নেত্রকোনা ০৬:২৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

টাঙ্গাইলে পরকীয়ার জেরে স্বামী খুন! স্ত্রী ও প্রেমিক আটক

টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে পরকীয়ার জেরে স্বামীকে খুন করেছে স্ত্রী। পুলিশ স্ত্রীসহ পরকীয়া প্রেমিককে আটক করেছে। শনিবার রাতে উপজেলার পাথালিয়া থেকে স্ত্রী সাথী খাতুন ও প্রেমিক উজ্জলকে আটক করেছে কালিহাতী থানা পুলিশ। এ ঘটনায় নিহত তোফাজ্জল হোসেন তোতার ছোট ভাই তারা মিয়া বাদী হয়ে নিহতের স্ত্রী সাথী খাতুন(৩১) ও পাথালিয়া গ্রামের সেকান্দর আলীর ছেলে পরকীয়া প্রেমিক উজ্জল(২৯) এবং একই গ্রামের মৃত নাসিম উদ্দিনের ছেলে আব্দুল জলিল(৪৫)কে আসামী করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।

জানা যায়, নিহতের স্ত্রী সাথী খাতুনের সাথে উজ্জল পরকীয়া সম্পর্ক গড়ে তুলে অবৈধ মেলামেশা করে আসছিল। বিষয়টি তোফাজ্জল হোসেন তোতা জানার পর উভয়কেই বাধা নিষেধ করে। এরই ধারাবাহিকতায় গত ১৯ ডিসেম্বর সকালে রাজমিস্ত্রির কাজ করার উদ্দেশ্যে বাড়ী থেকে বের হয়ে বাড়ীতে ফেরত আসে নাই উল্লেখ করে সাথী খাতুন ২০ ডিসেম্বর কালিহাতী থানায় একটি নিখোঁজ সংক্রান্ত সাধারণ ডায়েরী দায়ের করেন। এ খবর শুনে তোতার স্বজনেরা অনেক খোঁজাখুজি করে। খোঁজাখুজির একপর্যায়ে জানতে পারে, রাত সাড়ে ৮টার দিকে পাথালিয়া বাজারে ঘুরাফেরা করে বাড়ীর উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছে তোতা। এদিকে আসামী জলিলের বাড়ীর পাশে তোতার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি পাওয়া যায়। অপরদিকে ওইদিন দুপুরে ওই গ্রামের মোকছেদ আলী তার বাড়ীর পূর্ব পাশে টয়লেটের সেপটিক ট্যাংকের মাটির পাট ভাঙ্গা এবং ¯øাপ পরিবর্তন করা। বিষয়টি স্থানীয় মেম্বারকে জানায়। শনিবার বিকেলে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে সেপটিক ট্যাংক থেকে তোতার লাশ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় শনিবার রাতে উপজেলার পাথালিয়া থেকে স্ত্রী সাথী খাতুন ও প্রেমিক উজ্জলকে আটক করেছে কালিহাতী থানা পুলিশ।

কালিহাতী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হাসান আল মামুন বলেন, তোফাজ্জল হোসেন তোতা রাজমিস্ত্রির কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করত। গত বৃহস্পতিবার রাতে তিনি নিখোঁজ হয়। তার স্ত্রী থানায় এসে একটি সাধারণ ডায়েরী করে। তোতা মিয়াকে উদ্ধারের চেষ্টার একপর্যায়ে জানতে পারি তার স্ত্রীসহ পরকীয়ার প্রেমিক উজ্জল দুজন মিলে তোতাকে হত্যা করে লাশ গুম করার জন্য পাশ্ববর্তী এক পরিত্যক্ত বাড়ীর সেপটিক ট্যাংকের ভিতরে ফেলে রাখলে সেখান থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে নিহত তোতার স্ত্রীসহ পরকীয়ার প্রেমিক উজ্জলকে গ্রেফতার করা হয়।

আপনার মন্তব্য লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষণ করুন

প্রকাশক ও সম্পাদক সম্পর্কে-

আমি মো. শফিকুল আলম শাহীন। আমি একজন ওয়েব ডেভেলপার ও সাংবাদিক । আমি পূর্বকণ্ঠ অনলাইন প্রকাশনার সম্পাদক ও প্রকাশক। আমি জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে ইতিবাচক। আমি করতে, দেখতে এবং অভিজ্ঞতা করতে পছন্দ করি এমন অনেক কিছু আছে। আমি আইটি সেক্টর নিয়ে বিভিন্ন এক্সপেরিমেন্ট করতে পছন্দ করি। যেমন ওয়েব পেজ তৈরি করা, বিভিন্ন অ্যাপ তৈরি করা, অনলাইন রেডিও স্টেশন তৈরি করা, অনলাইন সংবাদপত্র তৈরি করা ইত্যাদি। আমাদের প্রকাশনা “পূর্বকন্ঠ” স্বাধীনতার চেতনায় একটি নিরপেক্ষ জাতীয় অনলাইন । পাঠক আমাদের সবচেয়ে বড় অনুপ্রেরনা। পূর্বকণ্ঠ কথা বলে বাঙালির আত্মপ্রত্যয়ী আহ্বান ও ত্যাগে অর্জিত স্বাধীনতার। কথা বলে স্বাধীনতার চেতনায় উদ্বুদ্ধ হতে। ছড়িয়ে দিতে এ চেতনা দেশের প্রত্যেক কোণে কোণে। আমরা রাষ্ট্রের আইন কানুন, রীতিনীতির প্রতি শ্রদ্ধাশীল। দেশপ্রেম ও রাষ্ট্রীয় আইন বিরোধী এবং বাঙ্গালীর আবহমান কালের সামাজিক সহনশীলতার বিপক্ষে পূর্বকন্ঠ কখনো সংবাদ প্রকাশ করে না। আমরা সকল ধর্মমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল, কোন ধর্মমত বা তাদের অনুসারীদের অনুভূতিতে আঘাত দিয়ে আমরা কিছু প্রকাশ করি না। আমাদের সকল প্রচেষ্টা পাঠকের সংবাদ চাহিদাকে কেন্দ্র করে। তাই পাঠকের যে কোনো মতামত আমরা সাদরে গ্রহন করব।
জনপ্রিয়

