নেত্রকোনা ০২:৫০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কুষ্টিয়ায় কলেজ ছাত্র হত্যা দায়ে চার জনের যাবজ্জীবন

কুষ্টিয়া মডেল থানার কলেজ ছাত্র হত্যা মামলায় চার জনের যাবজ্জীবন কারাদন্ড ও প্রত্যেকের ৫০হাজার টাকা জরিমানা আদেশ দিয়েছেন আদালত। রবিবার বেলা সাড়ে ১১টায় কুষ্টিয়া নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ আদালতের বিচারক মুন্সী মো: মশিয়ার রহমান জনাকীর্ণ আদালতে আসামীদের উপস্থিতিতে এই রায় ঘোষনা করেন।

দন্ডপ্রাপ্তরা হলেন- সদর উপজেলার চৌড়হাস আদর্শপাড়া গ্রামের আব্দুর রশিদের ছেলে রাকিবুল ইসলাম রাকিব(২৫), এরশাদ নগর আশ্রায়ন প্রকল্পের বাসিন্দা মাহাতাব উদ্দিনের ছেলে সুজন(২২), পূর্ব মজমপুর গ্রামের নান্নু ড্রাইভারের ছেলে শাহরিয়ার নাইম রাব্বি(২৪) এবং চৌড়হাস ফুলতালা গ্রামের কোহিনুরের ছেলে পিয়াস(২৫)।

আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১৬ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর বিকাল সাড়ে ৪টায় কুষ্টিয়া সরকারী কলেজের দ্বাদশ বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র পলাশ মটর সাইকেলযোগে পিটিআই সড়ক দিয়ে যাওয়ার সময় পূর্ব শত্রæতার জের ধরে আসামীরা পথরোধ করে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে রক্তাক্ত জখম করে। গুরুতর আহত পলাশকে উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে স্থানীয়রা। চিকিৎসাধীন অবস্থায় পরদিন তার মৃত্যু হয়।

এঘটনায় নিহত পলাশের মা সদর উপজেলার পুরাতন কুষ্টিয়া গ্রামের গোলাম রব্বানীর স্ত্রী সেলিনা বেগম ছয় আসামী নামোল্লেখসহ কুষ্টিয়া মডেল থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলাটি তদন্ত শেষে ২০১৭ সালের ৬জুন আদালতে চার্জশীট দেয় পুলিশ। হত্যাকান্ডের ঘটনাটিকে পূর্ব শত্রæতার জের ধরে পরিকল্পিত হত্যাকান্ড হিসেবে উল্লেখ করে দ:বি: ৩০২ধারায় ছয় আসামীর বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয় তদন্ত প্রতিবেদনে।

কুষ্টিয়া নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের কৌশুলী(পিপি) এ্যাড. আব্দুল হালিম সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, কুষ্টিয়া মডেল থানার মেধাবী কলেজ ছাত্র পলাম হত্যা মামলাটিতে আসামীদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগে চার্জ গঠন করা হয়। দীর্ঘ স্বাক্ষ্য শুনানী শেষে চার আসামীর বিরুদ্ধে হত্যাকান্ডে জড়িত অভিযোগ সন্দেহাতীত প্রমানিত হওয়ায় এবং বয়স বিবেচনায় সর্বোচ্চ সাজা মৃত্যুদন্ডের পরিবর্তে যাবজ্জীন কারাদন্ড ও প্রত্যেকের ৫০হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ১বছর সাজার আদেশ দিয়েছেন বিজ্ঞ আদালত। অভিযোগ প্রমানিত না হওয়ায় রনি ও ফয়সালকে খালাস দিয়েছেন আদালত।

আপনার মন্তব্য লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষণ করুন

প্রকাশক ও সম্পাদক সম্পর্কে-

আমি মো. শফিকুল আলম শাহীন। আমি একজন ওয়েব ডেভেলপার ও সাংবাদিক । আমি পূর্বকণ্ঠ অনলাইন প্রকাশনার সম্পাদক ও প্রকাশক। আমি জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে ইতিবাচক। আমি করতে, দেখতে এবং অভিজ্ঞতা করতে পছন্দ করি এমন অনেক কিছু আছে। আমি আইটি সেক্টর নিয়ে বিভিন্ন এক্সপেরিমেন্ট করতে পছন্দ করি। যেমন ওয়েব পেজ তৈরি করা, বিভিন্ন অ্যাপ তৈরি করা, অনলাইন রেডিও স্টেশন তৈরি করা, অনলাইন সংবাদপত্র তৈরি করা ইত্যাদি। আমাদের প্রকাশনা “পূর্বকন্ঠ” স্বাধীনতার চেতনায় একটি নিরপেক্ষ জাতীয় অনলাইন । পাঠক আমাদের সবচেয়ে বড় অনুপ্রেরনা। পূর্বকণ্ঠ কথা বলে বাঙালির আত্মপ্রত্যয়ী আহ্বান ও ত্যাগে অর্জিত স্বাধীনতার। কথা বলে স্বাধীনতার চেতনায় উদ্বুদ্ধ হতে। ছড়িয়ে দিতে এ চেতনা দেশের প্রত্যেক কোণে কোণে। আমরা রাষ্ট্রের আইন কানুন, রীতিনীতির প্রতি শ্রদ্ধাশীল। দেশপ্রেম ও রাষ্ট্রীয় আইন বিরোধী এবং বাঙ্গালীর আবহমান কালের সামাজিক সহনশীলতার বিপক্ষে পূর্বকন্ঠ কখনো সংবাদ প্রকাশ করে না। আমরা সকল ধর্মমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল, কোন ধর্মমত বা তাদের অনুসারীদের অনুভূতিতে আঘাত দিয়ে আমরা কিছু প্রকাশ করি না। আমাদের সকল প্রচেষ্টা পাঠকের সংবাদ চাহিদাকে কেন্দ্র করে। তাই পাঠকের যে কোনো মতামত আমরা সাদরে গ্রহন করব।
জনপ্রিয়

