নেত্রকোনা ০৭:২৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০১ মে ২০২৪, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ইন্ডিয়ায় মোদির বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব

  • আপডেট : ০১:২১:৩৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ জুলাই ২০২৩
  • ১০৬

পূর্বকন্ঠ ডেস্ক: ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ওপর অনাস্থা প্রস্তাব আনছে দেশটির নবগঠিত ২৬ দলের জোট ন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট ইনক্লুসিভ অ্যালায়েন্স (ইন্ডিয়া)।

জাতিবিদ্বেষের আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে যাওয়া মণিপুর নিয়ে আলোচনায় মোদি সরকারের ওপর চাপ বাড়াতেই এই পথে হাঁটছে ‘ইন্ডিয়া’।

মঙ্গলবার এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই বিষয়ে উদ্যোগ নিচ্ছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের আম আদমি পার্টির রাজ্যসভার সংসদ-সদস্য রাঘব চাড্ডা। প্রায় ২০ বছর পর লোকসভায় কোনো সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনতে চলেছে বিরোধী পক্ষ।,

এর আগে, ২০০৩ সালে অটল বিহারি বাজপেয়ির নেতৃত্বাধীন এনডিএ সরকারের বিরুদ্ধে শেষবার অনাস্থা প্রস্তাব আনা হয়েছিল।

এদিন সকালে সংসদে নিজেদের পরবর্তী কৌশল আলোচনায় বিরোধী দলগুলোর সংসদীয় নেতারা রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতা কংগ্রেস সভাপতি মলি­কার্জুন খাড়গের কার্যালয়ে এক বৈঠক করেন। সেখানেই লোকসভায় অনাস্থা প্রস্তাব আনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন-কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ, প্রমোদ তিওয়ারি, আম আদমি পার্টির রাঘব চাড্ডা, তৃণমূল কংগ্রেসের ডেরেক ও’ব্রায়েন প্রমুখ।,

বৈঠকে অনাস্থা প্রস্তাব আনার বিষয়ে ইন্ডিয়া জোটের সবকটি দলই একমত হয়েছে। দাঙ্গাবিধ্বস্ত মণিপুরের পরিস্থিতি নিয়ে সংসদে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে কীভাবে কথা বলতে বাধ্য করা যায়-সেই বিষয়ে বিভিন্ন বিকল্প নিয়ে আলোচনার পরই এই সিদ্ধান্তে পৌঁছায় বিরোধীরা। ,

তারা মনে করছেন, এই বিষয়ে সরকারকে আলোচনা শুরু করতে বাধ্য করার জন্য এটিই একমাত্র কার্যকর উপায়। শুধু লোকসভাতেই নয়, মণিপুর ইস্যুতে রাজ্যসভার বিজেপি সরকারকে কীভাবে কোণঠাসা করা যায়, তারও কৌশল নির্ধারণ করছে বিরোধী দলগুলো।,

কংগ্রেস এবং অন্যান্য বিরোধী দলগুলো মণিপুর পরিস্থিতি নিয়ে সংসদে বিশদ আলোচনা এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিবৃতি দাবি করেছে। ২০ জুলাই সংসদের বাদল অধিবেশন শুরু হয়েছে। তারপর থেকে লোকসভা এবং রাজ্যসভা উত্তাল হয়েছে বিরোধীদের প্রতিবাদ এবং স্লোগানে। তথ্য সূত্র: যুগান্তর

 

