নেত্রকোনা ০৪:১১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কলমাকান্দায় ভারতীয় ৬০ গরু জব্দ করলেন এএসপি নেলী

  • আপডেট : ১০:৩২:৫৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৬ জানুয়ারী ২০২০
  • ৩১৯

পুর্বকন্ঠ ডেক্স : চোরাকারবারিদের ধাওয়া করে ভারতীয় ষাটটি ষাঁড় গরু জব্দ করেছেন নেত্রকোনার দুর্গাপুর উপজেলার সার্কেল অফিসার সহকারী পুলিশ সুপার মাহমুদা শারমীন নেলী। তবে জড়িতরা এসময় পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়।

এরআগেও তিনি জেলার দুর্গাপুর উপজেলার চন্ডিগড় ইউনিয়নের ফেচিয়া গ্রাম থেকে সতেরটি ভারতীয় গরু জব্দ করেন। তখনও এই নারী পুলিশ কর্মকর্তার ধাওয়া খেয়ে গরু রেখেই পালিয়েছিলো চোরাকারবারিরা। এবার পুলিশ কর্মকর্তা নেলী জেলার কলমাকান্দা উপজেলার লেঙ্গরা ইউনিয়নের রাজনগর গ্রামে রোববার (২৬ জানুয়ারি) দুপুরের দিকে এই অভিযান চালান।

পুলিশি ধাওয়ার কবলে পড়ে চোরাকারবারিরা ষাট গরু রেখে পালিয়ে গেলে পুলিশ সদস্যদের নিয়ে তিনি ওই গরুগুলো জব্দ করেন।  দুই বারের অভিযানে সাতাত্তরটি গরু জব্দ করলেন সহকারী পুলিশ সুপার নেলী।

তিনি জানান, চোরাপথে দেশে ভারতীয় গরু এসেছে বিশস্ত মাধ্যমে এমন গোপন সংবাদ পেয়ে রাজনগর গ্রামে অভিযান চালানো হয়। পরে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন ওই এলাকায় বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দৌঁড়ে-হেঁটে নদী পাড়ি দিয়ে প্রবেশ করে ধাওয়া করা হয় চোরাকারবারিদের।

পুলিশি ধাওয়ায় গ্রেফতার এড়াতে জড়িতরা একপর্যায় গরু রেখেই পালাতে বাধ্য হয়। পরে সবগুলো গরু জব্দ করে থানায় নিয়ে আসা হয়।এ অভিযানে বিভিন্ন মাধ্যমে জানা গেছে পূর্বের গরু জব্দ করা চালানের সাদির এ ঘটনায়ও জড়িত। খতিয়ে দেখা হবে বিষয়টি। তবে কালিকাপুর গ্রামের চোরাকারবারি মো. সাদির মিয়া (৪৫) ও ফেচিয়া গ্রামের জালাল উদ্দিন এই চালানেও জড়িত থাকতে পারে।

