টাঙ্গাইলের নাগরপুরে চাঞ্চল্যকর বিপ্লব মিয়া (১৫) হত্যা কান্ডের প্রধান আসামী সাগর মিয়াসহ ৪ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতারকৃতরা- নাগরপুর উপজেলার ধুবরিয়া পূর্বপাড়া গ্রামের মজনু মিয়ার ছেলে সাগর মিয়া (১৯), একই গ্রামের মৃত মুকুল মিয়ার ছেলে আসাদুল (২২), শেওরাইল গ্রামের মৃত আজমত আলীর ছেলে ছানোয়ার হোসেন (২৫) ও আলোকদিয়া গ্রামের মৃত আমিন উদ্দিনের ছেলে মিন্নত আলী (৪২)।
এর মধ্যে সোমবার সাগর এবং মঙ্গলবার আসাদুল আদালতে স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি দিয়েছে। রেকর্ড করে টাঙ্গাইল চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতের বিচারক রুপম কুমার দাস জবানবন্দি রেকর্ড করেন। পরে তাকে টাঙ্গাইল কারাগারে পাঠানো হয়।
নাগরপুর উপজেলার ধুবড়িয়া পূর্বপাড়া গ্রামের উজ্জ্বল মিয়ার ছেলে বিপ্লব মিয়া (১৫) কে গত বছরের ১৬ ডিসেম্বর রাতে বাড়ী থেকে ডেকে নিয়ে ঘাতকরা তাকে কুপিয়ে ও গলা কেটে হত্যা করে বিলের পাড়ে ফেলে যায়। রাতে বাবা গ্রেফতার হওয়ার পরদিন সকালে ছেলের গলা কাটা লাশ উদ্ধারে এলাকায় ব্যাপক তোলপার সৃষ্টি হয়।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা নাগরপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) গোলাম মোস্তফা মন্ডল বলেন, হত্যাকান্ডের দেড় মাসের মাথায় ঘটনার রহস্য উদঘাটনসহ মূল হোতা ও কিলিং মিশনে অংশ নেয়া ৪ ঘাতককে গ্রেফতার করা হয়েছে। ঢাকা ও সাতক্ষীরার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে আসামীদের গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারের পর জিজ্ঞাসাবাদে হত্যাকান্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। সেইসাথে আসামী মিন্নত আলীকে নিয়ে আলামত উদ্ধারের কাজ চলছে।
নাগরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ আলম চাঁদ জানান, মাদকের টাকা নিয়ে বিপ্লবের বাবা চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী উজ্জ্বল মিয়ার সাথে আসাদুল ও ছানোয়ার হোসেনের দ্ব›দ্ব ছিল। তারা বিপ্লবের বাবা উজ্জ্বল মিয়াকে হত্যার পরিকল্পনা করে। কিন্তু গত বছরের ১৬ ডিসেম্বর দুপুরে মাদক ব্যবসায়ী উজ্জ্বল পুলিশের হাতে গ্রেফতার হলে তাদের সে পরিকল্পনা ভেস্তে যায়। পরে তারা ঐ রাতেই উজ্জ্বল মিয়ার ছেলে বিপ্লবকে ৪ জন মিলে কুপিয়ে ও গলা কেটে হত্যা করে। হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত ছুরি ও রক্ত মাখা জামাকাপড় তার বাড়ীর সেফটি ট্যাংকি ও রান্নাঘর থেকে পুলিশ উদ্ধার করে।
উল্লেখ্য, নিহত বিপ্লবের বাবা উজ্জ্বল মিয়া বাদী হয়ে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। চলতি বছরের ২৮ জানুয়ারি উজ্জ্বল মিয়া আত্মহত্যা করেন।