নেত্রকোনা ০২:৩২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চাকরিচ্যুতদের বহালের দাবিতে এসএটিভি অফিসে তালা

  • আপডেট : ০৪:৪০:১০ অপরাহ্ন, শনিবার, ৭ ডিসেম্বর ২০১৯
  • ৫৮৮

স্টাফ রিপোর্টার: নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে এসএটিভির ব্রডকাস্ট ও প্রোগ্রাম বিভাগের ১০ কর্মীকে ছাঁটাই এবং ৮ সংবাদকর্মীকে শুধুমাত্র কারণ দর্শানো নোটিশের মাধ্যমে বরখাস্তকৃতদের চাকরিতে বহাল না করায় পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী এসএটিভি কার্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছেন ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন- ডিইউজে নেতারা।

শনিবার (৭ ডিসেম্বর) বেলা ১১টার দিকে গুলশানে প্রতিষ্ঠানটিতে তালা ঝুলিয়ে অবস্থান কর্মসুচি পালন করছেন তারা। দীর্ঘদিন ধরে চলা এসএটিভিতে বকেয়া বেতন এবং সম্প্রতি সাংবাদিক ও বিভিন্ন বিভাগের কর্মী ছাঁটাইয়ের ইস্যুতে উত্তপ্ত পরিস্থিতি চলছে । এরই পরিপ্রেক্ষিতে ডিইউজে নেতারা বিষয়টির সুরাহার জন্য গেল ৭ অক্টোবর এসএটিভি কর্তৃপক্ষ এবং কর্মীদের সমন্বয়ে একটি ত্রিপক্ষীয় চুক্তি হয়।

কিন্তু প্রতিষ্ঠানটির মালিক চুক্তির তোয়াক্কা না করে ছাঁটাই এবং বেতন বকেয়াসহ নানা অনিয়ম নির্যাতন শুরু করেন। এতে আবারো বিক্ষুব্ধ হয়ে পড়েন কর্মীরা। উদ্ভুত পরিস্থিতিতে ডিইউজে নেতারা গত ৩ ডিসেম্বর আলোচনার জন্য প্রতিষ্ঠানটিতে যান। কিন্তু ব্যবস্থাপনা পরিচালক সালাহউদ্দিন আহমেদ নেতাদের সময় দিয়েও আলোচনায় না বসে পরদিন ৪ ডিসেম্বর বিকেলে আলোচনার জন্য ডিইউজে নেতাদের আসতে বলেন। ৪ ডিসেম্বর বুধবার সালাহউদ্দিন আহমেদ আলোচনা হবে না বলে তাদেরকে জানিয়ে দিলে বৃহস্পতিবার অবস্থান কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দেন।

কর্মসূচিতে ডিইউজে সভাপতি আবু জাফর সুর্য বলেন, এসএটিভির মালিক তার প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের মতো ডিইউজের সাথেও প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে একের পর এক গেম খেলছেন। তার এই হঠকারিতা প্রমাণ করেছে যে তিনি তার প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের সাথে কী ধরনের অন্যায় জুলুম করছেন।

তিনি এসএটিভির ব্যবস্থাপনা পরিচালক সালাহউদ্দিন আহমেদকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, যদি শনিবার সকাল ১১ টার মধ্যে চাকরিচ্যুত ৮ সাংবাদিক ও ১০ কর্মীকে বহাল করা না হয়, তাহলে ওইদিন আপনার প্রতিষ্ঠানে তালা ঝুলিয়ে দেয়া হবে। এসময় ডিইউজের সাধারণ সম্পাদক সোহেল হায়দার চৌধুরী এসএটিভির মালিকের উদ্দেশ্য বলেন, আপনার দুর্নীতি-অপকর্ম ফাঁস হওয়ার আগে চাকরিচ্যুতদের বহাল করুন। না হলে আপনার যাবতীয় অপকর্মের তথ্য জাতির সামনে তুলে ধরে আপনার মুখোশ খুলে দেয়া হবে। ওইদিনই ৮ সংবাদকর্মীকে চাকরিচ্যুত করে নিউজরুমে মোরগ পোলাও পার্টি দেন হেড অব নিউজ মাহমুদ আল ফয়সাল।

