গাজীপুরের কালীগঞ্জের জাঙ্গালিয়া ইউনিয়নের মরাশ জান্নাতুল বাকী হাফিজিয়া মাদ্রাসা ও এতিমখানা কম্পাউন্ডের ভিতরে আদিল (৪) নামে এক মাদ্রাসা ছাত্রকে শ্বাসরোধে হত্যার ঘটনা ঘটেছে।
স্থানীয়দের সহযোগীতায় বুধবার রাত নয়টার দিকে নিহতের মরদেহ উদ্ধার এবং হত্যায় জড়িত সন্দেহে ওই মাদ্রাসার দুই সহকারী শিক্ষককে আটক করেছে পুলিশ।
স্থানীয়রা জানায়, বুধবার বিকেলে আদিল মাদ্রাসার পাশের মাঠে খেলতে গিয়ে নিখোঁজ হয়। পরে তাকে খুঁজে না পেয়ে মসজিদের মাইকে ঘোষণা করা হয়।
এই সংবাদে এলাকাবাসী মাদ্রাসার পুকুর, মাদ্রাসার কক্ষসহ বিভিন্ন স্থানে আদিলকে খোঁজতে থাকে। একপর্যায় মাদ্রাসায় কর্মরত সহকারী শিক্ষক জোনায়েত আহমেদ ও খাইরুল ইসলামের চলাফেরায় এলাকাবাসীর সন্দেহ হলে তাদের আটক করে।
জিজ্ঞাসাবাদে তাঁরা আদিলকে শ্বাসরোধে হত্যা করেছে বলে স্বীকার করে এবং তাদের দেওয়া তথ্যে জোনায়েদ আহমেদের কক্ষের কেবিনেটের ড্রয়ারের ভিতর থেকে আদিলের মরদেহ উদ্ধার করে।
নিহত আদিল ওই মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক মুফতি
জোবায়ের হোসেন শাহিনের ছেলে। সে তার বাবা মায়ের সঙ্গে মাদ্রাসার কম্পাউন্ডে থেকে ওই মাদ্রাসায় লেখাপড়া করতো।
হত্যাকারী জোনায়েত আহমেদ হবিগঞ্জ জেলার লাখাই উপজেলার তেঘরিয়া গ্রামের মৃত নোয়াব আলীর পুত্র এবং খাইরুল ইসলাম একই এলাকার জফু মিয়ার পুত্র।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে কালীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ এ.কে.এম মিজানুল হক বলেন, নিহতের পিতা বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন, যার নং ০২। হত্যায় জড়িত দুইজনকে জেল হাজতে এবং মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।