টাঙ্গাইল সদর উপজেলার যুগনী গ্রামের সানু ও নওশাদ এর হত্যাকারীদের গ্রেফতার ও বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করেছে নিহতদের পরিবার ও এলাকাবাসী।রোববার সকালে টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের সামনে ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধনে শত শত নারীপুরুষ অংশ নিয়ে হত্যাকারীদেও গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন ।
মানববন্ধনকারীরা জানায়,জোড়াখুনের মামলার এজাহারভুক্ত ১২জন আসামীর মধ্যে ৪জনকে পুলিশ গ্রেফতার করলেও বাকী আসামীরা রয়েছে ধরাছোয়ার বাইরে।এজাহারভুক্ত ৪জন আসামী গ্রেফতার হলেও তাদের মধ্যে ৩জন ইলিয়াস, নজরুল ও নিজাম জামিনে মুক্তি পেয়ে তাদের ঘনিষ্ট সহযোগী স্থানীয় বাবলু ও তার ভাই সাইদুর,আলম টাইগার,মজনু,খাজা,শামসুল ও শাকিল মিলে মামলা তুলে নেয়ার জন্য মামলার বাদীকে বিভিন্ন প্রকার হুমকি ও ভয়ভীতি দেখাচ্ছে।এতে করে মামলার বাদী ও তার পরিবার চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভূগছেন।
উল্লেখ,২০১৯ সালের ২৭মার্চ সকাল ১০টার দিকে নিহত সানুর ভাতিজা বাচ্চুর কাছে মোটর সাইকেল চায় একই এলাকার বাবু মিয়া।বাচ্চু মোটর সাইকেল না দেয়ায় বাবু ও তার লোকজন বাচ্চুকে মারধর করে।এ ঘটনা জানার পর সানু ও তার পরিবারের লোকজন সকাল ১১টার দিকে তার ভাতিজাকে মারধরের বিষয়টি জানতে বাবুদের বাড়িতে গেলে বাবু ক্ষিপ্ত হয়ে বাবু ও তার লোকজন সানুর উপর হামলা চালায়।এসময় ধারালো অস্ত্র দিয়ে সানুকে কোপাতে থাকে।
সানুকে বাচাতে পরিবারের লোকজন এগিয়ে এলে তাদেরও কুপিয়ে আহত করে।পরে গুরুতর অবস্থায় ৬জনকে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক সানু ও নওশাদকে মৃত ঘোষনা করেন।
এ ঘটনায় নিহত নওশাদের ছোট ভাই শাহজাহান কবির বাদী হয়ে টাঙ্গাইল মডেল থানায় ১২জনকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেন।