সামসুল হক জুৃয়েল, গাজীপুর প্রতিনিধি: আজ গাজীপুর মেট্রোপলিটন (জিএমপি) পুলিশের প্রথম বর্ষপূর্তি উদযাপন করা হয়েছে।
২০১৮ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর গাজীপুর মেট্রোপলিটন(জিএমপি) পুলিশের যাত্রা শুরু হয়। প্রথম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে আজ সোমবার দুপুর ১২ টায় গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের সম্মেলনকক্ষে এক আলোচনা সভা ও কেক কাটার আয়োজন করে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ।
আলোচনা অনুষ্ঠানে জিএমপি কমিশনার আনোয়ার হোসেন বলেন, গাজীপুর মেট্রোপলিটন (জিএমপি) পুলিশ সুনামের সাথে দায়িত্ব পালন করে আসছে।
মাদক, ছিনতাই, চাঁদাবাজি, কিশোর গ্যাং এবং পরিবহনে নৈরাজ্যসহ সব ধরনের অপরাধ মোকাবিলায় পর্যাপ্ত জনবল থাকলে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছানো সম্ভব হতো বলে মন্তব্য করেছেন।
তিনি বলেন, অপরাধ নিয়ন্ত্রণে গাজীপুর মহানগর পুলিশে আরও জনবল বাড়ানো প্রয়োজন। তারপরও বর্তমান জনবল নিয়ে সব ধরনের অপরাধ দমনে আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি ।
পুলিশ কমিশনার বলেন, গাজীপুর মেট্রোপলিটন (জিএমপি) পুলিশ ১ হাজার ১৫২ জন জনবল নিয়ে যাত্রা শুরু করলেও এখন পর্যন্ত এ সংখ্যা বৃদ্বি পায়নি। জনবহুল মহানগরীর জন্য আরও জনবল প্রয়োজন। এ ব্যাপারে ইতিমধ্যে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন জানানো হয়েছে।
অনুষ্ঠানে অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার আজাদ মিয়া, উপ-পুলিশ কমিশনার ট্রাফিক মো. আরিফুল হক, উপ-পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) মনজুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
সাংবাদিকদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, গাজীপুর প্রেস ক্লাবের সভাপতি মো. মজিবুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক শাহ শামসুল হক রিপন, অধ্যাপক মুকুল কুমার মল্লিক, মো. মাজহারুল ইসলাম মাসুম, অধ্যাপক মো. আবুল হোসেন, প্রভাষক মো. আবুবকর সিদ্দিক আকন্দ, মো. আমিনুল ইসলাম, মাহমুদ আল আমিন, মাহমুদা শিকদার প্রমুখ।
সাংবাদিক বক্তারা গাজীপুরের বিভিন্ন মহাসড়ক এবং আঞ্চলিক মহাসড়কগুলোতে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা বন্ধের উদ্যোগকে স্বাগত জানান।
এ ছাড়া মহানগরীর বিভিন্ন এলাকায় মাদক সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি, ছিনতাই এবং নতুন করে জেগে ওঠা কিশোর অপরাধ নিয়ন্ত্রণের অনুরোধ করেন।
পুলিশ কমিশনার মো. আনোয়ার হোসেন এ সব বিষয়ে সাংবাদিকদের উদ্দেশে বলেন, অচিরেই জনদুর্ভোগ কমাতে গাজীপুর মহানগরের মহাসড়ক এবং আঞ্চলিক মহাসড়কগুলোতে পর্যাপ্ত পরিবহনের ব্যবস্থা এবং ভাড়া নির্ধারণ করে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে টানিয়ে দেয়া হবে।
তিনি বলেন, মাদক ব্যবসায়ীর পরিচয় পুলিশের কাছে কেবলই মাদক ব্যবসায়ী, তার অন্য কোনো পরিচয় নেই। এ মানসিকতা নিয়েই গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ গাজীপুর মহানগর এলাকায় মাদকসহ অন্যান্য অপরাধ দূর করতে কাজ করে যাচ্ছে।
আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নয়নে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনে একটি পুলিশ ফাঁড়ি স্থাপনের বিষয় বিবেচনায় রাখার কথা উল্লেখ করেন জিএমপি কমিশনার।
মহানগরের অপরাধপ্রবণ এলাকাগুলোতে পুলিশি নজরদারি বৃদ্ধি করা হবে বলেও তিনি জানান।