সেশনজট নিরসন ও ৫ দফা দাবিতে বঙ্গবন্ধু টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের বিক্ষোভ মিছিল ও আন্দোলন করেছে শিক্ষার্থীরা। রোববার সকালে ক্লাস বর্জন করে প্রশাসনিক ভবনের সামনে বিক্ষোভ মিছিল শেষে প্রিন্সিপালের কার্যালয়ে তালা লাগিয়ে দেয় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।
‘দাবি মোদের একটাই, সেশনজট থেকে মুক্তি চাই শ্লোগান দিতে থাকে আন্দোলরত শিক্ষার্থীরা। সেশনজটের কারণে যথা সময়ে শিক্ষা জীবন সমাপ্ত না হওয়ায় অনেকের স্বপ্ন নষ্ট হয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ করেন তারা। আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের দাবিসমূহ হলো, লেভেল-২, টার্ম-২ চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশ করতে হবে। লেভেল ৩, টার্ম-১ এর চূড়ান্ত পরীক্ষা শেষ করতে হবে। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে বিএসসি ইন টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং পূর্ণাঙ্গ কোর্স শেষ করতে হবে। প্রত্যেক টার্মের চূড়ান্ত পরীক্ষার ফলাফল এক মাসের মধ্যে প্রকাশ করতে হবে। প্রত্যেক টার্মের নম্বর পত্র ফলাফল প্রকাশের এক মাসের মধ্যে প্রদান করতে হবে।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা জানান, ‘আমরা বর্তমান ক্লাস রুটিন নিয়ে সন্তুষ্ট নই। আর শিক্ষকরা ক্লাসের তুলনার একাডেমিক মিটিং, সভা-সেমিনার নিয়ে বেশি ব্যস্ত থাকে। ফলে আমাদের সেমিস্টারের যাবতীয় কার্যক্রম দেরিতে হয়’।
টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ৩য় ব্যাচের শিক্ষার্থীরা জানান, ২০১৬-১৭ সেসনের ১১ জুলাই লেভেল-১টাম-১ ভর্তি হই। জুলাই ১৭ আমাদের সেশন শুরু হয়। ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৮ আমাদের লেভেল শেষ হওয়ার কথা থাকলেও তা শেষ হয় ১২ ই নভেম্বর ২০১৮। যার ফলে আমরা দুই মাস সেশনজট এর শিকার হই। তখন কর্তৃপক্ষ আর সেশনজট না হওয়ার ব্যাপারে আশ্বস্ত করে কিন্তু লেভেল ২ ও যথাসময়ে শেষ হয়না। গত ২১ নভেম্বর ২০১৯ লেভেল ৩ টার্ম-১ ক্লাস শুরু করি।পরীক্ষা শেষ হওয়ার তিন মাস অতিবাহিত হলেও ফলাফল প্রকাশ করা হয় নাই। এমন অবস্থায় সঠিক সময়ে লেভেল ৩, টার্ম-১, এর চূড়ান্ত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার প্রসঙ্গে কর্তৃপক্ষকে একাধিকবার মৌখিকভাবে জানিয়েছি লিখিত আবেদন দেওয়ার পর কর্তৃপক্ষ আগের সিদ্ধান্তে অটল রয়েছে।
বিক্ষোভ চলাকালে ১২ টা সময় প্রিন্সিপাল বখতিয়ার রহমান এসে শিক্ষার্থীদের বুঝানোর চেষ্টা করলেও তারা তাদের আন্দোলন শান্তিপূর্ণভাবে চালিয়ে নেয়ার ঘোষণা দেন। এসময় শিক্ষার্থীরা ৫ দফা দাবি জানালে প্রিন্সিপাল দাবিগুলোর সাথে সহমত পোষণ করে সমস্যা সমাধানে সেশনজট কিভাবে নিরসন করা যায় সেই ব্যাপারে আলোচনা করা হয়েছে। আমরা বিভিন্ন পদক্ষেপ নিচ্ছি এবং আশা করছি সেশনজট আশঙ্কা হবে না। এসময় শিক্ষার্থীরা লিখিত চাই প্রিন্সিপালের নিকট। সেশনজট নিরসন না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে বলে শিক্ষার্থীরা জানান।