নেত্রকোনা ১২:২২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে নিতে চান স্বজনরা

  • আপডেট : ০৯:৩৮:৪৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ অক্টোবর ২০১৯
  • ১৮৪

পূর্বকন্ঠ ডেস্ক:

দুর্নীতি মামলায় সাজা পেয়ে গত দেড় বছর ধরে কারাবন্দি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে নিতে চাইছেন তার স্বজনরা। অসুস্থ খালেদা জিয়াকে দেখে আসার পর এমনটা জানিয়েছেন তার মেঝো বোন সেলিমা ইসলাম।

শুক্রবার বিকাল ৪টার দিকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে ৬২১ নম্বর কেবিনে চিকিৎসাধীন খালেদা জিয়াকে দেখতে যান তার বোন সেলিমাসহ পরিবারের ছয় সদস্য।

খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করে হাসপাতাল থেকে বের হয়ে সাংবাদিকদের সেলিমা ইসলাম বলেন, বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসা হচ্ছে না। দিন দিন তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হচ্ছে। উনি উঠতে পারছেন না, বসতে পারছেন না, নিজ হাতে কিছু খেতে পারছেন না। চলতে পারছেন না। শুয়ে থাকতেও উনার কষ্ট হচ্ছে। উনার উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাওয়া দরকার। আমরা উনাকে বিদেশে পাঠাতে চাই।

হাসপাতালে খালেদা জিয়ার কোনো চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে না অভিযোগ করে সেলিমা ইসলাম বলেন, গত দুই সপ্তাহ ধরে চিকিৎসকরা উনাকে (খালেদা জিয়া) দেখতে আসেননি।

তিনি বলেন, খালেদা জিয়া জামিন পেলে তাকে আমরা উন্নত চিকিৎসার জন্য পরিবারের পক্ষ থেকে বিদেশে নিতে চাই। এখানে তার চিকিৎসা হচ্ছে না।

সেলিমা ইসলাম ছাড়াও অন্য স্বজনদের মধ্যে ছিলেন খালেদা জিয়ার বড় ছেলে তারেক রহমানের স্ত্রী জোবায়দা রহমানের বড় বোন শামীম আরা বিন্দু, খালেদা জিয়ার ভাইয়ের স্ত্রী কানিজ ফাতেমা, খালেদা জিয়ার ভাইয়ের ছেলে অভিক ইস্কান্দার, অতনু ইস্কান্দারসহ ছয়জন।

সর্বশেষ গত ১১ অক্টোবর পরিবারের সদস্যরা খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করেছেন।

প্রসঙ্গত, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় যথাক্রমে ১০ ও সাত বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হয়েছেন খালেদা জিয়া।

গত বছরের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার রায় ঘোষণার পর পুরান ঢাকার নাজিমউদ্দিন রোডে অবস্থিত পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারে খালেদা জিয়াকে বন্দি রাখা হয়। গত ১ এপ্রিল চিকিৎসার জন্য তাকে বিএসএমএমইউতে ভর্তি করা হয়।

 

সূত্র: যুগান্তর।

আপনার মন্তব্য লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষণ করুন

প্রকাশক ও সম্পাদক সম্পর্কে-

আমি মো. শফিকুল আলম শাহীন। আমি একজন ওয়েব ডেভেলপার ও সাংবাদিক । আমি পূর্বকণ্ঠ অনলাইন প্রকাশনার সম্পাদক ও প্রকাশক। আমি জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে ইতিবাচক। আমি করতে, দেখতে এবং অভিজ্ঞতা করতে পছন্দ করি এমন অনেক কিছু আছে। আমি আইটি সেক্টর নিয়ে বিভিন্ন এক্সপেরিমেন্ট করতে পছন্দ করি। যেমন ওয়েব পেজ তৈরি করা, বিভিন্ন অ্যাপ তৈরি করা, অনলাইন রেডিও স্টেশন তৈরি করা, অনলাইন সংবাদপত্র তৈরি করা ইত্যাদি।

পূর্বধলায় নিজ মেয়েকে হত্যা করে শেষ রক্ষা হলো না মায়ের

খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে নিতে চান স্বজনরা

আপডেট : ০৯:৩৮:৪৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ অক্টোবর ২০১৯

পূর্বকন্ঠ ডেস্ক:

দুর্নীতি মামলায় সাজা পেয়ে গত দেড় বছর ধরে কারাবন্দি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে নিতে চাইছেন তার স্বজনরা। অসুস্থ খালেদা জিয়াকে দেখে আসার পর এমনটা জানিয়েছেন তার মেঝো বোন সেলিমা ইসলাম।

শুক্রবার বিকাল ৪টার দিকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে ৬২১ নম্বর কেবিনে চিকিৎসাধীন খালেদা জিয়াকে দেখতে যান তার বোন সেলিমাসহ পরিবারের ছয় সদস্য।

খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করে হাসপাতাল থেকে বের হয়ে সাংবাদিকদের সেলিমা ইসলাম বলেন, বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসা হচ্ছে না। দিন দিন তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হচ্ছে। উনি উঠতে পারছেন না, বসতে পারছেন না, নিজ হাতে কিছু খেতে পারছেন না। চলতে পারছেন না। শুয়ে থাকতেও উনার কষ্ট হচ্ছে। উনার উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাওয়া দরকার। আমরা উনাকে বিদেশে পাঠাতে চাই।

হাসপাতালে খালেদা জিয়ার কোনো চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে না অভিযোগ করে সেলিমা ইসলাম বলেন, গত দুই সপ্তাহ ধরে চিকিৎসকরা উনাকে (খালেদা জিয়া) দেখতে আসেননি।

তিনি বলেন, খালেদা জিয়া জামিন পেলে তাকে আমরা উন্নত চিকিৎসার জন্য পরিবারের পক্ষ থেকে বিদেশে নিতে চাই। এখানে তার চিকিৎসা হচ্ছে না।

সেলিমা ইসলাম ছাড়াও অন্য স্বজনদের মধ্যে ছিলেন খালেদা জিয়ার বড় ছেলে তারেক রহমানের স্ত্রী জোবায়দা রহমানের বড় বোন শামীম আরা বিন্দু, খালেদা জিয়ার ভাইয়ের স্ত্রী কানিজ ফাতেমা, খালেদা জিয়ার ভাইয়ের ছেলে অভিক ইস্কান্দার, অতনু ইস্কান্দারসহ ছয়জন।

সর্বশেষ গত ১১ অক্টোবর পরিবারের সদস্যরা খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করেছেন।

প্রসঙ্গত, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় যথাক্রমে ১০ ও সাত বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হয়েছেন খালেদা জিয়া।

গত বছরের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার রায় ঘোষণার পর পুরান ঢাকার নাজিমউদ্দিন রোডে অবস্থিত পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারে খালেদা জিয়াকে বন্দি রাখা হয়। গত ১ এপ্রিল চিকিৎসার জন্য তাকে বিএসএমএমইউতে ভর্তি করা হয়।

 

সূত্র: যুগান্তর।