নেত্রকোনা ০৯:৩১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০১ মে ২০২৪, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

এ কে সরকার শাওনের তিনটি কবিতা

  • আপডেট : ১১:৩০:০৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১০ অগাস্ট ২০১৯
  • ২৯৮

হৃদয়েশ্বরী

কখনো সজনী কখনো নীলা
কখনো মৌ কখনোবা হিয়া।
কখনো উর্বশী কখনো শিলা,
কখনো মানসী কখনোবা প্রিয়া।

যে নামেই ডাকাডাকি
আসলে সে কে?
ঘুরে ফিরে আসে বারে বারে,
জীবন নদীর প্রতি বাঁকে বাঁকে!

সে কি রক্ত-মাংসের মানবী!
নাকি কল্পিত অশরীরী।
কিম্ভুতকিমাকার,
নাকি ডানাকাটা পরী!

আমিই কি জানি!
কে সেই হৃদয়েশ্বরী?
মন ছুঁয়ে যাওয়া,
মনরাজ্যের সেই অপ্সরী!

কেউ বলে আবাস তার
চূড়ামনকাঠি অথবা চান্দা।
কেউ করে অনুমান
হিলি বা হাতিবান্দা।

পতেঙ্গাতে বলে কেউ কেউ
অন্যরা বলে নাটোরে।
কেউ কেউ বলে চকোরীতে
কিংবা চিরির বন্দরে।

সে আছে স্বস্থানে
তার প্রিয় প্রান্তরে,
আমি বলি তনু-মনে
মিশে আছে এই অন্তরে!

কথা-কাব্য

কোথায় পালাবে? কোথায় লুকাবে?
যাবে কোথায়? কতদূর?
আমার স্মৃতিকণার মিছিল রবে
যাবে তুমি যতদূর!

যতদূর চোখ যায় দিগন্তরেখায়,
প্রকৃতির প্রতিটি সুরের ছোঁয়ায়;
আমার মনের কথা-কাব্য-গাথা
লেখা আছে সব নীল বেদনায়।

সব কবির কথা-কাব্যে
সব কবিতা গানে ও সুরে
আমিই থাকবো নীরবে-সরবে;
থাকবো তোমার ভুবন জুড়ে।

আমার মনের কথা-কাব্য
রইবে ভুবনজুড়ে,
ক্ষণে ক্ষণে পড়বে তুমি
ভাসবে নয়ন নীরে।

আকাশের বুকে নীলা হারায়
সাগরের বুকে ঢেউ।
তোমার হৃদয়কুঞ্জে আমার নিবাস
জানলো না তো কেউ।

রূপালি সৈকতে

মিষ্টি মুখে দুষ্টু কথা
শুনতে ভারি লাগে
বাঁকা হাসির চাঁদমুখখানা
স্বপ্নের মাঝেও জাগে!

সোহাগ আদুরে শাসনে
যখন আমায় পাগল বলো,
আমি বলি শতবার বলো
কর্ণে স্বর্গ-সুধা ঢালো!

পাশাপাশি যখন থাকি
অনাবিল সুখ আসে,
সেই সুখ স্মৃতিমালা
মনের মাঝে ভাসে।

এমন আবেগঘন মধুক্ষণ
যদি আর না ফিরে আসে।
অবশেষে যদি যাও হারিয়ে
ভাগ্যের নির্মম পরিহাসে।
তুমি কি তখনো বাইবে তরী
ভালোবাসার রূপালি সৈকতে!

