নেত্রকোনা ০৫:৩০ অপরাহ্ন, সোমবার, ০৬ মে ২০২৪, ২৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কালিহাতীতে এসএসসি ফরম পূরণে অতিরিক্ত টাকা আদায়

  • আপডেট : ০৪:২৪:৫০ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০১৯
  • ১৯৯

রাইসুল ইসলাম লিটন,টাঙ্গাইল প্রতিনিধি:

কালিহাতীতে এসএসসি ফরম পূরণে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে সরকার কর্তৃক নির্ধারিত ফি’র চেয়ে অতিরিক্ত টাকা আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। একাধিক মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ।

স্থানীয়দের অভিযোগ শিক্ষার্থীদের ইচ্ছাকৃতভাবে স্কুল উন্নয়ন মিলাদ কেন্দ্র ফি ও টেষ্ট পরীক্ষায় অকৃতকার্য দেখিয়ে শিক্ষকরা আর্থিক বানিজ্য করেছেন। তবে টাকা নেয়া হলেও কোন রশিদ দেয়া হয় না। বোর্ড কতৃক নির্ধারিত ফি অনলাইন খরচসহ বিজ্ঞান শাখায় ফরম পূরণে ১ হাজার ৯৭০ টাকা ও মানবিক ও ব্যবসা ফি ১ হাজার ৮৫০ টাকা।

কিন্তু পটল উচ্চ বিদ্যালয়ের ৩ হাজার ৫০০ টাকা থেকে ৪ হাজার টাকা, আনালিয়াবাড়ি উচ্চ বিদ্যালয়ে ৪ হাজার থেকে ৪ হাজার ৫শ’ টাকা, এলেঙ্গা জিতেন্দ্র বালা উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ে ২ হাজা ২শ’ থেকে ২হাজার ৫শ’ টাকা, মগড়া পাল্স উচ্চ বিদ্যালয়ে ২ হাজার থেকে ২ হাজার ৫শ’ টাকা, কোকডহরা উচ্চ বিদ্যালয়ে ৩ হাজার থেকে ৪ হাজার টাকা, দেউপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে ৩ হাজার থেকে ৪ হাজার করে, গোপালদীঘি কে.পি. ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয়ে ২ হাজার ৫শ’ থেকে ৩ হাজার টাকা, আউলিয়াবাদ করিমুননেছা সিদ্দিকী উচ্চ বিদ্যালয়ে ৩ হাজার থেকে ৪ হাজার ৫শ’টাকা, নারান্দিয়া টিআরকেএন স্কুল এন্ড কলেজ ২ হাজার ১ ৫শ’ টাকা, ভরসরাই উচ্চ বিদ্যালয়ে ৩হাজার থেকে ৪ হাজার টাকা। উপজেলার প্রায় মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ফরম পূরণের নামে অর্থ বানিজ্য করেছেন শিক্ষকরা।

এ বিষয়ে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষকরা বলেন, ফরম পূরণে অতিরিক্ত কোন টাকা নেয়া হয়নি। বোর্ডের নির্ধারিত ফি মেনেই ফরম পূরণ করেছি। বিদ্যালয়ের বেতনের বকেয়া বিল নেয়া হয়েছে। কোন কোন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকরা বলেছেন কোচিং এর জন্য ১ হাজার ৫০০ টাকা থেকে ১ হাজার টাকা নেয়া হয়েছে। তারা কোচিং ফি’র পরিবর্তে অতিরিক্ত ক্লাস আখ্যা দিয়ে এই টাকা নিয়েছেন।

এলেঙ্গা জিতেন্দ্র বালা উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গোবিন্দ চন্দ্র দাস বলেন, আমরা প্রতি পরীক্ষার্থীর কাছ থেকে ২ হাজার ৫শ’ টাকা নিয়েছি। এমনকি উপজেলার প্রায় বিদ্যালয়েই বেশি নিয়েছে। এব্যাপারে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি আবুল কাশেম ও সাধারন সম্পাদক নাজমুল করিম জানান, সমিতির সভায় বোর্ড ফি নিয়ে ফরম পূরণের সিদ্ধান্ত দেয়া হয়েছে।এ ছাড়া শিক্ষার্থীদের কোচিং ফি বিষয়ে প্রতি বিষয়ে ১৫০ টাকা করে নিতে পারবে, কিন্তু শিক্ষার্থীদের জোর করে চাপিয়ে দেয়া যাবে না।

এবিষয়ে কালিহাতী মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা রোকেয়া খাতুন জানান, বোর্ড নির্ধারিত ফি’র অতিরিক্ত কোন প্রতিষ্ঠান যদি টাকা আদায় করে থাকে সেক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

