কে. এম. সাখাওয়াত হোসেন, নেত্রকোনা :
‘শুধু স্কুলের বই পড়ে জিপিএ-৫ পেলে তাকে দিয়ে পৃথিবীর কিছু হবে না। তাই পাঠ্যবই পড়ার পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের আরো অনেক কিছুই করতে হবে। তাদেরকে বেশি বেশি সাহিত্য, বিজ্ঞানবিত্তিক বইও পড়তে হবে, ছবি আঁকতে হবে, গান লিখতে হবে।’ সোমবার (১১ নভেম্বর) দুপুরে নেত্রকোনার কেন্দুয়া কুতুবপুর গ্রামে নন্দিত কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদ প্রতিষ্ঠিত শহীদ স্মৃতি বিদ্যাপীঠের শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে দেশবরেণ্য শিক্ষাবিদ ড. মোহাম্মদ জাফর ইকবাল এসব কথা বলেছেন।
শহীদ স্মৃতি বিদ্যাপীঠ প্রাঙ্গণে হুমায়ূন আহমেদের ৭১তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. মোহাম্মদ জাফর ইকবাল হুমায়ূন আহমেদের উদাহারণ টেনে আরো বলেন, হুমায়ূন আহমেদ খুব ছোটবেলা থেকেই বইপড়া শুরু করেন। যে কারণে তিনি একজন ভালো ছাত্র হতে পেরেছিলেন। তিনি শুধু একজন মেধাবী ছাত্রই ছিলেন না। তিনি একজন জাদুকরী লেখক ছিলেন। উপন্যাস-নাটক লিখেছেন, গান লিখেছেন, কবিতা লিখেছেন। তিনি খুব সুন্দর ছবিও আঁকতে পারতেন। একজন ভালো ছাত্রকে সবকিছুই পারতে হয়।
সভায় শহীদ স্মৃতি বিদ্যাপীঠের পরিচালনা কমিটির সভাপতি হুমায়ূন পত্মি মেহের আফরোজ শাওনের সভাপতিত্বে প্রধান আলোচক হিসাবে বক্তব্য রাখেন, নেত্রকোনা-৩ (কেন্দুয়া-আটপাড়া) আসনের এমপি অসীম কুমার উকিল।
অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, মেহের আফরোজ শাওনের পিতা ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ আলী, হুমায়ূন আহমেদের বোন সুফিয়া হায়দার, অন্য প্রকাশের স্বত্ত্বাধিকারী মাজহারুল ইসলামের স্ত্রী তানজিলা রহমান, কেন্দুয়া পৌরসভার মেয়র আসাদুল হক ভূইয়া, কেন্দুয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি এডভোকেট আব্দুল কাদির ভূইয়া ও শহীদ স্মৃতি বিদ্যাপীঠের সহকারি প্রধান শিক্ষক শরীফ আনিস আহমেদের পরিচালনায় এ সময় প্রমুখ।
পরে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে সংগীত পরিবেশন করেন এসআই টুটুল, সেলিম খান, বাউল সুনীল কর্মকার, দিল বাহার খান, প্রদীপ পন্ডিতসহ স্থানীয় শিল্পীরা।