কুষ্টিয়ায় জন্মদিনের উৎসবে বিসাক্ত এ্যালকোহল পান করে বিকেএসপি’র এক ছাত্রসহ ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এরা হলেন জিহাদুর রহমান সাজিদ (১৮), সুরুজ, পাভেল ও ফাহিম (১৮)। এঘটনায় অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন আরো ২জন। তাদের অবস্থাও আশংকাজনক হওয়ায় সুরুজ নামের এক জনকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করার পর পথিমধ্যে সে মৃত্যু বরন করেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার দুপুরে কুষ্টিয়া ইসলামীয়া কলেজ মাঠে বিকেএসপি’র খেলোয়াড় সাজিদের জন্মদিনের পার্টি চলাকালে বন্ধুরা মিলে এ্যালকোহল পান করে। এর কিছুক্ষণ পর সাজিদসহ ৬জন অসুস্থ হয়ে পড়লে তাদেরকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সন্ধ্যার আগে মারা যান সাজিদ। সন্ধায় মারা যান ফাহিম এবং রাতে পাভেল ও রাত সাড়ে নয়টার দিকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে সুরুজ নামে আরো একজন মারা যায়।
হাসপাতাল ও পরিবার সুত্র জানিয়েছে, বিকেএসপির বাস্কেট বল টিমের খেলোয়াড় জিহাদুর রহমান সাজিদের জন্মদিন ছিল বৃহস্পতিবার। এ উপলক্ষে তার বন্ধু ও পরিচিতরা জন্ম দিনে শহরের কোর্ট ষ্টেশনের সামনে অবস্থিত রাফি হোমিও হল থেকে ২০ বোতল বিষাক্ত এ্যালকোহল ক্রয় করে। ইসলামী কলেজের মধ্যে গিয়ে তারা ঐ বিসাক্ত এ্যালকোহল পান করে তারা অসুস্থ হয়ে একে একে কুষ্টিয়া জেনারেল এসে ভর্তি হয়। এর মধ্যে সাজিদ, পাভেল, সুরুজ, ও ফাহিম মারা যায়। বর্তমানে অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছে আতিকুল (২২) ও শান্ত (২৩) নামের দুই বন্ধু।
কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) তাপস কুমার সরকার জানান, এ্যালকোহল জাতীয় পানীয় পান করে ৬জন হাসপাতালে ভর্তি হন। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনজনের মৃত্যু হয় এবং রাজশাহী নেওয়ার পথে আরও এক জনের মৃত্যু হয়। বর্তমানে চিকিৎসাধীন ২ জনের অবস্থাও আশংকাজনক বলে জানান তিনি।
কুষ্টিয়া মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ গোলাম মোস্তফা বলেন, রাফি হোমিও হল থেকে বন্ধুরা মিলে এ্যালকোহল কিনেছিল। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দোকানের মালিক রফিকুল ইসলামের স্ত্রীসহ এক জনকে আটক করা হয়েছে।