নেত্রকোনা ০৮:৩৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

গৌরীপুরে একসঙ্গে তিন হিন্দু যুবকের ধর্ম গ্রহন

ময়মনসিংহের গৌরীপুরে একই গ্রামের প্রতিবেশী তিন যুবক আদালতে এফিডেবিটের মাধ্যমে হিন্দু ধর্ম পরিত্যাগ করে ইসলাম ধর্ম গ্রহন করেছেন। ইসলাম ধর্ম গ্রহনের পর উসমান, উমর ও আবু বক্কর নাম ধারন করেন তারা। ইসলাম ধর্ম গ্রহনকারী যুবকরা হলেন, এ উপজেলা রামগোপালপুর ইউনিয়নের পশ্চিম পাড়া গ্রামের অজয় চন্দ্র বর্মণের ছেলে হৃদয় চন্দ্র বর্মণ (১৯) বর্তমান নাম উসমান, দীলিপ চন্দ্র বর্মণের ছেলে প্রদীপ চন্দ্র বর্মণ (২১) বর্তমান নাম উমর ও শশী বর্মণের ছেলে অমল চন্দ্র বর্মণ (১৯) বর্তমান নাম আবু বক্কর।

উল্লেখিত তিন যুবকের সাথে কথা বলে জানা যায়, তার দীর্ঘদিন ধরে ইসলাম ধর্মের বিভিন্ন বই পাঠ করে ও বিভিন্ন দিক দিয়ে এ ধর্ম সম্পর্কে অবগত হয়ে তারা ইসলাম ধর্মের প্রতি আকৃষ্ট হন। ইসলাম ধর্মের প্রতি তাদের মন আকৃষ্ট হলেও নানা প্রতিবন্ধকতার কারনে এতদিন নিজ ধর্ম পরিত্যাগ করতে পারেননি তারা। অবশেষে ৬ ফেব্রুয়ারী ময়মনসিংহের বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিট্রেট সম্মুখে এফিডেবিটের মাধ্যমে হিন্দু ধর্ম পরিত্যাগ করে একসঙ্গে ইসলাম ধর্ম গ্রহন করেন ওই তিন যুবক।

স্থানীয় কয়েকজন জানান, ইসলাম ধর্ম গ্রহনের বিষয়টি জানাজানা হলে উল্লেখিত তিন যুবকের পরিবারের লোকজন তা মেনে নেননি। তাই বাড়ি ছেড়ে এখন এ তিন যুবক রাজধানীর একটি বেসরকারি কোম্পানীতে চাকুরিতে যোগদান করেছেন বলে তারা জানতে পেরেছেন।

এফিডেবিটে প্রকাশ, স্থানীয় এক মসজিদের জনৈক ইমামের সম্মুখে ‘লা-ইলাহা ইল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসুল্লাহ (সাঃ) পাঠ করে তারা ইসলাম ধর্মে দীক্ষিত হয়ে পবিত্র গ্রন্থ আল কোরআনের উপর বিশ্বাস স্থাপন করেন।

আপনার মন্তব্য লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষণ করুন

প্রকাশক ও সম্পাদক সম্পর্কে-

আমি মো. শফিকুল আলম শাহীন। আমি একজন ওয়েব ডেভেলপার ও সাংবাদিক । আমি পূর্বকণ্ঠ অনলাইন প্রকাশনার সম্পাদক ও প্রকাশক। আমি জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে ইতিবাচক। আমি করতে, দেখতে এবং অভিজ্ঞতা করতে পছন্দ করি এমন অনেক কিছু আছে। আমি আইটি সেক্টর নিয়ে বিভিন্ন এক্সপেরিমেন্ট করতে পছন্দ করি। যেমন ওয়েব পেজ তৈরি করা, বিভিন্ন অ্যাপ তৈরি করা, অনলাইন রেডিও স্টেশন তৈরি করা, অনলাইন সংবাদপত্র তৈরি করা ইত্যাদি। আমাদের প্রকাশনা “পূর্বকন্ঠ” স্বাধীনতার চেতনায় একটি নিরপেক্ষ জাতীয় অনলাইন । পাঠক আমাদের সবচেয়ে বড় অনুপ্রেরনা। পূর্বকণ্ঠ কথা বলে বাঙালির আত্মপ্রত্যয়ী আহ্বান ও ত্যাগে অর্জিত স্বাধীনতার। কথা বলে স্বাধীনতার চেতনায় উদ্বুদ্ধ হতে। ছড়িয়ে দিতে এ চেতনা দেশের প্রত্যেক কোণে কোণে। আমরা রাষ্ট্রের আইন কানুন, রীতিনীতির প্রতি শ্রদ্ধাশীল। দেশপ্রেম ও রাষ্ট্রীয় আইন বিরোধী এবং বাঙ্গালীর আবহমান কালের সামাজিক সহনশীলতার বিপক্ষে পূর্বকন্ঠ কখনো সংবাদ প্রকাশ করে না। আমরা সকল ধর্মমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল, কোন ধর্মমত বা তাদের অনুসারীদের অনুভূতিতে আঘাত দিয়ে আমরা কিছু প্রকাশ করি না। আমাদের সকল প্রচেষ্টা পাঠকের সংবাদ চাহিদাকে কেন্দ্র করে। তাই পাঠকের যে কোনো মতামত আমরা সাদরে গ্রহন করব।
জনপ্রিয়

