নেত্রকোনা ০২:০২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নাগরপুরের বিপ্লবকে কুপিয়ে ও জবাই করে হত্যা, ২ জনের স্বীকারোক্তি

টাঙ্গাইলের নাগরপুরে চাঞ্চল্যকর বিপ্লব মিয়া (১৫) হত্যা কান্ডের প্রধান আসামী সাগর মিয়াসহ ৪ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতারকৃতরা- নাগরপুর উপজেলার ধুবরিয়া পূর্বপাড়া গ্রামের মজনু মিয়ার ছেলে সাগর মিয়া (১৯), একই গ্রামের মৃত মুকুল মিয়ার ছেলে আসাদুল (২২), শেওরাইল গ্রামের মৃত আজমত আলীর ছেলে ছানোয়ার হোসেন (২৫) ও আলোকদিয়া গ্রামের মৃত আমিন উদ্দিনের ছেলে মিন্নত আলী (৪২)।

এর মধ্যে সোমবার সাগর এবং মঙ্গলবার আসাদুল আদালতে স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি দিয়েছে। রেকর্ড করে টাঙ্গাইল চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতের বিচারক রুপম কুমার দাস জবানবন্দি রেকর্ড করেন। পরে তাকে টাঙ্গাইল কারাগারে পাঠানো হয়।

নাগরপুর উপজেলার ধুবড়িয়া পূর্বপাড়া গ্রামের উজ্জ্বল মিয়ার ছেলে বিপ্লব মিয়া (১৫) কে গত বছরের ১৬ ডিসেম্বর রাতে বাড়ী থেকে ডেকে নিয়ে ঘাতকরা তাকে কুপিয়ে ও গলা কেটে হত্যা করে বিলের পাড়ে ফেলে যায়। রাতে বাবা গ্রেফতার হওয়ার পরদিন সকালে ছেলের গলা কাটা লাশ উদ্ধারে এলাকায় ব্যাপক তোলপার সৃষ্টি হয়।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা নাগরপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) গোলাম মোস্তফা মন্ডল বলেন, হত্যাকান্ডের দেড় মাসের মাথায় ঘটনার রহস্য উদঘাটনসহ মূল হোতা ও কিলিং মিশনে অংশ নেয়া ৪ ঘাতককে গ্রেফতার করা হয়েছে। ঢাকা ও সাতক্ষীরার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে আসামীদের গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারের পর জিজ্ঞাসাবাদে হত্যাকান্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। সেইসাথে আসামী মিন্নত আলীকে নিয়ে আলামত উদ্ধারের কাজ চলছে।

নাগরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ আলম চাঁদ জানান, মাদকের টাকা নিয়ে বিপ্লবের বাবা চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী উজ্জ্বল মিয়ার সাথে আসাদুল ও ছানোয়ার হোসেনের দ্ব›দ্ব ছিল। তারা বিপ্লবের বাবা উজ্জ্বল মিয়াকে হত্যার পরিকল্পনা করে। কিন্তু গত বছরের ১৬ ডিসেম্বর দুপুরে মাদক ব্যবসায়ী উজ্জ্বল পুলিশের হাতে গ্রেফতার হলে তাদের সে পরিকল্পনা ভেস্তে যায়। পরে তারা ঐ রাতেই উজ্জ্বল মিয়ার ছেলে বিপ্লবকে ৪ জন মিলে কুপিয়ে ও গলা কেটে হত্যা করে। হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত ছুরি ও রক্ত মাখা জামাকাপড় তার বাড়ীর সেফটি ট্যাংকি ও রান্নাঘর থেকে পুলিশ উদ্ধার করে।

উল্লেখ্য, নিহত বিপ্লবের বাবা উজ্জ্বল মিয়া বাদী হয়ে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। চলতি বছরের ২৮ জানুয়ারি উজ্জ্বল মিয়া আত্মহত্যা করেন।