পূর্বধলায় রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় মুক্তিযোদ্ধা আলাউদ্দিনের দাফন সম্পন্ন

টাঙ্গাইলে পরকীয়ার জেরে স্বামী খুন! স্ত্রী ও প্রেমিক আটক

আপডেট : ০৭:৫৬:০৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০১৯

টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে পরকীয়ার জেরে স্বামীকে খুন করেছে স্ত্রী। পুলিশ স্ত্রীসহ পরকীয়া প্রেমিককে আটক করেছে। শনিবার রাতে উপজেলার পাথালিয়া থেকে স্ত্রী সাথী খাতুন ও প্রেমিক উজ্জলকে আটক করেছে কালিহাতী থানা পুলিশ। এ ঘটনায় নিহত তোফাজ্জল হোসেন তোতার ছোট ভাই তারা মিয়া বাদী হয়ে নিহতের স্ত্রী সাথী খাতুন(৩১) ও পাথালিয়া গ্রামের সেকান্দর আলীর ছেলে পরকীয়া প্রেমিক উজ্জল(২৯) এবং একই গ্রামের মৃত নাসিম উদ্দিনের ছেলে আব্দুল জলিল(৪৫)কে আসামী করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।

জানা যায়, নিহতের স্ত্রী সাথী খাতুনের সাথে উজ্জল পরকীয়া সম্পর্ক গড়ে তুলে অবৈধ মেলামেশা করে আসছিল। বিষয়টি তোফাজ্জল হোসেন তোতা জানার পর উভয়কেই বাধা নিষেধ করে। এরই ধারাবাহিকতায় গত ১৯ ডিসেম্বর সকালে রাজমিস্ত্রির কাজ করার উদ্দেশ্যে বাড়ী থেকে বের হয়ে বাড়ীতে ফেরত আসে নাই উল্লেখ করে সাথী খাতুন ২০ ডিসেম্বর কালিহাতী থানায় একটি নিখোঁজ সংক্রান্ত সাধারণ ডায়েরী দায়ের করেন। এ খবর শুনে তোতার স্বজনেরা অনেক খোঁজাখুজি করে। খোঁজাখুজির একপর্যায়ে জানতে পারে, রাত সাড়ে ৮টার দিকে পাথালিয়া বাজারে ঘুরাফেরা করে বাড়ীর উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছে তোতা। এদিকে আসামী জলিলের বাড়ীর পাশে তোতার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি পাওয়া যায়। অপরদিকে ওইদিন দুপুরে ওই গ্রামের মোকছেদ আলী তার বাড়ীর পূর্ব পাশে টয়লেটের সেপটিক ট্যাংকের মাটির পাট ভাঙ্গা এবং ¯øাপ পরিবর্তন করা। বিষয়টি স্থানীয় মেম্বারকে জানায়। শনিবার বিকেলে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে সেপটিক ট্যাংক থেকে তোতার লাশ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় শনিবার রাতে উপজেলার পাথালিয়া থেকে স্ত্রী সাথী খাতুন ও প্রেমিক উজ্জলকে আটক করেছে কালিহাতী থানা পুলিশ।

কালিহাতী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হাসান আল মামুন বলেন, তোফাজ্জল হোসেন তোতা রাজমিস্ত্রির কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করত। গত বৃহস্পতিবার রাতে তিনি নিখোঁজ হয়। তার স্ত্রী থানায় এসে একটি সাধারণ ডায়েরী করে। তোতা মিয়াকে উদ্ধারের চেষ্টার একপর্যায়ে জানতে পারি তার স্ত্রীসহ পরকীয়ার প্রেমিক উজ্জল দুজন মিলে তোতাকে হত্যা করে লাশ গুম করার জন্য পাশ্ববর্তী এক পরিত্যক্ত বাড়ীর সেপটিক ট্যাংকের ভিতরে ফেলে রাখলে সেখান থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে নিহত তোতার স্ত্রীসহ পরকীয়ার প্রেমিক উজ্জলকে গ্রেফতার করা হয়।