পূর্বধলায় রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় মুক্তিযোদ্ধা আলাউদ্দিনের দাফন সম্পন্ন

গৌরীপুরে একসঙ্গে তিন হিন্দু যুবকের ধর্ম গ্রহন

আপডেট : ১০:০৮:০৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২০

ময়মনসিংহের গৌরীপুরে একই গ্রামের প্রতিবেশী তিন যুবক আদালতে এফিডেবিটের মাধ্যমে হিন্দু ধর্ম পরিত্যাগ করে ইসলাম ধর্ম গ্রহন করেছেন। ইসলাম ধর্ম গ্রহনের পর উসমান, উমর ও আবু বক্কর নাম ধারন করেন তারা। ইসলাম ধর্ম গ্রহনকারী যুবকরা হলেন, এ উপজেলা রামগোপালপুর ইউনিয়নের পশ্চিম পাড়া গ্রামের অজয় চন্দ্র বর্মণের ছেলে হৃদয় চন্দ্র বর্মণ (১৯) বর্তমান নাম উসমান, দীলিপ চন্দ্র বর্মণের ছেলে প্রদীপ চন্দ্র বর্মণ (২১) বর্তমান নাম উমর ও শশী বর্মণের ছেলে অমল চন্দ্র বর্মণ (১৯) বর্তমান নাম আবু বক্কর।

উল্লেখিত তিন যুবকের সাথে কথা বলে জানা যায়, তার দীর্ঘদিন ধরে ইসলাম ধর্মের বিভিন্ন বই পাঠ করে ও বিভিন্ন দিক দিয়ে এ ধর্ম সম্পর্কে অবগত হয়ে তারা ইসলাম ধর্মের প্রতি আকৃষ্ট হন। ইসলাম ধর্মের প্রতি তাদের মন আকৃষ্ট হলেও নানা প্রতিবন্ধকতার কারনে এতদিন নিজ ধর্ম পরিত্যাগ করতে পারেননি তারা। অবশেষে ৬ ফেব্রুয়ারী ময়মনসিংহের বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিট্রেট সম্মুখে এফিডেবিটের মাধ্যমে হিন্দু ধর্ম পরিত্যাগ করে একসঙ্গে ইসলাম ধর্ম গ্রহন করেন ওই তিন যুবক।

স্থানীয় কয়েকজন জানান, ইসলাম ধর্ম গ্রহনের বিষয়টি জানাজানা হলে উল্লেখিত তিন যুবকের পরিবারের লোকজন তা মেনে নেননি। তাই বাড়ি ছেড়ে এখন এ তিন যুবক রাজধানীর একটি বেসরকারি কোম্পানীতে চাকুরিতে যোগদান করেছেন বলে তারা জানতে পেরেছেন।

এফিডেবিটে প্রকাশ, স্থানীয় এক মসজিদের জনৈক ইমামের সম্মুখে ‘লা-ইলাহা ইল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসুল্লাহ (সাঃ) পাঠ করে তারা ইসলাম ধর্মে দীক্ষিত হয়ে পবিত্র গ্রন্থ আল কোরআনের উপর বিশ্বাস স্থাপন করেন।