নেত্রকোনা ০১:২২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নাটকীয়তার ম্যাচে শেষ বলে জয় কলকাতার

ডেথ ওভারে ধুন্ধুমার ব্যাটিংয়ের প্রদর্শনী হলো কলকাতা নাইট রাইডার্স ও সানরাইজার্স হায়দাবাদের লড়াইয়ে। তাতে দুই দলই রান উৎসব করেছে।

৪১২ রানের ম্যাচে শ্বাসরুদ্ধকর প্রতিদ্বন্দ্বিতার পর কলকাতা হেসেছে শেষ হাসি। স্বাগতিকরা ৪ রানে হারিয়েছে হায়দরাবাদকে। আগে ব্যাটিং করে কলকাতা করে ৭ উইকেটে ২০৮ রান।,

কেকেআরের দেওয়া ২০৯ রানের পাহাড় তাড়ায় শেষ তিন ওভারে জয়ের জন্য হায়দরাবাদের লক্ষ্য ছিল ৬০ রান। ‘ক্রিজে তখন সেট ব্যাটসম্যান বলতে গেলে হেনরিখ ক্লাসেন।,’

১৮ তম ওভারে বরুণ ধাওয়ানকে দুই ছক্কা মেরে আশা জিইয়ে রাখলেন। নতুন ব্যাটিংয়ে নামা শাহবাজ হাঁকালেন আরও এক ছয়। ১৮ তম ওভারে এলো ২১ রান।

১৯তম ওভারে কলকাতা অধিনায়ক বল তুলে দিলেন আইপিএল ইতিহাসের সবচেয়ে দামি তথা প্রায় ২৫ কোটি রুপির মিচেল স্টার্ককে। আগের তিন ওভারে বেশ খরুচে ছিলেন। তবে ম্যাচের গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে নিজের শেষ ওভারটা করতে এসে যেন আরও গুবলেট বাঁধিয়ে ফেললেন।

ক্লাসেন ও শাহবাজ দুজনে মিলে চার ছক্কা হাঁকালেন টার্ককে। এক ওভারেই রান উঠল ২৬! অজি এই তারকা পেসার নিজের কোটা শেষ করলেন ৪ ওভারে ৫৩ রানে। ওভার প্রতি ১৩.৭৫। ‘যদিও উইকেট পাননি একটিও।,

শেষ ওভারে যখন জয়ের জন্য ১৩ রান দরকার, তখনো হারশিতের প্রথম বলে নেন ছয়, পরের বলে ১। তৃতীয় বলে শাহবাজ আউট হওয়ার পর পঞ্চম বলে স্লোয়ারে তাল মেলাতে না পেরে ক্যাচ দেন ক্লাসেনও। শেষ বলে জয়ের জন্য পাঁচ রান দরকার ছিল হায়দরাবাদের। ‘কিন্তু অধিনায়ক কামিন্স বল ব্যাটেই লাগাতে পারেননি।,’

ডট বল দিয়ে কেকেআরকে মাত্র ৪ রানে জেতালেন রানা। ৪ ওভারে মাত্র ৩৩ রান দিয়ে ৩ উইকেট নিয়ে ম্যাচের নায়কতো এই তরুণ বোলারই।,

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

কলকাতা: ২০ ওভারে ২০৮/৭ (রাসেল ৬৪*, সল্ট ৫৪, রমনদীপ ৩৫; নটরাজন ৩/৩২, মারকান্দে ২/৩৯)।

হায়দরাবাদ: ২০ ওভারে ২০৪/৭ (ক্লাসেন ৬৩, অভিষেক ৩২; হারশিত ৩/৩৩, রাসেল ২/২৫)।

ফল: ‘কলকাতা নাইট রাইডার্স ৪ রানে জয়ী।,’

ম্যান অব দ্য ম্যাচ: আন্দ্রে রাসেল।

 

আপনার মন্তব্য লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষণ করুন

প্রকাশক ও সম্পাদক সম্পর্কে-

আমি মো. শফিকুল আলম শাহীন। আমি একজন ওয়েব ডেভেলপার ও সাংবাদিক । আমি পূর্বকণ্ঠ অনলাইন প্রকাশনার সম্পাদক ও প্রকাশক। আমি জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে ইতিবাচক। আমি করতে, দেখতে এবং অভিজ্ঞতা করতে পছন্দ করি এমন অনেক কিছু আছে। আমি আইটি সেক্টর নিয়ে বিভিন্ন এক্সপেরিমেন্ট করতে পছন্দ করি। যেমন ওয়েব পেজ তৈরি করা, বিভিন্ন অ্যাপ তৈরি করা, অনলাইন রেডিও স্টেশন তৈরি করা, অনলাইন সংবাদপত্র তৈরি করা ইত্যাদি। আমাদের প্রকাশনা “পূর্বকন্ঠ” স্বাধীনতার চেতনায় একটি নিরপেক্ষ জাতীয় অনলাইন । পাঠক আমাদের সবচেয়ে বড় অনুপ্রেরনা। পূর্বকণ্ঠ কথা বলে বাঙালির আত্মপ্রত্যয়ী আহ্বান ও ত্যাগে অর্জিত স্বাধীনতার। কথা বলে স্বাধীনতার চেতনায় উদ্বুদ্ধ হতে। ছড়িয়ে দিতে এ চেতনা দেশের প্রত্যেক কোণে কোণে। আমরা রাষ্ট্রের আইন কানুন, রীতিনীতির প্রতি শ্রদ্ধাশীল। দেশপ্রেম ও রাষ্ট্রীয় আইন বিরোধী এবং বাঙ্গালীর আবহমান কালের সামাজিক সহনশীলতার বিপক্ষে পূর্বকন্ঠ কখনো সংবাদ প্রকাশ করে না। আমরা সকল ধর্মমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল, কোন ধর্মমত বা তাদের অনুসারীদের অনুভূতিতে আঘাত দিয়ে আমরা কিছু প্রকাশ করি না। আমাদের সকল প্রচেষ্টা পাঠকের সংবাদ চাহিদাকে কেন্দ্র করে। তাই পাঠকের যে কোনো মতামত আমরা সাদরে গ্রহন করব।
জনপ্রিয়

