নেত্রকোনা ০৫:০৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কুষ্টিয়ার মিরপুরে খাদ্যের সন্ধানে লোকালয়ে হনুমান

  • আপডেট : ০৬:৩৪:৩৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৫ ডিসেম্বর ২০১৯
  • ৩২৪

খাদ্যের সন্ধানে কুষ্টিয়ার মিরপুরে দুটি হনুমানকে ঘুরতে দেখা গেছে। গত কয়েক দিন ধরে হনুমান দুটি পৌরসভা বিভিন্ন এলাকায় অবস্থান করছে। খাবারের সন্ধানে বাসাবাড়ি, দোকানপাট, হাটে বাজারে ঘোরাফেরা করছে। বন্য এই প্রাণীটিকে দেখে অনেকেই আবার খাবার কিনে দিচ্ছেন।

বুধবার দুপুরে দেখা যায়, পৌরসভার সুলতারপুর গ্রামে একটি সড়কের পাশে প্রাচিরের উপর দুইটি হনুমান বসে আছে। সেখানে বিভিন্ন বয়সের উৎসুক জনতা হনুমান দুইটি দেখার জন্য ভিড় করছে। অনেকে খাবার এনে হনুমান দুপিকে দিচ্ছেন।
সুলতারপুর গ্রামের লতিফা বেগম বলেন, খাবারের সন্ধানে হনুমান দুইটি লোকালয়ে চলে এসেছে। মানুষের দেয়া খাবার খেয়ে দিন কাটছে তাদের। তবে হনুমানগুলো কারও ওপর কোন আক্রমণ করছেনা।

একই এলাকার ইসা হক বলেন, গত কয়েকদিন যাবৎ হঠাৎ করে এই দুটি হনুমান লোকালয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে। বিভিন্ন হাট-বাজারে, কখনও বাসা-বাড়িতে, গাছে গাছে ঘুরে বেড়াচ্ছে। হনুমান দুটির সামনে কেউ কোন খাবার দিলে তারা সেটি নিয়ে খাচ্ছে। অনেকেই তাদের কলা,বিস্কুট, পাউরুটি দিচ্ছেন। স্কুলছাত্র রুমন আলী বলেন, বুধবার আমাদের এলাকায় দুটি মুখপোড়া হনুমানকে দেখতে পাই।

হনুমান দুটিকে দেখে পথচারী দোকানদারা কলা রুটি কিনে দিচ্ছেন। এই এলাকায় মাঝে মাঝেই এসব হনুমান খাবারের সন্ধানে আসতে দেখা যায়। অনেকে আবার আগ্রহী হয়ে এসব হনুমানকে খাবার দেন।

মিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) লিংকন বিশ্বাস বলেন, আমি এই এলাকায় নতুন এসেছি। হনুমান আসার বিষয়টি এখনো জানিনা। এ বিষয়ে আমি বন বিভাগের সাথে কথা বলে খোঁজ নেব।

জেলা বন কর্মকর্তা ছালেহ মো. শোয়াইব খান বলেন, এসব হনুমান বিভিন্ন সময় পাশ্ববর্তী ভারত থেকে খাবারের সন্ধানে আসে। কিছুদিন পর এরা আবার চলে যায়। অনেক সময় যশোর থেকে কলার ট্রাকেও হনুমান আসে। তবে এটি বন্যপ্রাণী সংরক্ষণের আওতায় হাওয়ায় এটি তারা সংরক্ষল করেন। এই বন্য প্রাণীদের বিরক্ত না করার আহবান জানান ছালেহ মো. শোয়াইব খান।

আপনার মন্তব্য লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষণ করুন

প্রকাশক ও সম্পাদক সম্পর্কে-

আমি মো. শফিকুল আলম শাহীন। আমি একজন ওয়েব ডেভেলপার ও সাংবাদিক । আমি পূর্বকণ্ঠ অনলাইন প্রকাশনার সম্পাদক ও প্রকাশক। আমি জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে ইতিবাচক। আমি করতে, দেখতে এবং অভিজ্ঞতা করতে পছন্দ করি এমন অনেক কিছু আছে। আমি আইটি সেক্টর নিয়ে বিভিন্ন এক্সপেরিমেন্ট করতে পছন্দ করি। যেমন ওয়েব পেজ তৈরি করা, বিভিন্ন অ্যাপ তৈরি করা, অনলাইন রেডিও স্টেশন তৈরি করা, অনলাইন সংবাদপত্র তৈরি করা ইত্যাদি।
জনপ্রিয়