প্রতিষ্ঠানটির শতাধিক গণমাধ্যমকর্মীকে চাকরিচ্যুত করার চক্রান্তসহ নানাভাবে নাজেহাল করার জের ধরে এই ফয়সাল গত ২৭ নভেম্বর সব পর্যায়ের কর্মীদের তোপের মুখে পড়েন। এক পর্যায়ে তিনি নিরাপদে অফিস থেকে বের হয়ে যেতে বাধ্য হন। এরপর হেড অব নিউজ মাহমুদ আল ফয়সালের প্রতি অনাস্থা জানিয়ে এসএটিভির সব পর্যায়ের কর্মীরা একজোট হয়ে গণস্বাক্ষর করেন। প্রতিষ্ঠানটির ১৫০ জনেরও বেশি কর্মী তার বিরুদ্ধে গণস্বাক্ষর দিয়ে অনাস্থা জানিয়েছেন।এঘটনা নিয়ে শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) এসএটিভির ব্যবস্থাপনা পরিচালক সালাহউদ্দিন আহমেদ প্রতিষ্ঠানটির সব পর্যায়ের কর্মীদের নিয়ে বৈঠক করেন।

আর এদিকে এখনও হেড অব নিউজ মাহমুদ আল ফয়সাল এসএটিভিতে বহালতবিয়তে রয়েছেন।

আপনার মন্তব্য লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষণ করুন

প্রকাশক ও সম্পাদক সম্পর্কে-

আমি মো. শফিকুল আলম শাহীন। আমি একজন ওয়েব ডেভেলপার ও সাংবাদিক । আমি পূর্বকণ্ঠ অনলাইন প্রকাশনার সম্পাদক ও প্রকাশক। আমি জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে ইতিবাচক। আমি করতে, দেখতে এবং অভিজ্ঞতা করতে পছন্দ করি এমন অনেক কিছু আছে। আমি আইটি সেক্টর নিয়ে বিভিন্ন এক্সপেরিমেন্ট করতে পছন্দ করি। যেমন ওয়েব পেজ তৈরি করা, বিভিন্ন অ্যাপ তৈরি করা, অনলাইন রেডিও স্টেশন তৈরি করা, অনলাইন সংবাদপত্র তৈরি করা ইত্যাদি। আমাদের প্রকাশনা “পূর্বকন্ঠ” স্বাধীনতার চেতনায় একটি নিরপেক্ষ জাতীয় অনলাইন । পাঠক আমাদের সবচেয়ে বড় অনুপ্রেরনা। পূর্বকণ্ঠ কথা বলে বাঙালির আত্মপ্রত্যয়ী আহ্বান ও ত্যাগে অর্জিত স্বাধীনতার। কথা বলে স্বাধীনতার চেতনায় উদ্বুদ্ধ হতে। ছড়িয়ে দিতে এ চেতনা দেশের প্রত্যেক কোণে কোণে। আমরা রাষ্ট্রের আইন কানুন, রীতিনীতির প্রতি শ্রদ্ধাশীল। দেশপ্রেম ও রাষ্ট্রীয় আইন বিরোধী এবং বাঙ্গালীর আবহমান কালের সামাজিক সহনশীলতার বিপক্ষে পূর্বকন্ঠ কখনো সংবাদ প্রকাশ করে না। আমরা সকল ধর্মমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল, কোন ধর্মমত বা তাদের অনুসারীদের অনুভূতিতে আঘাত দিয়ে আমরা কিছু প্রকাশ করি না। আমাদের সকল প্রচেষ্টা পাঠকের সংবাদ চাহিদাকে কেন্দ্র করে। তাই পাঠকের যে কোনো মতামত আমরা সাদরে গ্রহন করব।
জনপ্রিয়

পূর্বধলায় বণিক সমিতির সাথে উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীর মতবিনিময়

চাকরিচ্যুতদের বহালের দাবিতে এসএটিভি অফিসে তালা

আপডেট : ০৪:৪০:১০ অপরাহ্ন, শনিবার, ৭ ডিসেম্বর ২০১৯

স্টাফ রিপোর্টার: নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে এসএটিভির ব্রডকাস্ট ও প্রোগ্রাম বিভাগের ১০ কর্মীকে ছাঁটাই এবং ৮ সংবাদকর্মীকে শুধুমাত্র কারণ দর্শানো নোটিশের মাধ্যমে বরখাস্তকৃতদের চাকরিতে বহাল না করায় পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী এসএটিভি কার্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছেন ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন- ডিইউজে নেতারা।

