মেহেদী হাসান,রাবি সংবাদদাতা:
ছাত্রীর শ্লীলতাহানির অভিযোগে দায়েরকৃত মামলায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সংস্কৃত বিভাগের অধ্যাপক ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেসা হলের প্রাধ্যক্ষ বিথীকা বণিকের ছোটভাইকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বুধবার গ্রেপ্তারকৃতকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, ভুক্তভোগী ওই ছাত্রী গত মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন ধরমপুর এলাকার যোজক টাওয়ার ভবনে অধ্যাপক বিথীকা বণিকের ছোটমেয়েকে পড়াতে গিয়েছিলেন। কিন্তু দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া ও অধ্যাপকের শারীরিক অসুস্থতার কারণে ওই ছাত্রী রাতে অধ্যাপকের বাসাতেই থেকে যান।
কিন্তু রাত দেড়টার দিকে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেসা হলে সমস্যা হওয়ায় অধ্যাপক বিথীকা বণিক তৎক্ষণাত হলে চলে আসেন। সকাল পর্যন্ত তিনি হলেই ছিলেন। এই সুযোগে দীর্ঘদিন ধরে এই অধ্যাপকের বাড়িতে বসবাসরত শ্যামল বণিক ওই ছাত্রীর শ্লীলতাহানির চেষ্টা করেন। পরে মেয়েটি জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ এ ফোন করলে মতিহার থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মেয়েটিকে উদ্ধার করেন এবং শ্যামল বণিককে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। পরে ওই ছাত্রী বাদী হয়ে অভিযুক্ত শ্যামল বণিককে আসামি করে বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশে অবস্থিত মতিহার থানায় শ্লীলতাহানীর মামলা করেন।
জানতে চাইলে অধ্যাপক বিথীকা বণিক বলেন, ‘মঙ্গলবার রাত দেড়টার দিকে হলে একটা সমস্যা হওয়ায় তৎক্ষণাত আমি বাসা থেকে হলে আসি। রাতে আমি হলেই ছিলাম। সকালে বিষয়টি জানতে পারি।’ তিনি বলেন, ‘ঘটনাটি সুষ্ঠু তদন্ত হওয়া জরুরি। যদি আমার ভাইয়ের দোষ থাকে তাহলে অবশ্যই তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হোক এটাই আমার দাবি।’
মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাফিজুর রহমান বলেন, ‘শ্যামল বণিককে গতকালই (বুধবার) আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।