নেত্রকোনা ০৬:৩৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে ব্রীজ না থাকায় মুসল্লিদের ঝুঁকি নিয়ে যেতে হয় মসজিদে

  • আপডেট : ০২:২৫:৫৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৫ ডিসেম্বর ২০১৯
  • ২২১

কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে সর্দার পাড়া জামে মসজিদের মুসল্লিদের নামাজ পড়তে যেতে হয় বাঁশের চরাট দিয়ে। চলাচলের ঝুঁকি নিয়ে তাদের মসজিদে যাতায়াত করতে হয়। এতে ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা ধর্মীয় কর্মকান্ড পালন নিয়ে বেশ সমস্যার মধ্যে রয়েছেন। তাই তারা মসজিদে যেতে মাত্র দু’শ ফুট রাস্তা নির্মান করার জোর দাবি জানিয়েছেন।

জানাগেছে, উপজেলার মথুরাপুর ইউনিয়নের হোসেনাবাদ সর্দার পাড়ায় এলাকার মুসল্লিরা নামাজ আদায়ের জন্য ২০১৬ সালে মসজিদ নির্মান করেন। মসজিদ নির্মান হলেও মসজিদে যেতে রাস্তা না থাকায় তাদের মসজিদে নামাজ আদায়ে যাতায়াত করতে সমস্যায় পড়েন। পরে তারা নিজ উদ্যোগে বাঁশের চরাট বিছিয়ে মসজিদে যাতায়াতের ব্যবস্থা করেন। বর্তমানে মুসল্লিগন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মসজিদে যাতায়াত করছেন। বর্ষা মৌসুমে বেশী সমস্যায় পড়েন।

পানিতে বাঁশের চরাট তালিয়ে যাওয়ায় অনেক মুসল্লি মসজিদে যেতে পানিতে পড়ে গিয়ে আহত হয়েছেন এমন নজিরও রয়েছে। সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের কাছে এলাকার ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের দাবি ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান মসজিদে যাতায়াতের জন্য মাত্র দু’শ ফুট রাস্তা নির্মান করে মুসল্লিদের কষ্ট লাঘব করা হোক।

এলাকার বাসিন্দা ও মসজিদের মুসল্লি মনির সর্দার বলেন, আমি মসজিদে যাতায়াতের জন্য ১ কাঠা জমি মসজিদের নামে রেজিষ্ট্রি করে দিয়েছে। এলাকার ইউনিয়ন চেয়ারম্যান সরদার হাসিম উদ্দিন হাসুকে রাস্তাটি নির্মানের জন্য অনেকবার বলেছি তিনি কোন উদ্যোগ নেননি। হোসেনাবাদ সর্দার পড়া জামে মসজিদ কমিটির সভাপতি মো. বাদল সর্দার বলেন, শুকনো মৌসুমে কষ্ট করে ক্ষেতের সীমানা বা আইল দিয়ে মসজিদে যাতায়াত করতে পারলেও বর্ষা মৌসুমে হাটু বা কোমর পানির মধ্য দিয়ে মসজিদে নামাজ আদায় করতে যাওয়া কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ে।

তিনি আরো জানান, দৌলতপুর আসনের সংসদ সদস্য এ্যাড. আ.কা.ম সরওয়ার জাহান বাদশা‘র সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানিয়েছেন মুসলমানদের ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান মসজিদের জন্য রাস্তা থাকবেনা এটা হতে পারেনা, আমি অচিরেই এই মসজিদের রাস্তার জন্য বরাদ্দ দিয়ে রাস্তার ব্যাবস্থা করবো।

আপনার মন্তব্য লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষণ করুন

প্রকাশক ও সম্পাদক সম্পর্কে-

আমি মো. শফিকুল আলম শাহীন। আমি একজন ওয়েব ডেভেলপার ও সাংবাদিক । আমি পূর্বকণ্ঠ অনলাইন প্রকাশনার সম্পাদক ও প্রকাশক। আমি জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে ইতিবাচক। আমি করতে, দেখতে এবং অভিজ্ঞতা করতে পছন্দ করি এমন অনেক কিছু আছে। আমি আইটি সেক্টর নিয়ে বিভিন্ন এক্সপেরিমেন্ট করতে পছন্দ করি। যেমন ওয়েব পেজ তৈরি করা, বিভিন্ন অ্যাপ তৈরি করা, অনলাইন রেডিও স্টেশন তৈরি করা, অনলাইন সংবাদপত্র তৈরি করা ইত্যাদি।

