নেত্রকোনা ০২:৪৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কমলগঞ্জে একটি ঘরের জন্য প্রতিবন্ধি নারীর আহাজারী

  • আপডেট : ০২:৫৪:০৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৯ অগাস্ট ২০১৯
  • ১৯৬

কমলগঞ্জ (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘোষিত ‘সবার জন্য বাসস্থান’ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ‘জমি আছে ঘর নাই তার নিজ জমিতে গৃহ নির্মাণ’ কার্যক্রম দেশব্যাপী চলছে। ‘জমি আছে ঘর নাই’ প্রকল্পের আওতায় সরকারের পক্ষ থেকে তৈরি করে দেওয়া ঘরে মাথা গোঁজার ঠাঁই পেয়ে দরিদ্র পরিবারগুলো এখন আনন্দে আত্মহারা। এরই ধারাবাহিকতায় মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলায় চলমান রয়েছে ঘর নির্মাণ কার্যক্রম।

কমলগঞ্জ উপজেলার ২নং পতনঊষার ইউনিয়নের সোনারগাও (বলরামপুর) এলাকার মৃত লোকমান মিয়ার প্রতিবন্ধি স্ত্রী লুৎফা বেগম (৪৪) এর বসত ঘরটি বিগত ২০১৮ সালের বন্যায় পুরোপুরি ক্ষতিগ্রস্থ হয়। বন্যার সময় স্থানীয় ইউপি সদস্যের মাধ্যমে ২নং পতনঊষার ইউনিয়নে একটি ঘরের জন্য কাগজাত জমা দেন। দীর্ঘদিন অতিবাহিত হলেও প্রধানমন্ত্রীর প্রকল্পের একটি ঘর ভাগ্যে জোটেনি ৪ সন্তানের জননী প্রতিবন্ধি লুৎফা বেগমের। নিয়মিত প্রতিবন্ধি ভাতা প্রাপ্ত লুৎফা বেগম।

সরেজমিনে দেখা যায়, ঝুঁকিপূর্ণ ঘরে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সন্তানাদী নিয়ে বসবাস করছেন এ প্রতিবন্ধি নারী। লুৎফা বেগম জানান, বন্যায় বসতঘরটি ক্ষতিগ্রস্থ হলেও আবেদন নিবেদন করেও একটি ঘর পেলাম না। এব্যপারে প্রধানমন্ত্রীর কাছে কান্না জড়িত কণ্ঠে একটি ঘরের জন্য আকুল আবেদন জানান তিনি।

২নং পতনঊষার ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য শায়েক আহমদ বলেন, লুৎফা বেগম একজন নিরীহ হত-দরিদ্র ও প্রতিবন্ধি নারী। সে অবশ্যই প্রধানমন্ত্রীর প্রকল্পের একটি ঘর পাবার হকদার। আমার ওয়ার্ডে ২০১৮ সালের বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ হত-দরিদ্র অনেকেই আবেদন করেও ঘর পায়নাই।

২নং পতনঊষার ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার তওফিক আহমদ বাবু বলেন, প্রতিবন্ধী মহিলাকে সঠিক চিনতে পারছিনা। তবে আমার অফিসে আসলে একটি ঘর পেতে আমার পক্ষ থেকে যতটুকু সহযোগীতা প্রয়োজন তা আমি করে একটি ঘরের ব্যবস্থা করে দিবো।

আপনার মন্তব্য লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষণ করুন

প্রকাশক ও সম্পাদক সম্পর্কে-

আমি মো. শফিকুল আলম শাহীন। আমি একজন ওয়েব ডেভেলপার ও সাংবাদিক । আমি পূর্বকণ্ঠ অনলাইন প্রকাশনার সম্পাদক ও প্রকাশক। আমি জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে ইতিবাচক। আমি করতে, দেখতে এবং অভিজ্ঞতা করতে পছন্দ করি এমন অনেক কিছু আছে। আমি আইটি সেক্টর নিয়ে বিভিন্ন এক্সপেরিমেন্ট করতে পছন্দ করি। যেমন ওয়েব পেজ তৈরি করা, বিভিন্ন অ্যাপ তৈরি করা, অনলাইন রেডিও স্টেশন তৈরি করা, অনলাইন সংবাদপত্র তৈরি করা ইত্যাদি।

পূর্বধলায় উপজেলা নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন চেয়ারম্যান প্রার্থী

কমলগঞ্জে একটি ঘরের জন্য প্রতিবন্ধি নারীর আহাজারী

আপডেট : ০২:৫৪:০৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৯ অগাস্ট ২০১৯

কমলগঞ্জ (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘোষিত ‘সবার জন্য বাসস্থান’ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ‘জমি আছে ঘর নাই তার নিজ জমিতে গৃহ নির্মাণ’ কার্যক্রম দেশব্যাপী চলছে। ‘জমি আছে ঘর নাই’ প্রকল্পের আওতায় সরকারের পক্ষ থেকে তৈরি করে দেওয়া ঘরে মাথা গোঁজার ঠাঁই পেয়ে দরিদ্র পরিবারগুলো এখন আনন্দে আত্মহারা। এরই ধারাবাহিকতায় মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলায় চলমান রয়েছে ঘর নির্মাণ কার্যক্রম।

কমলগঞ্জ উপজেলার ২নং পতনঊষার ইউনিয়নের সোনারগাও (বলরামপুর) এলাকার মৃত লোকমান মিয়ার প্রতিবন্ধি স্ত্রী লুৎফা বেগম (৪৪) এর বসত ঘরটি বিগত ২০১৮ সালের বন্যায় পুরোপুরি ক্ষতিগ্রস্থ হয়। বন্যার সময় স্থানীয় ইউপি সদস্যের মাধ্যমে ২নং পতনঊষার ইউনিয়নে একটি ঘরের জন্য কাগজাত জমা দেন। দীর্ঘদিন অতিবাহিত হলেও প্রধানমন্ত্রীর প্রকল্পের একটি ঘর ভাগ্যে জোটেনি ৪ সন্তানের জননী প্রতিবন্ধি লুৎফা বেগমের। নিয়মিত প্রতিবন্ধি ভাতা প্রাপ্ত লুৎফা বেগম।

সরেজমিনে দেখা যায়, ঝুঁকিপূর্ণ ঘরে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সন্তানাদী নিয়ে বসবাস করছেন এ প্রতিবন্ধি নারী। লুৎফা বেগম জানান, বন্যায় বসতঘরটি ক্ষতিগ্রস্থ হলেও আবেদন নিবেদন করেও একটি ঘর পেলাম না। এব্যপারে প্রধানমন্ত্রীর কাছে কান্না জড়িত কণ্ঠে একটি ঘরের জন্য আকুল আবেদন জানান তিনি।

২নং পতনঊষার ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য শায়েক আহমদ বলেন, লুৎফা বেগম একজন নিরীহ হত-দরিদ্র ও প্রতিবন্ধি নারী। সে অবশ্যই প্রধানমন্ত্রীর প্রকল্পের একটি ঘর পাবার হকদার। আমার ওয়ার্ডে ২০১৮ সালের বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ হত-দরিদ্র অনেকেই আবেদন করেও ঘর পায়নাই।

২নং পতনঊষার ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার তওফিক আহমদ বাবু বলেন, প্রতিবন্ধী মহিলাকে সঠিক চিনতে পারছিনা। তবে আমার অফিসে আসলে একটি ঘর পেতে আমার পক্ষ থেকে যতটুকু সহযোগীতা প্রয়োজন তা আমি করে একটি ঘরের ব্যবস্থা করে দিবো।