নজরুল ইসলাম মুকুল, কুষ্টিয়া \
কুষ্টিয়া কুমারখালী গড়াই নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। কুষ্টিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্য মতে পদ্মার পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে কয়েকদিন আগের তুলনায় হঠাৎ করে পদ্মায় পানি বৃদ্ধি হওয়ায় গড়াই নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে।
এদিকে হঠাৎ পানি বৃদ্ধির ফলে কুমারখালী পৌরসভা ৭০ টি পরিবার ও ৬ ইউনিয়নের বেশকিছু পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। শতাদিক পরিবারের বাড়িঘরের মধ্যে পানি ঢুকে তারা জলমগ্ন অবস্থায় রয়েছে। আকস্মিক প্লাবনে মাষকলাই সহ বিভিন্ন ফসল তলিয়ে গেছে। সেই সঙ্গে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন প্লাবিত এলাকার অসহায় মানুষ। ভারত থেকে আসা পানি তার উপর গত দু’দিনের বৃষ্টি এ কষ্ট বাড়িয়েছে কয়েকগুণ ।
এলাকাবাসী জানান, অতিকষ্টে আছি। খাওয়া-দাওয়া খুব কষ্ট। একবার রান্না করে তিনবার খেতে হচ্ছে। মঙ্গলবার বন্যা কবলিত এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, আকস্মিক গড়াই নদীতে পানি বৃদ্ধি পেয়ে আবাদি ফসল তলিয়ে যাওয়ার পর লোকালয়ের ঘর-বাড়িতে পানি ঢুকে পড়েছে। দু’দিন আগেও যেসব এলাকা শুকনা পানিশ‚ন্য ছিল, এখন সেখানে পদ্মার পানি থৈ থৈ করছে।
কুমারখালী উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ মাহমুদুল ইসলাম বলেন, দুর্যোগ মোকাবেলায় ও পানিবন্দি মানুষের দুর্ভোগ লাঘবে আমরা জনপ্রতিনিধিদের সহায়তায় সরেজমিনে এসে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের তালিকা প্রস্তুত করছি। এ সময় পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ফরিদ আহম্মেদ খান, ৫ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও প্যানেল মেয়র এস এম রফিক উপস্থিত ছিলেন।
মঙ্গলবার ১ অক্টোবর দুপুর ২টার দিকে কুমারখালী উপজেলার সার্বিক পরিস্থিতি পরিদর্শন করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার, রাজীবুল ইসলাম খান ও সহকারী কমিশনার (ভ‚মি) কুমারখালী মোহাম্মদ ন‚র-এ-আলম।
এ সময় উপজেলা নির্বাহী অফিসার রাজিবুল ইসলাম খান বলেন, গড়াই নদীতে হঠাৎ পানি বেড়ে যাওয়ায় পৌরসভা সহ ৬ ইউনিয়নের মানুষ ক্ষতির মুখে পড়েছে। বিশেষ করে বহু মানুষ পানিবন্দি হয়ে দুর্ভোগে পড়েছেন। প্রতিনিয়ত তাদের খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে। দুর্যোগ মোকাবেলায় ও পানিবন্দি মানুষের দুর্ভোগ লাঘবে প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা গ্রহন হবে।