মাদক ব্যবসা ছেড়ে দিলেও রফিকের মতো তরুণদেরকে ছাড়ছে না মাদক কারবারিরা। গড ফাদারদের রোষানলে পড়ে জীবন যেনো বিপন্ন অনেকের। এ কোন গল্প নয়, বাস্তবতা। নেত্রকোনা জেলার সীমান্ত কলমাকান্দা উপজেলার খারনৈ ইউনিয়নের মধুপুরা গ্রাম। অবাধে চলে মাদকের ব্যবসা। স্থানীয় তরুণ যুবকরাই এসব মাদক আনা নেয়ায় জড়িত। এদের মধ্য থেকে অনেকেই ঝুঁকিপূর্ণ পেশা বাদ দিয়ে পরিবার নিয়ে কাজকর্ম করে খাওয়ার চেষ্টা করছে।
কিন্তু মাদক বন্ধ না করে মাদকের স্বর্গরাজ্য গড়ে তোলা মাদক কারবারিরা মাদক ব্যবসা থেকে সরে আসা তরুণদের জীবন বিপন্ন করে দিচ্ছেন। গ্রামের প্রভাবশালী হওয়ায় এমন গডফাদারদের এড়িয়ে চলেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীও। সম্প্রতি একটি ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় এ সংক্রান্ত একটি ধারাবাহিক প্রতিবেদন প্রকাশ হওয়ায় এলাকার অনুগতদের দিয়ে মিথ্যা প্রতিবেদন উল্লেখ করে মানবন্ধন করেছে প্রতিবেদনে বেরিয়ে আসা মাদক কারবারি গড ফাদার স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতা ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান চানমিয়া দেওয়ানি। তিনি খারনৈ ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান।
বৃহস্পতিবার দুপুরে কলমাকান্দা উপজেলার ইউনিয়নের হাটগোবিন্দপুর দেওয়ানী মোড়ে মাদ্রাসার উদ্যোগে ওই সড়কে মানবব্ন্ধন করেন। মানববন্ধনে রফিক ও মাদক বিক্রেতা তাইজুলের বরাতে অনুসন্ধানি প্রতিবেদনের প্রতিবাদ জানায়।
মানববন্ধনে নেতৃত্ব দেন খারনৈ ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ নেতা আমিন শেখ, আমজাদ হোসেন, আদিবাসী মুক্তিযোদ্ধা নেতা উৎপল সাংমা ও সাবেক চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা আক্কাছ আলী প্রমুখ। এসময় বক্তারা চানমিয়াকে এলাকায় সাদা মনের মানুষ হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, চানমিয়া দেওয়ানির বিরুদ্ধে পরিবেশিত সংবাদের প্রতিবাদ জানিয়ে চক্রান্তকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর হুশিয়ারি উচ্চারণ করেন।
এদিকে স্থানীয় একাধিক সূত্র জানায়, মধুপুর গ্রামের অপরাধীদের সেল্টার দেন এই চানমিয়া দেওয়ানি। তার বিরুদ্ধে স্থানীয়রা কেউ কোন উচ্চারণ করে না কেউ। ওই এলাকার মাদককারবারিদের পৃষ্টপোষকতাকারী হিসেবে নাম উঠে আসে চানমিয়া দেওয়ানির। তিনি স্থানীয়দের ম্যানেজ করেই সীমান্তে আধিপত্য বিস্তার করে আছেন।