নেত্রকোনা ০৫:০২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ঝিনাইগাতীতে ইউএনও’র হস্তক্ষেপে চাল পেল ৫৫ হতদরিদ্র পরিবার

  • আপডেট : ১০:১৩:৫৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১ অক্টোবর ২০১৯
  • ১৯৪

খোরশেদ আলম,ঝিনাইগাতী (শেরপুর) সংবাদদাতা:

শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে অবশেষে ইউএনও’র হস্তক্ষেপে ১০টাকা কেজি দরের চাল পেল ৫৫ হতদরিদ্র পরিবার। ১০ টাকা কেজি দরের চাল পেয়ে খুশি ওই পরিবারের সদস্যরা। গতকাল ১ অক্টোবর মঙ্গলবার উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এসব চাল বিতরণ করা হয়। ২৯ সেপ্টেম্বর রবিবার উপজেলার কাংশা ইউনিয়নের বাকাকুড়া বাজারে গুদাম থেকে এসব চাল পাচারকালে স্থানীয় ইউপি সদস্য জাহাঙ্গীর আলম মিস্টারের নেতৃত্বে জনতা এসব চাল আটক করে।

জাহাঙ্গীর আলম মিস্টার, যুবলীগ নেতা আজিজুর রহমানসহ স্থানীয় বাসীন্দরা জানায়, ১০ টাকা কেজি দরে চাল বিতরণ শুরু হওয়ার পর থেকেই ৫০/৬০টি বেওয়ারীশ কার্ড দেখিয়ে ওইসব কার্ডের চাল কালোবাজারে বিক্রি করা হচ্ছিল। এ অভিযোগের প্রেক্ষিতে রবিবার দুপুরে ৫৫ বস্তা চাল আটকের অভিযোগ তুলে স্থানীয় লোকজন। খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুবেল মাহমুদ ঘটনাস্থল পরিদর্শণ করেন। নির্বাহী অফিসার রুবেল মাহমুদ ৫৫ বস্তা চাল স্থানীয় ইউপি সদস্য জাহাঙ্গীর আলম মিস্টারের ত্বত্তাবধানে রাখেন।

এ বিষয়ে নির্বাহী অফিসার রুবেল মাহমুদ, উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক, কাংশা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জহুরুল ইসলাম, ডিলার আলম মিয়াসহ ওই ইউনিয়নের সকল সদস্যদের ডেকে বিকেলে বৈঠক করেন তাদের নিয়ে। পরে ওই বেওয়ারিশ কার্ডের ৫জন ওয়ারীশের সন্ধ্যান মিলে। তবে গত তিন বছর আগে তাদের নামে ১০ টাকা কেজি দরের চালের কার্ড ইস্যু হলেও তারা জানতো না যে তাদের নামে কার্ড ইস্যু হয়েছে।

এছাড়া বাকী কার্ডগুলোর সম্পর্কে প্রশাসনের পক্ষ থেকে বলা হয় কিছু কার্ডধারী মারা এবং কিছু দেশের অন্যত্র চলে যাওয়ায় ওই কার্ডগুলো হত-দরিদ্রদের নামে নতুন করে বরাদ্দ দিয়ে ওইসব চাল বিতরণ করা হয়। চাল বিতরণের সময় উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক আব্দুল্লাহ ইবনে হোসেন উপস্থিত থেকে ওইসব চাল বিতরণ করেন। তিনি বলেন, ইউএনও রুবেল মাহমুদের নির্দেশে ওই বেওয়ারিশ কার্ডের নতুন করে ওয়ারীশ স্থাপন করে ওই হতদরিদ্রদের মাঝে বিতরণ কর হয় চাল। ইউএনও রুবেল মাহমুদের হস্তক্ষেপে ১০টাকা হেজি চাল পেয়ে খুশি ওই হতদরিদ্র পরিবারের সদস্যরা।