পূর্বধলায় রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় মুক্তিযোদ্ধা আলাউদ্দিনের দাফন সম্পন্ন

কুষ্টিয়ায় কলেজ ছাত্র হত্যা দায়ে চার জনের যাবজ্জীবন

আপডেট : ০৪:০৩:২২ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২০

কুষ্টিয়া মডেল থানার কলেজ ছাত্র হত্যা মামলায় চার জনের যাবজ্জীবন কারাদন্ড ও প্রত্যেকের ৫০হাজার টাকা জরিমানা আদেশ দিয়েছেন আদালত। রবিবার বেলা সাড়ে ১১টায় কুষ্টিয়া নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ আদালতের বিচারক মুন্সী মো: মশিয়ার রহমান জনাকীর্ণ আদালতে আসামীদের উপস্থিতিতে এই রায় ঘোষনা করেন।

দন্ডপ্রাপ্তরা হলেন- সদর উপজেলার চৌড়হাস আদর্শপাড়া গ্রামের আব্দুর রশিদের ছেলে রাকিবুল ইসলাম রাকিব(২৫), এরশাদ নগর আশ্রায়ন প্রকল্পের বাসিন্দা মাহাতাব উদ্দিনের ছেলে সুজন(২২), পূর্ব মজমপুর গ্রামের নান্নু ড্রাইভারের ছেলে শাহরিয়ার নাইম রাব্বি(২৪) এবং চৌড়হাস ফুলতালা গ্রামের কোহিনুরের ছেলে পিয়াস(২৫)।

আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১৬ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর বিকাল সাড়ে ৪টায় কুষ্টিয়া সরকারী কলেজের দ্বাদশ বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র পলাশ মটর সাইকেলযোগে পিটিআই সড়ক দিয়ে যাওয়ার সময় পূর্ব শত্রæতার জের ধরে আসামীরা পথরোধ করে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে রক্তাক্ত জখম করে। গুরুতর আহত পলাশকে উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে স্থানীয়রা। চিকিৎসাধীন অবস্থায় পরদিন তার মৃত্যু হয়।

এঘটনায় নিহত পলাশের মা সদর উপজেলার পুরাতন কুষ্টিয়া গ্রামের গোলাম রব্বানীর স্ত্রী সেলিনা বেগম ছয় আসামী নামোল্লেখসহ কুষ্টিয়া মডেল থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলাটি তদন্ত শেষে ২০১৭ সালের ৬জুন আদালতে চার্জশীট দেয় পুলিশ। হত্যাকান্ডের ঘটনাটিকে পূর্ব শত্রæতার জের ধরে পরিকল্পিত হত্যাকান্ড হিসেবে উল্লেখ করে দ:বি: ৩০২ধারায় ছয় আসামীর বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয় তদন্ত প্রতিবেদনে।

কুষ্টিয়া নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের কৌশুলী(পিপি) এ্যাড. আব্দুল হালিম সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, কুষ্টিয়া মডেল থানার মেধাবী কলেজ ছাত্র পলাম হত্যা মামলাটিতে আসামীদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগে চার্জ গঠন করা হয়। দীর্ঘ স্বাক্ষ্য শুনানী শেষে চার আসামীর বিরুদ্ধে হত্যাকান্ডে জড়িত অভিযোগ সন্দেহাতীত প্রমানিত হওয়ায় এবং বয়স বিবেচনায় সর্বোচ্চ সাজা মৃত্যুদন্ডের পরিবর্তে যাবজ্জীন কারাদন্ড ও প্রত্যেকের ৫০হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ১বছর সাজার আদেশ দিয়েছেন বিজ্ঞ আদালত। অভিযোগ প্রমানিত না হওয়ায় রনি ও ফয়সালকে খালাস দিয়েছেন আদালত।