আপনার মন্তব্য লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষণ করুন

প্রকাশক ও সম্পাদক সম্পর্কে-

আমি মো. শফিকুল আলম শাহীন। আমি একজন ওয়েব ডেভেলপার ও সাংবাদিক । আমি পূর্বকণ্ঠ অনলাইন প্রকাশনার সম্পাদক ও প্রকাশক। আমি জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে ইতিবাচক। আমি করতে, দেখতে এবং অভিজ্ঞতা করতে পছন্দ করি এমন অনেক কিছু আছে। আমি আইটি সেক্টর নিয়ে বিভিন্ন এক্সপেরিমেন্ট করতে পছন্দ করি। যেমন ওয়েব পেজ তৈরি করা, বিভিন্ন অ্যাপ তৈরি করা, অনলাইন রেডিও স্টেশন তৈরি করা, অনলাইন সংবাদপত্র তৈরি করা ইত্যাদি। আমাদের প্রকাশনা “পূর্বকন্ঠ” স্বাধীনতার চেতনায় একটি নিরপেক্ষ জাতীয় অনলাইন । পাঠক আমাদের সবচেয়ে বড় অনুপ্রেরনা। পূর্বকণ্ঠ কথা বলে বাঙালির আত্মপ্রত্যয়ী আহ্বান ও ত্যাগে অর্জিত স্বাধীনতার। কথা বলে স্বাধীনতার চেতনায় উদ্বুদ্ধ হতে। ছড়িয়ে দিতে এ চেতনা দেশের প্রত্যেক কোণে কোণে। আমরা রাষ্ট্রের আইন কানুন, রীতিনীতির প্রতি শ্রদ্ধাশীল। দেশপ্রেম ও রাষ্ট্রীয় আইন বিরোধী এবং বাঙ্গালীর আবহমান কালের সামাজিক সহনশীলতার বিপক্ষে পূর্বকন্ঠ কখনো সংবাদ প্রকাশ করে না। আমরা সকল ধর্মমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল, কোন ধর্মমত বা তাদের অনুসারীদের অনুভূতিতে আঘাত দিয়ে আমরা কিছু প্রকাশ করি না। আমাদের সকল প্রচেষ্টা পাঠকের সংবাদ চাহিদাকে কেন্দ্র করে। তাই পাঠকের যে কোনো মতামত আমরা সাদরে গ্রহন করব।
জনপ্রিয়

পূর্বধলায় বণিক সমিতির সাথে উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীর মতবিনিময়

নাগরপুরের বিপ্লবকে কুপিয়ে ও জবাই করে হত্যা, ২ জনের স্বীকারোক্তি

আপডেট : ১০:৩২:৫৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২০

টাঙ্গাইলের নাগরপুরে চাঞ্চল্যকর বিপ্লব মিয়া (১৫) হত্যা কান্ডের প্রধান আসামী সাগর মিয়াসহ ৪ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতারকৃতরা- নাগরপুর উপজেলার ধুবরিয়া পূর্বপাড়া গ্রামের মজনু মিয়ার ছেলে সাগর মিয়া (১৯), একই গ্রামের মৃত মুকুল মিয়ার ছেলে আসাদুল (২২), শেওরাইল গ্রামের মৃত আজমত আলীর ছেলে ছানোয়ার হোসেন (২৫) ও আলোকদিয়া গ্রামের মৃত আমিন উদ্দিনের ছেলে মিন্নত আলী (৪২)।

এর মধ্যে সোমবার সাগর এবং মঙ্গলবার আসাদুল আদালতে স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি দিয়েছে। রেকর্ড করে টাঙ্গাইল চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতের বিচারক রুপম কুমার দাস জবানবন্দি রেকর্ড করেন। পরে তাকে টাঙ্গাইল কারাগারে পাঠানো হয়।

নাগরপুর উপজেলার ধুবড়িয়া পূর্বপাড়া গ্রামের উজ্জ্বল মিয়ার ছেলে বিপ্লব মিয়া (১৫) কে গত বছরের ১৬ ডিসেম্বর রাতে বাড়ী থেকে ডেকে নিয়ে ঘাতকরা তাকে কুপিয়ে ও গলা কেটে হত্যা করে বিলের পাড়ে ফেলে যায়। রাতে বাবা গ্রেফতার হওয়ার পরদিন সকালে ছেলের গলা কাটা লাশ উদ্ধারে এলাকায় ব্যাপক তোলপার সৃষ্টি হয়।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা নাগরপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) গোলাম মোস্তফা মন্ডল বলেন, হত্যাকান্ডের দেড় মাসের মাথায় ঘটনার রহস্য উদঘাটনসহ মূল হোতা ও কিলিং মিশনে অংশ নেয়া ৪ ঘাতককে গ্রেফতার করা হয়েছে। ঢাকা ও সাতক্ষীরার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে আসামীদের গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারের পর জিজ্ঞাসাবাদে হত্যাকান্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। সেইসাথে আসামী মিন্নত আলীকে নিয়ে আলামত উদ্ধারের কাজ চলছে।

নাগরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ আলম চাঁদ জানান, মাদকের টাকা নিয়ে বিপ্লবের বাবা চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী উজ্জ্বল মিয়ার সাথে আসাদুল ও ছানোয়ার হোসেনের দ্ব›দ্ব ছিল। তারা বিপ্লবের বাবা উজ্জ্বল মিয়াকে হত্যার পরিকল্পনা করে। কিন্তু গত বছরের ১৬ ডিসেম্বর দুপুরে মাদক ব্যবসায়ী উজ্জ্বল পুলিশের হাতে গ্রেফতার হলে তাদের সে পরিকল্পনা ভেস্তে যায়। পরে তারা ঐ রাতেই উজ্জ্বল মিয়ার ছেলে বিপ্লবকে ৪ জন মিলে কুপিয়ে ও গলা কেটে হত্যা করে। হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত ছুরি ও রক্ত মাখা জামাকাপড় তার বাড়ীর সেফটি ট্যাংকি ও রান্নাঘর থেকে পুলিশ উদ্ধার করে।

উল্লেখ্য, নিহত বিপ্লবের বাবা উজ্জ্বল মিয়া বাদী হয়ে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। চলতি বছরের ২৮ জানুয়ারি উজ্জ্বল মিয়া আত্মহত্যা করেন।