নেত্রকোনা ০৩:৪১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কেন্দুয়ায় রাস্তায় শিশু জন্ম দেয়া অজ্ঞাত পরিচয় মায়ের পরিচয় উদ্ধারে সাংবাদিকদের সহযোহিতা চাইলেন পুলিশ সুপার

  • আপডেট : ০৩:৩৫:২১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ অক্টোবর ২০১৯
  • ২৪১

এ কে এম আব্দুল্লাহ্, নেত্রকোনা ঃ

নেত্রকোনার কেন্দুয়ায় রাস্তায় একটি ফুটফুটে কন্যা শিশু জন্ম দেয়া সেই অজ্ঞাত পরিচয় প্রসূতি মায়ের পরিচয় উদ্ধারে সাংবাদিকদের সহযোগিতা চেয়েছেন নেত্রকোনার পুলিশ প্রশাসন।

পুলিশ সুপার মোঃ আকবর আলী মুন্সী বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় পুলিশ সুপারের সম্মেলন কক্ষে সেই অজ্ঞাত পরিচয় প্রসূতি মা ও কন্যা সন্তানকে সাংবাদিকদের সামনে হাজির করে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেন, নেত্রকোনা জেলার কেন্দুয়া উপজেলার কেন্দুয়া-আঠারবাড়ি সড়কের সাহিতপুর বাজার সংলগ্ন পেরীর মোড়ের ব্রিজের পশ্চিম পাশে গত ১৫ অক্টোবর রাত সাড়ে ১১টার দিকে ভারসাম্যহীন এক নারী কন্যা সন্তান প্রসব করেন।

বিষয়টি দেখতে পেয়ে পেরী এলাকার কাইজুল ইসলামের পুত্র শামীম কেন্দুয়া থানা পুলিশকে অবহিত করে। কেন্দুয়া থানার ওসি মোহাম্মদ রাশেদুজ্জামান নবজাতক ওই শিশু ও তার মাকে উদ্ধার করে কেন্দুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তির ব্যবস্থা করেন। একই সঙ্গে তিনি বিষয়টি পুলিশ সুপার, সিভিল সার্জন, কেন্দুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সমাজসেবা কর্মকর্তাকে জানিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার অনুরোধ জানান।

পরে পুলিশ সুপারের নির্দেশে কেন্দুয়া থানার ওসি মানসিক প্রতিবন্ধী ওই প্রসূতি মা ও নবজাতককে প্রয়োজনীয় কাপড় চোপড় সরবরাহ করে উন্নত চিকিৎসার জন্য নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে ভর্তির ব্যবস্থা করেন। মানসিক ভারসাম্যহীন মা ও শিশুর যাতে কোন প্রকার সমস্যা না হয় তার জন্য দুই মহিলা পুলিশকে সেখানে দেখ ভাল করার ব্যবস্থা করেন। ৯ দিন চেষ্টা করেও প্রসূতি মায়ের কোন পরিচয় উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ।

মানসিক প্রতিবন্ধী প্রসূতি মা একেক বার একেক কথা বলছেন। সে জানায় তার নাম তাকাসিন, সে ঢাকা ধানমন্ডি এলাকা থেকে এসেছে। কিন্তু পুলিশ তার কথায় বিশ্বাস করতে পারছেন না। অবশেষে পুলিশ সুপার মা ও নবজাতক শিশুটি অন্যান্য শিশুর মতো যাতে সুষ্ঠু স্বাভাবিক পরিবেশে ভাল ভাবে বেড়ে উঠতে পারে তার জন্য অজ্ঞাত মায়ের পরিচয় উদ্ধারে তিনি সাংবাদিকদের সহযোগিতা কামনা করেন।

