নেত্রকোনা ০৫:৩০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০১ মে ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কুষ্টিয়ায় বিচার না পেয়ে স্কুলছাত্রীর আত্মহত্যা

  • আপডেট : ০৩:৩৪:০৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৮ অগাস্ট ২০১৯
  • ২৪০

নজরুল ইসলাম মুকুল, কুষ্টিয়া : 

কুষ্টিয়ার জগতি এলাকায় শ্লীলতাহানি ও ইভটিজিংয়ের বিচার না পেয়ে নবম শ্রেণির এক স্কুলছাত্রী আত্মহত্যা করেছেন। একই এলাকার সুজ্জল নামে এক বখাটের এমন আচরণের বিচার না পেয়ে আত্মহননের পথ বেছে নেন ফাহিমা খাতুন নামে ওই শিক্ষার্থী।
মঙ্গলবার সকালে ফাহিমা নিজ ঘরে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেন। ফাহিমা ওই এলাকার ফারুক খানের মেয়ে এবং বাড়াদী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী। সুজ্জল একই এলাকার বদর শাহের ছেলে।

স্থানীয়রা জানান, মঙ্গলবার সকালে ফাহিমা তার বোনের ছেলের জন্য দুধ আনতে পার্শ্ববর্তী একটি বাড়িতে যান। পথে একই এলাকার সুজ্জল ওই স্কুলছাত্রীর গায়ে হাত দেয় এবং অশ্লীল কথাবার্তা বলে। বিষয়টি বাড়িতে ফিরে আত্মীয়-স্বজনকে জানিয়ে ফাহিমা স্কুলে চলে যায়।

পরে ওই স্কুলছাত্রীর মা বিচারের দাবিতে সুজ্জলের বাড়িতে যান। সেখানে উল্টো ওই স্কুলছাত্রীকে নানা কটূক্তি ও দোষারোপ করে সুজ্জলের পরিবার। বিচারের নামে প্রকাশ্যে এমন অপমান সইতে না পেরে বাড়ি ফিরে নিজ ঘরের শয়নকক্ষে ওড়না পেঁচিয়ে ফাহিমা আত্মহত্যা করে।

ফাহিমার বাবা ফারুক খান বলেন, মাঝে মধ্যেই লম্পট সুজ্জল রাস্তাঘাটে আমার মেয়েকে উত্ত্যক্ত করত। মান-সম্মানের দিকে তাকিয়ে আমরা সব সহ্য করেছি।

কুষ্টিয়া মডেল থানার ওসি (অপারেশন) জাবিদ হোসেন জানান, মেয়ের বাবার কাছ থেকে এমন অভিযোগ শুনেছি। আত্মহত্যার বিষয়ে পরিবারের পক্ষ থেকে এখনও কোনো লিখিত অভিযোগ পায়নি। পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