আপনার মন্তব্য লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষণ করুন

প্রকাশক ও সম্পাদক সম্পর্কে-

আমি মো. শফিকুল আলম শাহীন। আমি একজন ওয়েব ডেভেলপার ও সাংবাদিক । আমি পূর্বকণ্ঠ অনলাইন প্রকাশনার সম্পাদক ও প্রকাশক। আমি জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে ইতিবাচক। আমি করতে, দেখতে এবং অভিজ্ঞতা করতে পছন্দ করি এমন অনেক কিছু আছে। আমি আইটি সেক্টর নিয়ে বিভিন্ন এক্সপেরিমেন্ট করতে পছন্দ করি। যেমন ওয়েব পেজ তৈরি করা, বিভিন্ন অ্যাপ তৈরি করা, অনলাইন রেডিও স্টেশন তৈরি করা, অনলাইন সংবাদপত্র তৈরি করা ইত্যাদি।
জনপ্রিয়

পূর্বধলায় বণিক সমিতির সাথে উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীর মতবিনিময়

কালিহাতীতে এসএসসি ফরম পূরণে অতিরিক্ত টাকা আদায়

আপডেট : ০৪:২৪:৫০ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০১৯

রাইসুল ইসলাম লিটন,টাঙ্গাইল প্রতিনিধি:

কালিহাতীতে এসএসসি ফরম পূরণে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে সরকার কর্তৃক নির্ধারিত ফি’র চেয়ে অতিরিক্ত টাকা আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। একাধিক মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ।

স্থানীয়দের অভিযোগ শিক্ষার্থীদের ইচ্ছাকৃতভাবে স্কুল উন্নয়ন মিলাদ কেন্দ্র ফি ও টেষ্ট পরীক্ষায় অকৃতকার্য দেখিয়ে শিক্ষকরা আর্থিক বানিজ্য করেছেন। তবে টাকা নেয়া হলেও কোন রশিদ দেয়া হয় না। বোর্ড কতৃক নির্ধারিত ফি অনলাইন খরচসহ বিজ্ঞান শাখায় ফরম পূরণে ১ হাজার ৯৭০ টাকা ও মানবিক ও ব্যবসা ফি ১ হাজার ৮৫০ টাকা।

কিন্তু পটল উচ্চ বিদ্যালয়ের ৩ হাজার ৫০০ টাকা থেকে ৪ হাজার টাকা, আনালিয়াবাড়ি উচ্চ বিদ্যালয়ে ৪ হাজার থেকে ৪ হাজার ৫শ’ টাকা, এলেঙ্গা জিতেন্দ্র বালা উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ে ২ হাজা ২শ’ থেকে ২হাজার ৫শ’ টাকা, মগড়া পাল্স উচ্চ বিদ্যালয়ে ২ হাজার থেকে ২ হাজার ৫শ’ টাকা, কোকডহরা উচ্চ বিদ্যালয়ে ৩ হাজার থেকে ৪ হাজার টাকা, দেউপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে ৩ হাজার থেকে ৪ হাজার করে, গোপালদীঘি কে.পি. ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয়ে ২ হাজার ৫শ’ থেকে ৩ হাজার টাকা, আউলিয়াবাদ করিমুননেছা সিদ্দিকী উচ্চ বিদ্যালয়ে ৩ হাজার থেকে ৪ হাজার ৫শ’টাকা, নারান্দিয়া টিআরকেএন স্কুল এন্ড কলেজ ২ হাজার ১ ৫শ’ টাকা, ভরসরাই উচ্চ বিদ্যালয়ে ৩হাজার থেকে ৪ হাজার টাকা। উপজেলার প্রায় মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ফরম পূরণের নামে অর্থ বানিজ্য করেছেন শিক্ষকরা।

এ বিষয়ে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষকরা বলেন, ফরম পূরণে অতিরিক্ত কোন টাকা নেয়া হয়নি। বোর্ডের নির্ধারিত ফি মেনেই ফরম পূরণ করেছি। বিদ্যালয়ের বেতনের বকেয়া বিল নেয়া হয়েছে। কোন কোন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকরা বলেছেন কোচিং এর জন্য ১ হাজার ৫০০ টাকা থেকে ১ হাজার টাকা নেয়া হয়েছে। তারা কোচিং ফি’র পরিবর্তে অতিরিক্ত ক্লাস আখ্যা দিয়ে এই টাকা নিয়েছেন।

এলেঙ্গা জিতেন্দ্র বালা উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গোবিন্দ চন্দ্র দাস বলেন, আমরা প্রতি পরীক্ষার্থীর কাছ থেকে ২ হাজার ৫শ’ টাকা নিয়েছি। এমনকি উপজেলার প্রায় বিদ্যালয়েই বেশি নিয়েছে। এব্যাপারে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি আবুল কাশেম ও সাধারন সম্পাদক নাজমুল করিম জানান, সমিতির সভায় বোর্ড ফি নিয়ে ফরম পূরণের সিদ্ধান্ত দেয়া হয়েছে।এ ছাড়া শিক্ষার্থীদের কোচিং ফি বিষয়ে প্রতি বিষয়ে ১৫০ টাকা করে নিতে পারবে, কিন্তু শিক্ষার্থীদের জোর করে চাপিয়ে দেয়া যাবে না।

এবিষয়ে কালিহাতী মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা রোকেয়া খাতুন জানান, বোর্ড নির্ধারিত ফি’র অতিরিক্ত কোন প্রতিষ্ঠান যদি টাকা আদায় করে থাকে সেক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।