গাজীপুরের কালীগঞ্জে পরিবারের সাথে অভিমান করে ট্রেনের নিচ ঝাঁপ দিয়ে তামান্না বেগম (১৭) নামে এক কলেজ শিক্ষার্থী আত্মহত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। বৃহস্পতিবার সকাল নয়টার দিকে ঢাকা থেকে আসা সিলেটগামী মহানগর প্রভাতী এক্সপ্রেস ট্রেনেটি উপজলোর আড়িখোলা রেললাইনের পূর্ব পাশে টেকপাড়া নামকস্থানে পৌছলে ওই কলেজ শিক্ষার্থী ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করে। নিহত তামান্না বেগম কালীগঞ্জ মহিলা ডিগ্রী কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ও কালীগঞ্জ পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ড চৌড়া গ্রামের ফকির বাড়ির আইয়ুব ভূইয়ার মেয়ে।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে তামান্না নাস্তা খেয়ে কলেজের উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হয়। পরে পরিবারের সদস্যগণ লোক মারফত জানতে পারনে আড়িখোলা রেললাইনের পূর্ব পাশে টেকপাড়া নামকস্থানে ট্রেনের নিচে পড়ে সে মারা গেছে। পরিবারের লোকজন ঘটনাস্থল থেকে ওই শিক্ষার্থীর মৃতদেহ উদ্ধার করে তাদরে বাড়িতে নিয়ে যায়।
স্থানীয়রা জানায়, মেয়ে তামান্নার ইচ্ছার বাহিরে পরিবারের লোকজন বিয়ে ঠিক করে। এ নিয়ে পরিবারের সাথে তার অভিমান চলছিল। তারই জের ধরে সে আত্মহত্যা করতে পারে।
নরসিংদী রেলেওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই শাহ আলম বলেন, ঘটনার খবর পেয়ে রেলওয়ে পুলিশ নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য তার বাড়িতে যান। পরে কালীগঞ্জ পৌর মেয়র, ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও পরিবারের সদস্যদের অনুরোধর কোনো প্রকার অভিযোগ না থাকায় ময়নাতদন্ত ছাড়াই নিহতের লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করেন।
কালীগঞ্জ মহিলা ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ মু. নাজমুল ইসলাম জানান, কলেজ ছাত্রী তামান্না নিহতের সংবাদ পেয়ে স্থাণীয় মহলিা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি মেহেরে আফরোজ চুমকি এমপি তার দাফন কার্য সম্পন্ন করার জন্য পরিবারের নিকট নগদ পনের হাজার টাকা প্রদান
করেছেন।