নেত্রকোনা ০৯:১১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কমলগঞ্জে ধলাই নদীতে ডুবে শিক্ষার্থীর মৃত্যু

  • আপডেট : ০৬:৪৪:০৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৯
  • ২৫৭

নাঈম আলীঃ মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে হাত থেকে পড়ে যাওয়া দা তুলতে গিয়ে ধলাই নদের পানিতে ডুবে চা শ্রমিক সন্তান এক স্কুলছাত্রের মৃত্যু হয়েছে। তার নাম লক্ষী নারায়ণ মাদ্রাজী (১৬) । সে ধলই চা-বাগানের নারী চা শ্রমিক আছিয়া মাদ্রাজীর ছেলে এবং ইসলামপুর ইউনিয়নের ভান্ডারীগাঁও উচ্চবিদ্যালয়ের ২০২০ সালের এসএসসি পরীক্ষার্থী।

শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) বেলা ১টা ৫০ মিনিটে মাধবপুর ইউনিয়নের ধলই চা-বাগান সংলগ্ন ধলাই নদে এ ঘটনা ঘটেছে।

লক্ষী নারায়ণের ছোট ভাই উজ্জল মাদ্রাজী জানায়, দুই ভাই মিলে শুক্রবার দুপুরে ধলাই নদের প্রতিরক্ষা বাঁধ এলাকা থেকে কলমি ঘাস কাটছিল। বেলা দেড়টার দিকে আকস্মিকভাবে লক্ষী নারায়ণের হাত থেকে দা পড়ে যায় ধলাই নদের পানিতে। তখন দা’টি খুঁজতে নদে নামে এবং ক্রমে পানির নিচে তলিয়ে যায়।

উজ্জল মাদ্রাজী আরও জানায়, ডুবে যাওয়ার সময় বড় ভাই উপরের দিকে হাত তুলে সাহায্য চাইলেও সে তাকে রক্ষা করতে পারেনি। পরে স্থানীয় লোকজন পানিতে নেমে লাশের সন্ধান পেলেও উদ্ধার করতে না পেরে বিষয়টি কমলগঞ্জ উপজেলা ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্স বাহিনীকে অবহিত করা হয়। খবর পেয়ে বেলা আড়াইটায় কমলগঞ্জ উপজেলা ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্সের একটি দল ঘটনাস্থলে যায়। তারা লাশ উদ্ধারের চেষ্টা করছেন।

মাধবপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পুস্প কুমার কানু ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, লক্ষী নারায়ণের বাড়ি শমশেরনগর চা-বাগানের বড় লাইন শ্রমিক বস্তিতে। তবে সে ধলই চা-বাগানে মামা সত্য নারায়ণ মাস্টারের বাড়িতে থেকে লেখাপড়া করছিল। লাশ উদ্ধার করতে এখন ডুবুরির সহায়তা চাওয়া হবে।