শনিবার (৭ ডিসেম্বর) বেলা ১১টার দিকে গুলশানে প্রতিষ্ঠানটিতে তালা ঝুলিয়ে অবস্থান কর্মসুচি পালন করছেন তারা। দীর্ঘদিন ধরে চলা এসএটিভিতে বকেয়া বেতন এবং সম্প্রতি সাংবাদিক ও বিভিন্ন বিভাগের কর্মী ছাঁটাইয়ের ইস্যুতে উত্তপ্ত পরিস্থিতি চলছে । এরই পরিপ্রেক্ষিতে ডিইউজে নেতারা বিষয়টির সুরাহার জন্য গেল ৭ অক্টোবর এসএটিভি কর্তৃপক্ষ এবং কর্মীদের সমন্বয়ে একটি ত্রিপক্ষীয় চুক্তি হয়।

কিন্তু প্রতিষ্ঠানটির মালিক চুক্তির তোয়াক্কা না করে ছাঁটাই এবং বেতন বকেয়াসহ নানা অনিয়ম নির্যাতন শুরু করেন। এতে আবারো বিক্ষুব্ধ হয়ে পড়েন কর্মীরা। উদ্ভুত পরিস্থিতিতে ডিইউজে নেতারা গত ৩ ডিসেম্বর আলোচনার জন্য প্রতিষ্ঠানটিতে যান। কিন্তু ব্যবস্থাপনা পরিচালক সালাহউদ্দিন আহমেদ নেতাদের সময় দিয়েও আলোচনায় না বসে পরদিন ৪ ডিসেম্বর বিকেলে আলোচনার জন্য ডিইউজে নেতাদের আসতে বলেন। ৪ ডিসেম্বর বুধবার সালাহউদ্দিন আহমেদ আলোচনা হবে না বলে তাদেরকে জানিয়ে দিলে বৃহস্পতিবার অবস্থান কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দেন।

কর্মসূচিতে ডিইউজে সভাপতি আবু জাফর সুর্য বলেন, এসএটিভির মালিক তার প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের মতো ডিইউজের সাথেও প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে একের পর এক গেম খেলছেন। তার এই হঠকারিতা প্রমাণ করেছে যে তিনি তার প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের সাথে কী ধরনের অন্যায় জুলুম করছেন।

তিনি এসএটিভির ব্যবস্থাপনা পরিচালক সালাহউদ্দিন আহমেদকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, যদি শনিবার সকাল ১১ টার মধ্যে চাকরিচ্যুত ৮ সাংবাদিক ও ১০ কর্মীকে বহাল করা না হয়, তাহলে ওইদিন আপনার প্রতিষ্ঠানে তালা ঝুলিয়ে দেয়া হবে। এসময় ডিইউজের সাধারণ সম্পাদক সোহেল হায়দার চৌধুরী এসএটিভির মালিকের উদ্দেশ্য বলেন, আপনার দুর্নীতি-অপকর্ম ফাঁস হওয়ার আগে চাকরিচ্যুতদের বহাল করুন। না হলে আপনার যাবতীয় অপকর্মের তথ্য জাতির সামনে তুলে ধরে আপনার মুখোশ খুলে দেয়া হবে। ওইদিনই ৮ সংবাদকর্মীকে চাকরিচ্যুত করে নিউজরুমে মোরগ পোলাও পার্টি দেন হেড অব নিউজ মাহমুদ আল ফয়সাল।

প্রতিষ্ঠানটির শতাধিক গণমাধ্যমকর্মীকে চাকরিচ্যুত করার চক্রান্তসহ নানাভাবে নাজেহাল করার জের ধরে এই ফয়সাল গত ২৭ নভেম্বর সব পর্যায়ের কর্মীদের তোপের মুখে পড়েন। এক পর্যায়ে তিনি নিরাপদে অফিস থেকে বের হয়ে যেতে বাধ্য হন। এরপর হেড অব নিউজ মাহমুদ আল ফয়সালের প্রতি অনাস্থা জানিয়ে এসএটিভির সব পর্যায়ের কর্মীরা একজোট হয়ে গণস্বাক্ষর করেন। প্রতিষ্ঠানটির ১৫০ জনেরও বেশি কর্মী তার বিরুদ্ধে গণস্বাক্ষর দিয়ে অনাস্থা জানিয়েছেন।এঘটনা নিয়ে শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) এসএটিভির ব্যবস্থাপনা পরিচালক সালাহউদ্দিন আহমেদ প্রতিষ্ঠানটির সব পর্যায়ের কর্মীদের নিয়ে বৈঠক করেন।

আর এদিকে এখনও হেড অব নিউজ মাহমুদ আল ফয়সাল এসএটিভিতে বহালতবিয়তে রয়েছেন।