আপনার মন্তব্য লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষণ করুন

প্রকাশক ও সম্পাদক সম্পর্কে-

আমি মো. শফিকুল আলম শাহীন। আমি একজন ওয়েব ডেভেলপার ও সাংবাদিক । আমি পূর্বকণ্ঠ অনলাইন প্রকাশনার সম্পাদক ও প্রকাশক। আমি জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে ইতিবাচক। আমি করতে, দেখতে এবং অভিজ্ঞতা করতে পছন্দ করি এমন অনেক কিছু আছে। আমি আইটি সেক্টর নিয়ে বিভিন্ন এক্সপেরিমেন্ট করতে পছন্দ করি। যেমন ওয়েব পেজ তৈরি করা, বিভিন্ন অ্যাপ তৈরি করা, অনলাইন রেডিও স্টেশন তৈরি করা, অনলাইন সংবাদপত্র তৈরি করা ইত্যাদি। আমাদের প্রকাশনা “পূর্বকন্ঠ” স্বাধীনতার চেতনায় একটি নিরপেক্ষ জাতীয় অনলাইন । পাঠক আমাদের সবচেয়ে বড় অনুপ্রেরনা। পূর্বকণ্ঠ কথা বলে বাঙালির আত্মপ্রত্যয়ী আহ্বান ও ত্যাগে অর্জিত স্বাধীনতার। কথা বলে স্বাধীনতার চেতনায় উদ্বুদ্ধ হতে। ছড়িয়ে দিতে এ চেতনা দেশের প্রত্যেক কোণে কোণে। আমরা রাষ্ট্রের আইন কানুন, রীতিনীতির প্রতি শ্রদ্ধাশীল। দেশপ্রেম ও রাষ্ট্রীয় আইন বিরোধী এবং বাঙ্গালীর আবহমান কালের সামাজিক সহনশীলতার বিপক্ষে পূর্বকন্ঠ কখনো সংবাদ প্রকাশ করে না। আমরা সকল ধর্মমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল, কোন ধর্মমত বা তাদের অনুসারীদের অনুভূতিতে আঘাত দিয়ে আমরা কিছু প্রকাশ করি না। আমাদের সকল প্রচেষ্টা পাঠকের সংবাদ চাহিদাকে কেন্দ্র করে। তাই পাঠকের যে কোনো মতামত আমরা সাদরে গ্রহন করব।
জনপ্রিয়

পূর্বধলায় বণিক সমিতির সাথে উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীর মতবিনিময়

কেন্দুয়ায় রাস্তায় শিশু জন্ম দেয়া অজ্ঞাত পরিচয় মায়ের পরিচয় উদ্ধারে সাংবাদিকদের সহযোহিতা চাইলেন পুলিশ সুপার

আপডেট : ০৩:৩৫:২১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ অক্টোবর ২০১৯

এ কে এম আব্দুল্লাহ্, নেত্রকোনা ঃ

নেত্রকোনার কেন্দুয়ায় রাস্তায় একটি ফুটফুটে কন্যা শিশু জন্ম দেয়া সেই অজ্ঞাত পরিচয় প্রসূতি মায়ের পরিচয় উদ্ধারে সাংবাদিকদের সহযোগিতা চেয়েছেন নেত্রকোনার পুলিশ প্রশাসন।

পুলিশ সুপার মোঃ আকবর আলী মুন্সী বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় পুলিশ সুপারের সম্মেলন কক্ষে সেই অজ্ঞাত পরিচয় প্রসূতি মা ও কন্যা সন্তানকে সাংবাদিকদের সামনে হাজির করে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেন, নেত্রকোনা জেলার কেন্দুয়া উপজেলার কেন্দুয়া-আঠারবাড়ি সড়কের সাহিতপুর বাজার সংলগ্ন পেরীর মোড়ের ব্রিজের পশ্চিম পাশে গত ১৫ অক্টোবর রাত সাড়ে ১১টার দিকে ভারসাম্যহীন এক নারী কন্যা সন্তান প্রসব করেন।

বিষয়টি দেখতে পেয়ে পেরী এলাকার কাইজুল ইসলামের পুত্র শামীম কেন্দুয়া থানা পুলিশকে অবহিত করে। কেন্দুয়া থানার ওসি মোহাম্মদ রাশেদুজ্জামান নবজাতক ওই শিশু ও তার মাকে উদ্ধার করে কেন্দুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তির ব্যবস্থা করেন। একই সঙ্গে তিনি বিষয়টি পুলিশ সুপার, সিভিল সার্জন, কেন্দুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সমাজসেবা কর্মকর্তাকে জানিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার অনুরোধ জানান।

পরে পুলিশ সুপারের নির্দেশে কেন্দুয়া থানার ওসি মানসিক প্রতিবন্ধী ওই প্রসূতি মা ও নবজাতককে প্রয়োজনীয় কাপড় চোপড় সরবরাহ করে উন্নত চিকিৎসার জন্য নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে ভর্তির ব্যবস্থা করেন। মানসিক ভারসাম্যহীন মা ও শিশুর যাতে কোন প্রকার সমস্যা না হয় তার জন্য দুই মহিলা পুলিশকে সেখানে দেখ ভাল করার ব্যবস্থা করেন। ৯ দিন চেষ্টা করেও প্রসূতি মায়ের কোন পরিচয় উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ।

মানসিক প্রতিবন্ধী প্রসূতি মা একেক বার একেক কথা বলছেন। সে জানায় তার নাম তাকাসিন, সে ঢাকা ধানমন্ডি এলাকা থেকে এসেছে। কিন্তু পুলিশ তার কথায় বিশ্বাস করতে পারছেন না। অবশেষে পুলিশ সুপার মা ও নবজাতক শিশুটি অন্যান্য শিশুর মতো যাতে সুষ্ঠু স্বাভাবিক পরিবেশে ভাল ভাবে বেড়ে উঠতে পারে তার জন্য অজ্ঞাত মায়ের পরিচয় উদ্ধারে তিনি সাংবাদিকদের সহযোগিতা কামনা করেন।