পূর্বধলায় রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় মুক্তিযোদ্ধা আলাউদ্দিনের দাফন সম্পন্ন

নাটকীয়তার ম্যাচে শেষ বলে জয় কলকাতার

আপডেট : ০৮:২২:৫৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৪ মার্চ ২০২৪

ডেথ ওভারে ধুন্ধুমার ব্যাটিংয়ের প্রদর্শনী হলো কলকাতা নাইট রাইডার্স ও সানরাইজার্স হায়দাবাদের লড়াইয়ে। তাতে দুই দলই রান উৎসব করেছে।

৪১২ রানের ম্যাচে শ্বাসরুদ্ধকর প্রতিদ্বন্দ্বিতার পর কলকাতা হেসেছে শেষ হাসি। স্বাগতিকরা ৪ রানে হারিয়েছে হায়দরাবাদকে। আগে ব্যাটিং করে কলকাতা করে ৭ উইকেটে ২০৮ রান।,

কেকেআরের দেওয়া ২০৯ রানের পাহাড় তাড়ায় শেষ তিন ওভারে জয়ের জন্য হায়দরাবাদের লক্ষ্য ছিল ৬০ রান। ‘ক্রিজে তখন সেট ব্যাটসম্যান বলতে গেলে হেনরিখ ক্লাসেন।,’

১৮ তম ওভারে বরুণ ধাওয়ানকে দুই ছক্কা মেরে আশা জিইয়ে রাখলেন। নতুন ব্যাটিংয়ে নামা শাহবাজ হাঁকালেন আরও এক ছয়। ১৮ তম ওভারে এলো ২১ রান।

১৯তম ওভারে কলকাতা অধিনায়ক বল তুলে দিলেন আইপিএল ইতিহাসের সবচেয়ে দামি তথা প্রায় ২৫ কোটি রুপির মিচেল স্টার্ককে। আগের তিন ওভারে বেশ খরুচে ছিলেন। তবে ম্যাচের গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে নিজের শেষ ওভারটা করতে এসে যেন আরও গুবলেট বাঁধিয়ে ফেললেন।

ক্লাসেন ও শাহবাজ দুজনে মিলে চার ছক্কা হাঁকালেন টার্ককে। এক ওভারেই রান উঠল ২৬! অজি এই তারকা পেসার নিজের কোটা শেষ করলেন ৪ ওভারে ৫৩ রানে। ওভার প্রতি ১৩.৭৫। ‘যদিও উইকেট পাননি একটিও।,

শেষ ওভারে যখন জয়ের জন্য ১৩ রান দরকার, তখনো হারশিতের প্রথম বলে নেন ছয়, পরের বলে ১। তৃতীয় বলে শাহবাজ আউট হওয়ার পর পঞ্চম বলে স্লোয়ারে তাল মেলাতে না পেরে ক্যাচ দেন ক্লাসেনও। শেষ বলে জয়ের জন্য পাঁচ রান দরকার ছিল হায়দরাবাদের। ‘কিন্তু অধিনায়ক কামিন্স বল ব্যাটেই লাগাতে পারেননি।,’

ডট বল দিয়ে কেকেআরকে মাত্র ৪ রানে জেতালেন রানা। ৪ ওভারে মাত্র ৩৩ রান দিয়ে ৩ উইকেট নিয়ে ম্যাচের নায়কতো এই তরুণ বোলারই।,

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

কলকাতা: ২০ ওভারে ২০৮/৭ (রাসেল ৬৪*, সল্ট ৫৪, রমনদীপ ৩৫; নটরাজন ৩/৩২, মারকান্দে ২/৩৯)।

হায়দরাবাদ: ২০ ওভারে ২০৪/৭ (ক্লাসেন ৬৩, অভিষেক ৩২; হারশিত ৩/৩৩, রাসেল ২/২৫)।

ফল: ‘কলকাতা নাইট রাইডার্স ৪ রানে জয়ী।,’

ম্যান অব দ্য ম্যাচ: আন্দ্রে রাসেল।