খোরশেদ আলম,শেরপুর প্রতিনিধি:
শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে আদালতের নির্দেশ অমান্য করে আদিবাসী পরিবারের জমি দখলের পাঁয়তারার অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি ঘটে উপজেলার বাকাকুড়া গ্রামে।
এ অভিযোগ সমিকা ¤্রংসহ তার পরিবারের লোকদের। সমিকা ¤্রং জানান, গারো সামাজিক আইনে মাতৃতান্ত্রিক নিয়ম অনুযায়ী ৩০একর জমির মালিক তারা ৪বোন। স্বাধিনতার পর থেকে ওই জমি ভোগ-দখল করে আসছিল তারা। কিন্তু একই গ্রামের উর্সুলা ¤্রং ও তার লোকজন প্রতারণার আশ্রয় গ্রহণ করে প্রায় ২০একর জমি বেদখল দেয়।
তারা জোরপূর্বক ওই জমি ভোগ-দখল করে আসছেন। বাদবাকী জমির প্রতিও লোভ জাগে উর্সুলা ¤্রং ও তার লোকজনের। এ ব্যাপারে সমিকা ¤্রং বাদী হয়ে ২৮জুলাই শেরপুরের যুগ্ম জেলা জজ আদালতে একটি নিষেধাজ্ঞা মামলা দায়ের করেন। আদালত তর্কিত জমি যাতে বেদখল না হয় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্যে ঝিনাইগাতী থানার ওসিকে নির্দেশ দেন।
উক্ত নির্দেশ বলে থানা-পুলিশের পক্ষ থেকে বিবাদীদের ওই জমিতে প্রবেশ না করতে নোটিশ জারি করা হয়। কিন্তু আদালতের ওই নির্দেশ অমান্য করে বিবাদীরা উক্ত তর্কিত জমির উপর ঘর উত্তোলনের কাজ শুরু করে।
বিবাদীদের এ ধরনের কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতেও সাহস পাচ্ছে না সমিকা ¤্রং ও তার লোকজন। এ অবস্থায় রোববার বিকেলে সমিকা ¤্রং ও তার লোকজন প্রেসক্লাবে এসে বিবাদীদের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ করেন। বর্তমানে তার পরিবারের লোকজন নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছেন বলে জানান।
ওই নিষেধাজ্ঞা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এএসআই মাসরুক সিদ্দিকি’র সাথে কথা হলে তিনি বলেন, বিবাদীরা তর্কিত জমিতে ঘর উত্তোলন করতে গেলে খবর পেয়ে কাজ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। বিবাদী উর্সুলা ¤্রং বলেন, সমিলা ¤্রং এর নানী আমাকে দত্তক এনেছিল। তাই আমিও উক্ত জমির মালিক।