আপনার মন্তব্য লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষণ করুন

প্রকাশক ও সম্পাদক সম্পর্কে-

আমি মো. শফিকুল আলম শাহীন। আমি একজন ওয়েব ডেভেলপার ও সাংবাদিক । আমি পূর্বকণ্ঠ অনলাইন প্রকাশনার সম্পাদক ও প্রকাশক। আমি জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে ইতিবাচক। আমি করতে, দেখতে এবং অভিজ্ঞতা করতে পছন্দ করি এমন অনেক কিছু আছে। আমি আইটি সেক্টর নিয়ে বিভিন্ন এক্সপেরিমেন্ট করতে পছন্দ করি। যেমন ওয়েব পেজ তৈরি করা, বিভিন্ন অ্যাপ তৈরি করা, অনলাইন রেডিও স্টেশন তৈরি করা, অনলাইন সংবাদপত্র তৈরি করা ইত্যাদি। আমাদের প্রকাশনা “পূর্বকন্ঠ” স্বাধীনতার চেতনায় একটি নিরপেক্ষ জাতীয় অনলাইন । পাঠক আমাদের সবচেয়ে বড় অনুপ্রেরনা। পূর্বকণ্ঠ কথা বলে বাঙালির আত্মপ্রত্যয়ী আহ্বান ও ত্যাগে অর্জিত স্বাধীনতার। কথা বলে স্বাধীনতার চেতনায় উদ্বুদ্ধ হতে। ছড়িয়ে দিতে এ চেতনা দেশের প্রত্যেক কোণে কোণে। আমরা রাষ্ট্রের আইন কানুন, রীতিনীতির প্রতি শ্রদ্ধাশীল। দেশপ্রেম ও রাষ্ট্রীয় আইন বিরোধী এবং বাঙ্গালীর আবহমান কালের সামাজিক সহনশীলতার বিপক্ষে পূর্বকন্ঠ কখনো সংবাদ প্রকাশ করে না। আমরা সকল ধর্মমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল, কোন ধর্মমত বা তাদের অনুসারীদের অনুভূতিতে আঘাত দিয়ে আমরা কিছু প্রকাশ করি না। আমাদের সকল প্রচেষ্টা পাঠকের সংবাদ চাহিদাকে কেন্দ্র করে। তাই পাঠকের যে কোনো মতামত আমরা সাদরে গ্রহন করব।
জনপ্রিয়

পূর্বধলায় বণিক সমিতির সাথে উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীর মতবিনিময়

এ কে সরকার শাওনের তিনটি কবিতা

আপডেট : ১১:৩০:০৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১০ অগাস্ট ২০১৯

হৃদয়েশ্বরী

কখনো সজনী কখনো নীলা
কখনো মৌ কখনোবা হিয়া।
কখনো উর্বশী কখনো শিলা,
কখনো মানসী কখনোবা প্রিয়া।

যে নামেই ডাকাডাকি
আসলে সে কে?
ঘুরে ফিরে আসে বারে বারে,
জীবন নদীর প্রতি বাঁকে বাঁকে!

সে কি রক্ত-মাংসের মানবী!
নাকি কল্পিত অশরীরী।
কিম্ভুতকিমাকার,
নাকি ডানাকাটা পরী!

আমিই কি জানি!
কে সেই হৃদয়েশ্বরী?
মন ছুঁয়ে যাওয়া,
মনরাজ্যের সেই অপ্সরী!

কেউ বলে আবাস তার
চূড়ামনকাঠি অথবা চান্দা।
কেউ করে অনুমান
হিলি বা হাতিবান্দা।

পতেঙ্গাতে বলে কেউ কেউ
অন্যরা বলে নাটোরে।
কেউ কেউ বলে চকোরীতে
কিংবা চিরির বন্দরে।

সে আছে স্বস্থানে
তার প্রিয় প্রান্তরে,
আমি বলি তনু-মনে
মিশে আছে এই অন্তরে!

কথা-কাব্য

কোথায় পালাবে? কোথায় লুকাবে?
যাবে কোথায়? কতদূর?
আমার স্মৃতিকণার মিছিল রবে
যাবে তুমি যতদূর!

যতদূর চোখ যায় দিগন্তরেখায়,
প্রকৃতির প্রতিটি সুরের ছোঁয়ায়;
আমার মনের কথা-কাব্য-গাথা
লেখা আছে সব নীল বেদনায়।

সব কবির কথা-কাব্যে
সব কবিতা গানে ও সুরে
আমিই থাকবো নীরবে-সরবে;
থাকবো তোমার ভুবন জুড়ে।

আমার মনের কথা-কাব্য
রইবে ভুবনজুড়ে,
ক্ষণে ক্ষণে পড়বে তুমি
ভাসবে নয়ন নীরে।

আকাশের বুকে নীলা হারায়
সাগরের বুকে ঢেউ।
তোমার হৃদয়কুঞ্জে আমার নিবাস
জানলো না তো কেউ।

রূপালি সৈকতে

মিষ্টি মুখে দুষ্টু কথা
শুনতে ভারি লাগে
বাঁকা হাসির চাঁদমুখখানা
স্বপ্নের মাঝেও জাগে!

সোহাগ আদুরে শাসনে
যখন আমায় পাগল বলো,
আমি বলি শতবার বলো
কর্ণে স্বর্গ-সুধা ঢালো!

পাশাপাশি যখন থাকি
অনাবিল সুখ আসে,
সেই সুখ স্মৃতিমালা
মনের মাঝে ভাসে।

এমন আবেগঘন মধুক্ষণ
যদি আর না ফিরে আসে।
অবশেষে যদি যাও হারিয়ে
ভাগ্যের নির্মম পরিহাসে।
তুমি কি তখনো বাইবে তরী
ভালোবাসার রূপালি সৈকতে!