আপনার মন্তব্য লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষণ করুন

প্রকাশক ও সম্পাদক সম্পর্কে-

আমি মো. শফিকুল আলম শাহীন। আমি একজন ওয়েব ডেভেলপার ও সাংবাদিক । আমি পূর্বকণ্ঠ অনলাইন প্রকাশনার সম্পাদক ও প্রকাশক। আমি জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে ইতিবাচক। আমি করতে, দেখতে এবং অভিজ্ঞতা করতে পছন্দ করি এমন অনেক কিছু আছে। আমি আইটি সেক্টর নিয়ে বিভিন্ন এক্সপেরিমেন্ট করতে পছন্দ করি। যেমন ওয়েব পেজ তৈরি করা, বিভিন্ন অ্যাপ তৈরি করা, অনলাইন রেডিও স্টেশন তৈরি করা, অনলাইন সংবাদপত্র তৈরি করা ইত্যাদি। আমাদের প্রকাশনা “পূর্বকন্ঠ” স্বাধীনতার চেতনায় একটি নিরপেক্ষ জাতীয় অনলাইন । পাঠক আমাদের সবচেয়ে বড় অনুপ্রেরনা। পূর্বকণ্ঠ কথা বলে বাঙালির আত্মপ্রত্যয়ী আহ্বান ও ত্যাগে অর্জিত স্বাধীনতার। কথা বলে স্বাধীনতার চেতনায় উদ্বুদ্ধ হতে। ছড়িয়ে দিতে এ চেতনা দেশের প্রত্যেক কোণে কোণে। আমরা রাষ্ট্রের আইন কানুন, রীতিনীতির প্রতি শ্রদ্ধাশীল। দেশপ্রেম ও রাষ্ট্রীয় আইন বিরোধী এবং বাঙ্গালীর আবহমান কালের সামাজিক সহনশীলতার বিপক্ষে পূর্বকন্ঠ কখনো সংবাদ প্রকাশ করে না। আমরা সকল ধর্মমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল, কোন ধর্মমত বা তাদের অনুসারীদের অনুভূতিতে আঘাত দিয়ে আমরা কিছু প্রকাশ করি না। আমাদের সকল প্রচেষ্টা পাঠকের সংবাদ চাহিদাকে কেন্দ্র করে। তাই পাঠকের যে কোনো মতামত আমরা সাদরে গ্রহন করব।
জনপ্রিয়

পূর্বধলায় রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় মুক্তিযোদ্ধা আলাউদ্দিনের দাফন সম্পন্ন

কলমাকান্দায় ভারতীয় ৬০ গরু জব্দ করলেন এএসপি নেলী

আপডেট : ১০:৩২:৫৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৬ জানুয়ারী ২০২০

পুর্বকন্ঠ ডেক্স : চোরাকারবারিদের ধাওয়া করে ভারতীয় ষাটটি ষাঁড় গরু জব্দ করেছেন নেত্রকোনার দুর্গাপুর উপজেলার সার্কেল অফিসার সহকারী পুলিশ সুপার মাহমুদা শারমীন নেলী। তবে জড়িতরা এসময় পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়।

এরআগেও তিনি জেলার দুর্গাপুর উপজেলার চন্ডিগড় ইউনিয়নের ফেচিয়া গ্রাম থেকে সতেরটি ভারতীয় গরু জব্দ করেন। তখনও এই নারী পুলিশ কর্মকর্তার ধাওয়া খেয়ে গরু রেখেই পালিয়েছিলো চোরাকারবারিরা। এবার পুলিশ কর্মকর্তা নেলী জেলার কলমাকান্দা উপজেলার লেঙ্গরা ইউনিয়নের রাজনগর গ্রামে রোববার (২৬ জানুয়ারি) দুপুরের দিকে এই অভিযান চালান।

পুলিশি ধাওয়ার কবলে পড়ে চোরাকারবারিরা ষাট গরু রেখে পালিয়ে গেলে পুলিশ সদস্যদের নিয়ে তিনি ওই গরুগুলো জব্দ করেন।  দুই বারের অভিযানে সাতাত্তরটি গরু জব্দ করলেন সহকারী পুলিশ সুপার নেলী।

তিনি জানান, চোরাপথে দেশে ভারতীয় গরু এসেছে বিশস্ত মাধ্যমে এমন গোপন সংবাদ পেয়ে রাজনগর গ্রামে অভিযান চালানো হয়। পরে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন ওই এলাকায় বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দৌঁড়ে-হেঁটে নদী পাড়ি দিয়ে প্রবেশ করে ধাওয়া করা হয় চোরাকারবারিদের।

পুলিশি ধাওয়ায় গ্রেফতার এড়াতে জড়িতরা একপর্যায় গরু রেখেই পালাতে বাধ্য হয়। পরে সবগুলো গরু জব্দ করে থানায় নিয়ে আসা হয়।এ অভিযানে বিভিন্ন মাধ্যমে জানা গেছে পূর্বের গরু জব্দ করা চালানের সাদির এ ঘটনায়ও জড়িত। খতিয়ে দেখা হবে বিষয়টি। তবে কালিকাপুর গ্রামের চোরাকারবারি মো. সাদির মিয়া (৪৫) ও ফেচিয়া গ্রামের জালাল উদ্দিন এই চালানেও জড়িত থাকতে পারে।