পূর্বধলায় বণিক সমিতির সাথে উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীর মতবিনিময়

কুষ্টিয়ার মিরপুরে খাদ্যের সন্ধানে লোকালয়ে হনুমান

আপডেট : ০৬:৩৪:৩৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৫ ডিসেম্বর ২০১৯

খাদ্যের সন্ধানে কুষ্টিয়ার মিরপুরে দুটি হনুমানকে ঘুরতে দেখা গেছে। গত কয়েক দিন ধরে হনুমান দুটি পৌরসভা বিভিন্ন এলাকায় অবস্থান করছে। খাবারের সন্ধানে বাসাবাড়ি, দোকানপাট, হাটে বাজারে ঘোরাফেরা করছে। বন্য এই প্রাণীটিকে দেখে অনেকেই আবার খাবার কিনে দিচ্ছেন।

বুধবার দুপুরে দেখা যায়, পৌরসভার সুলতারপুর গ্রামে একটি সড়কের পাশে প্রাচিরের উপর দুইটি হনুমান বসে আছে। সেখানে বিভিন্ন বয়সের উৎসুক জনতা হনুমান দুইটি দেখার জন্য ভিড় করছে। অনেকে খাবার এনে হনুমান দুপিকে দিচ্ছেন।
সুলতারপুর গ্রামের লতিফা বেগম বলেন, খাবারের সন্ধানে হনুমান দুইটি লোকালয়ে চলে এসেছে। মানুষের দেয়া খাবার খেয়ে দিন কাটছে তাদের। তবে হনুমানগুলো কারও ওপর কোন আক্রমণ করছেনা।

একই এলাকার ইসা হক বলেন, গত কয়েকদিন যাবৎ হঠাৎ করে এই দুটি হনুমান লোকালয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে। বিভিন্ন হাট-বাজারে, কখনও বাসা-বাড়িতে, গাছে গাছে ঘুরে বেড়াচ্ছে। হনুমান দুটির সামনে কেউ কোন খাবার দিলে তারা সেটি নিয়ে খাচ্ছে। অনেকেই তাদের কলা,বিস্কুট, পাউরুটি দিচ্ছেন। স্কুলছাত্র রুমন আলী বলেন, বুধবার আমাদের এলাকায় দুটি মুখপোড়া হনুমানকে দেখতে পাই।

হনুমান দুটিকে দেখে পথচারী দোকানদারা কলা রুটি কিনে দিচ্ছেন। এই এলাকায় মাঝে মাঝেই এসব হনুমান খাবারের সন্ধানে আসতে দেখা যায়। অনেকে আবার আগ্রহী হয়ে এসব হনুমানকে খাবার দেন।

মিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) লিংকন বিশ্বাস বলেন, আমি এই এলাকায় নতুন এসেছি। হনুমান আসার বিষয়টি এখনো জানিনা। এ বিষয়ে আমি বন বিভাগের সাথে কথা বলে খোঁজ নেব।

জেলা বন কর্মকর্তা ছালেহ মো. শোয়াইব খান বলেন, এসব হনুমান বিভিন্ন সময় পাশ্ববর্তী ভারত থেকে খাবারের সন্ধানে আসে। কিছুদিন পর এরা আবার চলে যায়। অনেক সময় যশোর থেকে কলার ট্রাকেও হনুমান আসে। তবে এটি বন্যপ্রাণী সংরক্ষণের আওতায় হাওয়ায় এটি তারা সংরক্ষল করেন। এই বন্য প্রাণীদের বিরক্ত না করার আহবান জানান ছালেহ মো. শোয়াইব খান।