্তব্য লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষণ করুন

প্রকাশক ও সম্পাদক সম্পর্কে-

আমি মো. শফিকুল আলম শাহীন। আমি একজন ওয়েব ডেভেলপার ও সাংবাদিক । আমি পূর্বকণ্ঠ অনলাইন প্রকাশনার সম্পাদক ও প্রকাশক। আমি জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে ইতিবাচক। আমি করতে, দেখতে এবং অভিজ্ঞতা করতে পছন্দ করি এমন অনেক কিছু আছে। আমি আইটি সেক্টর নিয়ে বিভিন্ন এক্সপেরিমেন্ট করতে পছন্দ করি। যেমন ওয়েব পেজ তৈরি করা, বিভিন্ন অ্যাপ তৈরি করা, অনলাইন রেডিও স্টেশন তৈরি করা, অনলাইন সংবাদপত্র তৈরি করা ইত্যাদি। আমাদের প্রকাশনা “পূর্বকন্ঠ” স্বাধীনতার চেতনায় একটি নিরপেক্ষ জাতীয় অনলাইন । পাঠক আমাদের সবচেয়ে বড় অনুপ্রেরনা। পূর্বকণ্ঠ কথা বলে বাঙালির আত্মপ্রত্যয়ী আহ্বান ও ত্যাগে অর্জিত স্বাধীনতার। কথা বলে স্বাধীনতার চেতনায় উদ্বুদ্ধ হতে। ছড়িয়ে দিতে এ চেতনা দেশের প্রত্যেক কোণে কোণে। আমরা রাষ্ট্রের আইন কানুন, রীতিনীতির প্রতি শ্রদ্ধাশীল। দেশপ্রেম ও রাষ্ট্রীয় আইন বিরোধী এবং বাঙ্গালীর আবহমান কালের সামাজিক সহনশীলতার বিপক্ষে পূর্বকন্ঠ কখনো সংবাদ প্রকাশ করে না। আমরা সকল ধর্মমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল, কোন ধর্মমত বা তাদের অনুসারীদের অনুভূতিতে আঘাত দিয়ে আমরা কিছু প্রকাশ করি না। আমাদের সকল প্রচেষ্টা পাঠকের সংবাদ চাহিদাকে কেন্দ্র করে। তাই পাঠকের যে কোনো মতামত আমরা সাদরে গ্রহন করব।
জনপ্রিয়

পূর্বধলায় বণিক সমিতির সাথে উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীর মতবিনিময়

নারীর প্রতি অবমাননার প্রতিবাদে জাবিতে মানববন্ধন

আপডেট : ০৬:১৮:২০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর ২০১৯

আহমেদ সাব্বির, জাবি প্রতিনিধি:

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. ফারজানা ইসলামের কুশপুত্তলিকা দাহ করে নারীর প্রতি অবমাননা এবং আন্দোলনের নামে সহিংস কর্মসূচীর প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের নারী শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ।

মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) সকাল সাড়ে দশটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার সংলগ্ন সড়কে এই মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করা হয়। মানববন্ধনে প্রায় শতাধিক নারী শিক্ষক অংশগ্রহন করেন। এসময় বক্তারা বলেন, ‘কুশপুত্তলিকা দাহ করার মাধ্যমে সকল নারী সমাজকে অবমাননা করা হয়েছে।

আর শাড়ি নারী অগ্রযাত্রা ও সম্মানের প্রতীক। শাড়ি পোড়ানোর মধ্য দিয়ে নারীর প্রতি তাদের বিদ্ধেষ ও সহিংস মনোভাব প্রকাশ পেয়েছে। আমরা মনে করি কোন শিক্ষকের কুশপুত্তলিকা দাহ করা শিক্ষকসুলভ কোন আচরন নয়।’ মানববন্ধন শেষে নারী অপমানের বিচার চেয়ে সংবাদ সম্মেলন করা হয়। সংবাদ সম্মেলনের লিখিত বক্তব্যে মার্কেটিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক বারতা চক্রবর্তী বলেন, ‘কল্পিত দুর্নীতির অভিযোগ করে বাংলাদেশের প্রথম নারী উপাচার্য অধ্যাপক ড. ফারজানা ইসলামকে পদচ্যুত করার জন্য কয়েকজন শিক্ষক ও কিছু শিক্ষার্থী এমন কিছু কর্মসূচী অবলম্বন করেছেন যা নারীর জন্য অবমাননাকর। কিন্তু কর্মসূচীর নামে বল প্রয়োগ করা, নারীকে অসম্মান করা মেনে নেওয়া যায় না।

তিনি আরও বলেন, ‘নারী বিদ্বেষী আন্দোলনকারীগন কুশপুত্তলিকা দাহ করার মাধ্যমে নজিরবিহীন দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। উপাচার্যের মুখচ্ছবি সংযুক্ত করে শাড়িতে আগুন ধরিয়েছে।’ বক্তব্যে আরও বলা হয়, ‘আবহমানকাল ধরে শাড়ি বাঙ্গালী নারীর সম্মানের প্রতীক হয়ে আছে। শাড়িতে আগুন ধরিয়ে চরম নারী বিদ্ধেষীরা কেবল জাহাঙ্গীরনগর বিশ^বিদ্যালয়ের নারী শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শিক্ষার্থীদেরই অপমান করেনি বরং একই সঙ্গে অপমান করেছে বাঙ্গালী নারীর অগ্রণী ভূমিকা রাখা সকল সম্মানিত নারীদের ।

এসময় উপাচার্যের কুশপুত্তলিকা দাহ করার দায়ে আন্দোলনকারী শিক্ষক অধ্যাপক রায়হান রাইন, অধ্যাপক ড. তারেক রেজা, অধ্যাপক ড. খবির উদ্দিনসহ সহিংস কর্মসূচীতে জড়িতদের বিচার দাবি করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষকরা নারীর প্রতি এমন বিদ্বেষের প্রতিবাদে বাংলাদেশ মহিলা সমিতিসহ বিভিন্ন নারী অধিকার সংগঠনকে সোচ্চার হওয়ার আহবান জানান। প্রসঙ্গত, ‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে জাহাঙ্গীরনগর’ ব্যানারে আন্দোলনকারী শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা গত ২০ অক্টোবর উপাচার্য অধ্যাপক ড. ফারজানা ইসলামের কুশপুত্তলিকা দাহ করেন। এর মাধ্যমে উপাচার্যকে কোনো প্রসাশনিক কাজ করতে দওেয়া হবে না বলেও ঘোষণা দেয় তারা।