খোরশেদ আলম,ঝিনাইগাতী (শেরপুর) সংবাদদাতা:
শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে অবশেষে ইউএনও’র হস্তক্ষেপে ১০টাকা কেজি দরের চাল পেল ৫৫ হতদরিদ্র পরিবার। ১০ টাকা কেজি দরের চাল পেয়ে খুশি ওই পরিবারের সদস্যরা। গতকাল ১ অক্টোবর মঙ্গলবার উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এসব চাল বিতরণ করা হয়। ২৯ সেপ্টেম্বর রবিবার উপজেলার কাংশা ইউনিয়নের বাকাকুড়া বাজারে গুদাম থেকে এসব চাল পাচারকালে স্থানীয় ইউপি সদস্য জাহাঙ্গীর আলম মিস্টারের নেতৃত্বে জনতা এসব চাল আটক করে।
জাহাঙ্গীর আলম মিস্টার, যুবলীগ নেতা আজিজুর রহমানসহ স্থানীয় বাসীন্দরা জানায়, ১০ টাকা কেজি দরে চাল বিতরণ শুরু হওয়ার পর থেকেই ৫০/৬০টি বেওয়ারীশ কার্ড দেখিয়ে ওইসব কার্ডের চাল কালোবাজারে বিক্রি করা হচ্ছিল। এ অভিযোগের প্রেক্ষিতে রবিবার দুপুরে ৫৫ বস্তা চাল আটকের অভিযোগ তুলে স্থানীয় লোকজন। খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুবেল মাহমুদ ঘটনাস্থল পরিদর্শণ করেন। নির্বাহী অফিসার রুবেল মাহমুদ ৫৫ বস্তা চাল স্থানীয় ইউপি সদস্য জাহাঙ্গীর আলম মিস্টারের ত্বত্তাবধানে রাখেন।
এ বিষয়ে নির্বাহী অফিসার রুবেল মাহমুদ, উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক, কাংশা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জহুরুল ইসলাম, ডিলার আলম মিয়াসহ ওই ইউনিয়নের সকল সদস্যদের ডেকে বিকেলে বৈঠক করেন তাদের নিয়ে। পরে ওই বেওয়ারিশ কার্ডের ৫জন ওয়ারীশের সন্ধ্যান মিলে। তবে গত তিন বছর আগে তাদের নামে ১০ টাকা কেজি দরের চালের কার্ড ইস্যু হলেও তারা জানতো না যে তাদের নামে কার্ড ইস্যু হয়েছে।
এছাড়া বাকী কার্ডগুলোর সম্পর্কে প্রশাসনের পক্ষ থেকে বলা হয় কিছু কার্ডধারী মারা এবং কিছু দেশের অন্যত্র চলে যাওয়ায় ওই কার্ডগুলো হত-দরিদ্রদের নামে নতুন করে বরাদ্দ দিয়ে ওইসব চাল বিতরণ করা হয়। চাল বিতরণের সময় উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক আব্দুল্লাহ ইবনে হোসেন উপস্থিত থেকে ওইসব চাল বিতরণ করেন। তিনি বলেন, ইউএনও রুবেল মাহমুদের নির্দেশে ওই বেওয়ারিশ কার্ডের নতুন করে ওয়ারীশ স্থাপন করে ওই হতদরিদ্রদের মাঝে বিতরণ কর হয় চাল। ইউএনও রুবেল মাহমুদের হস্তক্ষেপে ১০টাকা হেজি চাল পেয়ে খুশি ওই হতদরিদ্র পরিবারের সদস্যরা।