আপনার মন্তব্য লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষণ করুন

প্রকাশক ও সম্পাদক সম্পর্কে-

আমি মো. শফিকুল আলম শাহীন। আমি একজন ওয়েব ডেভেলপার ও সাংবাদিক । আমি পূর্বকণ্ঠ অনলাইন প্রকাশনার সম্পাদক ও প্রকাশক। আমি জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে ইতিবাচক। আমি করতে, দেখতে এবং অভিজ্ঞতা করতে পছন্দ করি এমন অনেক কিছু আছে। আমি আইটি সেক্টর নিয়ে বিভিন্ন এক্সপেরিমেন্ট করতে পছন্দ করি। যেমন ওয়েব পেজ তৈরি করা, বিভিন্ন অ্যাপ তৈরি করা, অনলাইন রেডিও স্টেশন তৈরি করা, অনলাইন সংবাদপত্র তৈরি করা ইত্যাদি। আমাদের প্রকাশনা “পূর্বকন্ঠ” স্বাধীনতার চেতনায় একটি নিরপেক্ষ জাতীয় অনলাইন । পাঠক আমাদের সবচেয়ে বড় অনুপ্রেরনা। পূর্বকণ্ঠ কথা বলে বাঙালির আত্মপ্রত্যয়ী আহ্বান ও ত্যাগে অর্জিত স্বাধীনতার। কথা বলে স্বাধীনতার চেতনায় উদ্বুদ্ধ হতে। ছড়িয়ে দিতে এ চেতনা দেশের প্রত্যেক কোণে কোণে। আমরা রাষ্ট্রের আইন কানুন, রীতিনীতির প্রতি শ্রদ্ধাশীল। দেশপ্রেম ও রাষ্ট্রীয় আইন বিরোধী এবং বাঙ্গালীর আবহমান কালের সামাজিক সহনশীলতার বিপক্ষে পূর্বকন্ঠ কখনো সংবাদ প্রকাশ করে না। আমরা সকল ধর্মমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল, কোন ধর্মমত বা তাদের অনুসারীদের অনুভূতিতে আঘাত দিয়ে আমরা কিছু প্রকাশ করি না। আমাদের সকল প্রচেষ্টা পাঠকের সংবাদ চাহিদাকে কেন্দ্র করে। তাই পাঠকের যে কোনো মতামত আমরা সাদরে গ্রহন করব।
জনপ্রিয়

পূর্বধলায় বণিক সমিতির সাথে উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীর মতবিনিময়

কুষ্টিয়ায় বিচার না পেয়ে স্কুলছাত্রীর আত্মহত্যা

আপডেট : ০৩:৩৪:০৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৮ অগাস্ট ২০১৯

নজরুল ইসলাম মুকুল, কুষ্টিয়া : 

কুষ্টিয়ার জগতি এলাকায় শ্লীলতাহানি ও ইভটিজিংয়ের বিচার না পেয়ে নবম শ্রেণির এক স্কুলছাত্রী আত্মহত্যা করেছেন। একই এলাকার সুজ্জল নামে এক বখাটের এমন আচরণের বিচার না পেয়ে আত্মহননের পথ বেছে নেন ফাহিমা খাতুন নামে ওই শিক্ষার্থী।
মঙ্গলবার সকালে ফাহিমা নিজ ঘরে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেন। ফাহিমা ওই এলাকার ফারুক খানের মেয়ে এবং বাড়াদী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী। সুজ্জল একই এলাকার বদর শাহের ছেলে।

স্থানীয়রা জানান, মঙ্গলবার সকালে ফাহিমা তার বোনের ছেলের জন্য দুধ আনতে পার্শ্ববর্তী একটি বাড়িতে যান। পথে একই এলাকার সুজ্জল ওই স্কুলছাত্রীর গায়ে হাত দেয় এবং অশ্লীল কথাবার্তা বলে। বিষয়টি বাড়িতে ফিরে আত্মীয়-স্বজনকে জানিয়ে ফাহিমা স্কুলে চলে যায়।

পরে ওই স্কুলছাত্রীর মা বিচারের দাবিতে সুজ্জলের বাড়িতে যান। সেখানে উল্টো ওই স্কুলছাত্রীকে নানা কটূক্তি ও দোষারোপ করে সুজ্জলের পরিবার। বিচারের নামে প্রকাশ্যে এমন অপমান সইতে না পেরে বাড়ি ফিরে নিজ ঘরের শয়নকক্ষে ওড়না পেঁচিয়ে ফাহিমা আত্মহত্যা করে।

ফাহিমার বাবা ফারুক খান বলেন, মাঝে মধ্যেই লম্পট সুজ্জল রাস্তাঘাটে আমার মেয়েকে উত্ত্যক্ত করত। মান-সম্মানের দিকে তাকিয়ে আমরা সব সহ্য করেছি।

কুষ্টিয়া মডেল থানার ওসি (অপারেশন) জাবিদ হোসেন জানান, মেয়ের বাবার কাছ থেকে এমন অভিযোগ শুনেছি। আত্মহত্যার বিষয়ে পরিবারের পক্ষ থেকে এখনও কোনো লিখিত অভিযোগ পায়নি। পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।