আপনার মন্তব্য লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষণ করুন

প্রকাশক ও সম্পাদক সম্পর্কে-

আমি মো. শফিকুল আলম শাহীন। আমি একজন ওয়েব ডেভেলপার ও সাংবাদিক । আমি পূর্বকণ্ঠ অনলাইন প্রকাশনার সম্পাদক ও প্রকাশক। আমি জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে ইতিবাচক। আমি করতে, দেখতে এবং অভিজ্ঞতা করতে পছন্দ করি এমন অনেক কিছু আছে। আমি আইটি সেক্টর নিয়ে বিভিন্ন এক্সপেরিমেন্ট করতে পছন্দ করি। যেমন ওয়েব পেজ তৈরি করা, বিভিন্ন অ্যাপ তৈরি করা, অনলাইন রেডিও স্টেশন তৈরি করা, অনলাইন সংবাদপত্র তৈরি করা ইত্যাদি। আমাদের প্রকাশনা “পূর্বকন্ঠ” স্বাধীনতার চেতনায় একটি নিরপেক্ষ জাতীয় অনলাইন । পাঠক আমাদের সবচেয়ে বড় অনুপ্রেরনা। পূর্বকণ্ঠ কথা বলে বাঙালির আত্মপ্রত্যয়ী আহ্বান ও ত্যাগে অর্জিত স্বাধীনতার। কথা বলে স্বাধীনতার চেতনায় উদ্বুদ্ধ হতে। ছড়িয়ে দিতে এ চেতনা দেশের প্রত্যেক কোণে কোণে। আমরা রাষ্ট্রের আইন কানুন, রীতিনীতির প্রতি শ্রদ্ধাশীল। দেশপ্রেম ও রাষ্ট্রীয় আইন বিরোধী এবং বাঙ্গালীর আবহমান কালের সামাজিক সহনশীলতার বিপক্ষে পূর্বকন্ঠ কখনো সংবাদ প্রকাশ করে না। আমরা সকল ধর্মমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল, কোন ধর্মমত বা তাদের অনুসারীদের অনুভূতিতে আঘাত দিয়ে আমরা কিছু প্রকাশ করি না। আমাদের সকল প্রচেষ্টা পাঠকের সংবাদ চাহিদাকে কেন্দ্র করে। তাই পাঠকের যে কোনো মতামত আমরা সাদরে গ্রহন করব।
জনপ্রিয়

পূর্বধলায় বণিক সমিতির সাথে উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীর মতবিনিময়

ঝিনাইগাতীতে ইউএনও’র হস্তক্ষেপে চাল পেল ৫৫ হতদরিদ্র পরিবার

আপডেট : ১০:১৩:৫৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১ অক্টোবর ২০১৯

খোরশেদ আলম,ঝিনাইগাতী (শেরপুর) সংবাদদাতা:

শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে অবশেষে ইউএনও’র হস্তক্ষেপে ১০টাকা কেজি দরের চাল পেল ৫৫ হতদরিদ্র পরিবার। ১০ টাকা কেজি দরের চাল পেয়ে খুশি ওই পরিবারের সদস্যরা। গতকাল ১ অক্টোবর মঙ্গলবার উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এসব চাল বিতরণ করা হয়। ২৯ সেপ্টেম্বর রবিবার উপজেলার কাংশা ইউনিয়নের বাকাকুড়া বাজারে গুদাম থেকে এসব চাল পাচারকালে স্থানীয় ইউপি সদস্য জাহাঙ্গীর আলম মিস্টারের নেতৃত্বে জনতা এসব চাল আটক করে।

জাহাঙ্গীর আলম মিস্টার, যুবলীগ নেতা আজিজুর রহমানসহ স্থানীয় বাসীন্দরা জানায়, ১০ টাকা কেজি দরে চাল বিতরণ শুরু হওয়ার পর থেকেই ৫০/৬০টি বেওয়ারীশ কার্ড দেখিয়ে ওইসব কার্ডের চাল কালোবাজারে বিক্রি করা হচ্ছিল। এ অভিযোগের প্রেক্ষিতে রবিবার দুপুরে ৫৫ বস্তা চাল আটকের অভিযোগ তুলে স্থানীয় লোকজন। খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুবেল মাহমুদ ঘটনাস্থল পরিদর্শণ করেন। নির্বাহী অফিসার রুবেল মাহমুদ ৫৫ বস্তা চাল স্থানীয় ইউপি সদস্য জাহাঙ্গীর আলম মিস্টারের ত্বত্তাবধানে রাখেন।

এ বিষয়ে নির্বাহী অফিসার রুবেল মাহমুদ, উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক, কাংশা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জহুরুল ইসলাম, ডিলার আলম মিয়াসহ ওই ইউনিয়নের সকল সদস্যদের ডেকে বিকেলে বৈঠক করেন তাদের নিয়ে। পরে ওই বেওয়ারিশ কার্ডের ৫জন ওয়ারীশের সন্ধ্যান মিলে। তবে গত তিন বছর আগে তাদের নামে ১০ টাকা কেজি দরের চালের কার্ড ইস্যু হলেও তারা জানতো না যে তাদের নামে কার্ড ইস্যু হয়েছে।

এছাড়া বাকী কার্ডগুলোর সম্পর্কে প্রশাসনের পক্ষ থেকে বলা হয় কিছু কার্ডধারী মারা এবং কিছু দেশের অন্যত্র চলে যাওয়ায় ওই কার্ডগুলো হত-দরিদ্রদের নামে নতুন করে বরাদ্দ দিয়ে ওইসব চাল বিতরণ করা হয়। চাল বিতরণের সময় উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক আব্দুল্লাহ ইবনে হোসেন উপস্থিত থেকে ওইসব চাল বিতরণ করেন। তিনি বলেন, ইউএনও রুবেল মাহমুদের নির্দেশে ওই বেওয়ারিশ কার্ডের নতুন করে ওয়ারীশ স্থাপন করে ওই হতদরিদ্রদের মাঝে বিতরণ কর হয় চাল। ইউএনও রুবেল মাহমুদের হস্তক্ষেপে ১০টাকা হেজি চাল পেয়ে খুশি ওই হতদরিদ্র পরিবারের সদস্যরা।