পূর্বধলায় উপজেলা নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন চেয়ারম্যান প্রার্থী

কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে ব্রীজ না থাকায় মুসল্লিদের ঝুঁকি নিয়ে যেতে হয় মসজিদে

আপডেট : ০২:২৫:৫৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৫ ডিসেম্বর ২০১৯

কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে সর্দার পাড়া জামে মসজিদের মুসল্লিদের নামাজ পড়তে যেতে হয় বাঁশের চরাট দিয়ে। চলাচলের ঝুঁকি নিয়ে তাদের মসজিদে যাতায়াত করতে হয়। এতে ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা ধর্মীয় কর্মকান্ড পালন নিয়ে বেশ সমস্যার মধ্যে রয়েছেন। তাই তারা মসজিদে যেতে মাত্র দু’শ ফুট রাস্তা নির্মান করার জোর দাবি জানিয়েছেন।

জানাগেছে, উপজেলার মথুরাপুর ইউনিয়নের হোসেনাবাদ সর্দার পাড়ায় এলাকার মুসল্লিরা নামাজ আদায়ের জন্য ২০১৬ সালে মসজিদ নির্মান করেন। মসজিদ নির্মান হলেও মসজিদে যেতে রাস্তা না থাকায় তাদের মসজিদে নামাজ আদায়ে যাতায়াত করতে সমস্যায় পড়েন। পরে তারা নিজ উদ্যোগে বাঁশের চরাট বিছিয়ে মসজিদে যাতায়াতের ব্যবস্থা করেন। বর্তমানে মুসল্লিগন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মসজিদে যাতায়াত করছেন। বর্ষা মৌসুমে বেশী সমস্যায় পড়েন।

পানিতে বাঁশের চরাট তালিয়ে যাওয়ায় অনেক মুসল্লি মসজিদে যেতে পানিতে পড়ে গিয়ে আহত হয়েছেন এমন নজিরও রয়েছে। সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের কাছে এলাকার ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের দাবি ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান মসজিদে যাতায়াতের জন্য মাত্র দু’শ ফুট রাস্তা নির্মান করে মুসল্লিদের কষ্ট লাঘব করা হোক।

এলাকার বাসিন্দা ও মসজিদের মুসল্লি মনির সর্দার বলেন, আমি মসজিদে যাতায়াতের জন্য ১ কাঠা জমি মসজিদের নামে রেজিষ্ট্রি করে দিয়েছে। এলাকার ইউনিয়ন চেয়ারম্যান সরদার হাসিম উদ্দিন হাসুকে রাস্তাটি নির্মানের জন্য অনেকবার বলেছি তিনি কোন উদ্যোগ নেননি। হোসেনাবাদ সর্দার পড়া জামে মসজিদ কমিটির সভাপতি মো. বাদল সর্দার বলেন, শুকনো মৌসুমে কষ্ট করে ক্ষেতের সীমানা বা আইল দিয়ে মসজিদে যাতায়াত করতে পারলেও বর্ষা মৌসুমে হাটু বা কোমর পানির মধ্য দিয়ে মসজিদে নামাজ আদায় করতে যাওয়া কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ে।

তিনি আরো জানান, দৌলতপুর আসনের সংসদ সদস্য এ্যাড. আ.কা.ম সরওয়ার জাহান বাদশা‘র সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানিয়েছেন মুসলমানদের ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান মসজিদের জন্য রাস্তা থাকবেনা এটা হতে পারেনা, আমি অচিরেই এই মসজিদের রাস্তার জন্য বরাদ্দ দিয়ে রাস্তার ব্যাবস্থা করবো।