আপনার মন্তব্য লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষণ করুন

প্রকাশক ও সম্পাদক সম্পর্কে-

আমি মো. শফিকুল আলম শাহীন। আমি একজন ওয়েব ডেভেলপার ও সাংবাদিক । আমি পূর্বকণ্ঠ অনলাইন প্রকাশনার সম্পাদক ও প্রকাশক। আমি জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে ইতিবাচক। আমি করতে, দেখতে এবং অভিজ্ঞতা করতে পছন্দ করি এমন অনেক কিছু আছে। আমি আইটি সেক্টর নিয়ে বিভিন্ন এক্সপেরিমেন্ট করতে পছন্দ করি। যেমন ওয়েব পেজ তৈরি করা, বিভিন্ন অ্যাপ তৈরি করা, অনলাইন রেডিও স্টেশন তৈরি করা, অনলাইন সংবাদপত্র তৈরি করা ইত্যাদি। আমাদের প্রকাশনা “পূর্বকন্ঠ” স্বাধীনতার চেতনায় একটি নিরপেক্ষ জাতীয় অনলাইন । পাঠক আমাদের সবচেয়ে বড় অনুপ্রেরনা। পূর্বকণ্ঠ কথা বলে বাঙালির আত্মপ্রত্যয়ী আহ্বান ও ত্যাগে অর্জিত স্বাধীনতার। কথা বলে স্বাধীনতার চেতনায় উদ্বুদ্ধ হতে। ছড়িয়ে দিতে এ চেতনা দেশের প্রত্যেক কোণে কোণে। আমরা রাষ্ট্রের আইন কানুন, রীতিনীতির প্রতি শ্রদ্ধাশীল। দেশপ্রেম ও রাষ্ট্রীয় আইন বিরোধী এবং বাঙ্গালীর আবহমান কালের সামাজিক সহনশীলতার বিপক্ষে পূর্বকন্ঠ কখনো সংবাদ প্রকাশ করে না। আমরা সকল ধর্মমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল, কোন ধর্মমত বা তাদের অনুসারীদের অনুভূতিতে আঘাত দিয়ে আমরা কিছু প্রকাশ করি না। আমাদের সকল প্রচেষ্টা পাঠকের সংবাদ চাহিদাকে কেন্দ্র করে। তাই পাঠকের যে কোনো মতামত আমরা সাদরে গ্রহন করব।
জনপ্রিয়

পূর্বধলায় বণিক সমিতির সাথে উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীর মতবিনিময়

কমলগঞ্জে ধলাই নদীতে ডুবে শিক্ষার্থীর মৃত্যু

আপডেট : ০৬:৪৪:০৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৯

নাঈম আলীঃ মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে হাত থেকে পড়ে যাওয়া দা তুলতে গিয়ে ধলাই নদের পানিতে ডুবে চা শ্রমিক সন্তান এক স্কুলছাত্রের মৃত্যু হয়েছে। তার নাম লক্ষী নারায়ণ মাদ্রাজী (১৬) । সে ধলই চা-বাগানের নারী চা শ্রমিক আছিয়া মাদ্রাজীর ছেলে এবং ইসলামপুর ইউনিয়নের ভান্ডারীগাঁও উচ্চবিদ্যালয়ের ২০২০ সালের এসএসসি পরীক্ষার্থী।

শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) বেলা ১টা ৫০ মিনিটে মাধবপুর ইউনিয়নের ধলই চা-বাগান সংলগ্ন ধলাই নদে এ ঘটনা ঘটেছে।

লক্ষী নারায়ণের ছোট ভাই উজ্জল মাদ্রাজী জানায়, দুই ভাই মিলে শুক্রবার দুপুরে ধলাই নদের প্রতিরক্ষা বাঁধ এলাকা থেকে কলমি ঘাস কাটছিল। বেলা দেড়টার দিকে আকস্মিকভাবে লক্ষী নারায়ণের হাত থেকে দা পড়ে যায় ধলাই নদের পানিতে। তখন দা’টি খুঁজতে নদে নামে এবং ক্রমে পানির নিচে তলিয়ে যায়।

উজ্জল মাদ্রাজী আরও জানায়, ডুবে যাওয়ার সময় বড় ভাই উপরের দিকে হাত তুলে সাহায্য চাইলেও সে তাকে রক্ষা করতে পারেনি। পরে স্থানীয় লোকজন পানিতে নেমে লাশের সন্ধান পেলেও উদ্ধার করতে না পেরে বিষয়টি কমলগঞ্জ উপজেলা ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্স বাহিনীকে অবহিত করা হয়। খবর পেয়ে বেলা আড়াইটায় কমলগঞ্জ উপজেলা ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্সের একটি দল ঘটনাস্থলে যায়। তারা লাশ উদ্ধারের চেষ্টা করছেন।

মাধবপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পুস্প কুমার কানু ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, লক্ষী নারায়ণের বাড়ি শমশেরনগর চা-বাগানের বড় লাইন শ্রমিক বস্তিতে। তবে সে ধলই চা-বাগানে মামা সত্য নারায়ণ মাস্টারের বাড়িতে থেকে লেখাপড়া করছিল। লাশ উদ্ধার করতে এখন ডুবুরির সহায়তা চাওয়া হবে।