আপনার মন্তব্য লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষণ করুন

প্রকাশক ও সম্পাদক সম্পর্কে-

আমি মো. শফিকুল আলম শাহীন। আমি একজন ওয়েব ডেভেলপার ও সাংবাদিক । আমি পূর্বকণ্ঠ অনলাইন প্রকাশনার সম্পাদক ও প্রকাশক। আমি জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে ইতিবাচক। আমি করতে, দেখতে এবং অভিজ্ঞতা করতে পছন্দ করি এমন অনেক কিছু আছে। আমি আইটি সেক্টর নিয়ে বিভিন্ন এক্সপেরিমেন্ট করতে পছন্দ করি। যেমন ওয়েব পেজ তৈরি করা, বিভিন্ন অ্যাপ তৈরি করা, অনলাইন রেডিও স্টেশন তৈরি করা, অনলাইন সংবাদপত্র তৈরি করা ইত্যাদি। আমাদের প্রকাশনা “পূর্বকন্ঠ” স্বাধীনতার চেতনায় একটি নিরপেক্ষ জাতীয় অনলাইন । পাঠক আমাদের সবচেয়ে বড় অনুপ্রেরনা। পূর্বকণ্ঠ কথা বলে বাঙালির আত্মপ্রত্যয়ী আহ্বান ও ত্যাগে অর্জিত স্বাধীনতার। কথা বলে স্বাধীনতার চেতনায় উদ্বুদ্ধ হতে। ছড়িয়ে দিতে এ চেতনা দেশের প্রত্যেক কোণে কোণে। আমরা রাষ্ট্রের আইন কানুন, রীতিনীতির প্রতি শ্রদ্ধাশীল। দেশপ্রেম ও রাষ্ট্রীয় আইন বিরোধী এবং বাঙ্গালীর আবহমান কালের সামাজিক সহনশীলতার বিপক্ষে পূর্বকন্ঠ কখনো সংবাদ প্রকাশ করে না। আমরা সকল ধর্মমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল, কোন ধর্মমত বা তাদের অনুসারীদের অনুভূতিতে আঘাত দিয়ে আমরা কিছু প্রকাশ করি না। আমাদের সকল প্রচেষ্টা পাঠকের সংবাদ চাহিদাকে কেন্দ্র করে। তাই পাঠকের যে কোনো মতামত আমরা সাদরে গ্রহন করব।
জনপ্রিয়

পূর্বধলায় বণিক সমিতির সাথে উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীর মতবিনিময়

ইন্ডিয়ায় মোদির বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব

আপডেট : ০১:২১:৩৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ জুলাই ২০২৩

পূর্বকন্ঠ ডেস্ক: ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ওপর অনাস্থা প্রস্তাব আনছে দেশটির নবগঠিত ২৬ দলের জোট ন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট ইনক্লুসিভ অ্যালায়েন্স (ইন্ডিয়া)।

জাতিবিদ্বেষের আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে যাওয়া মণিপুর নিয়ে আলোচনায় মোদি সরকারের ওপর চাপ বাড়াতেই এই পথে হাঁটছে ‘ইন্ডিয়া’।

মঙ্গলবার এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই বিষয়ে উদ্যোগ নিচ্ছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের আম আদমি পার্টির রাজ্যসভার সংসদ-সদস্য রাঘব চাড্ডা। প্রায় ২০ বছর পর লোকসভায় কোনো সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনতে চলেছে বিরোধী পক্ষ।,

এর আগে, ২০০৩ সালে অটল বিহারি বাজপেয়ির নেতৃত্বাধীন এনডিএ সরকারের বিরুদ্ধে শেষবার অনাস্থা প্রস্তাব আনা হয়েছিল।

এদিন সকালে সংসদে নিজেদের পরবর্তী কৌশল আলোচনায় বিরোধী দলগুলোর সংসদীয় নেতারা রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতা কংগ্রেস সভাপতি মলি­কার্জুন খাড়গের কার্যালয়ে এক বৈঠক করেন। সেখানেই লোকসভায় অনাস্থা প্রস্তাব আনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন-কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ, প্রমোদ তিওয়ারি, আম আদমি পার্টির রাঘব চাড্ডা, তৃণমূল কংগ্রেসের ডেরেক ও’ব্রায়েন প্রমুখ।,

বৈঠকে অনাস্থা প্রস্তাব আনার বিষয়ে ইন্ডিয়া জোটের সবকটি দলই একমত হয়েছে। দাঙ্গাবিধ্বস্ত মণিপুরের পরিস্থিতি নিয়ে সংসদে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে কীভাবে কথা বলতে বাধ্য করা যায়-সেই বিষয়ে বিভিন্ন বিকল্প নিয়ে আলোচনার পরই এই সিদ্ধান্তে পৌঁছায় বিরোধীরা। ,

তারা মনে করছেন, এই বিষয়ে সরকারকে আলোচনা শুরু করতে বাধ্য করার জন্য এটিই একমাত্র কার্যকর উপায়। শুধু লোকসভাতেই নয়, মণিপুর ইস্যুতে রাজ্যসভার বিজেপি সরকারকে কীভাবে কোণঠাসা করা যায়, তারও কৌশল নির্ধারণ করছে বিরোধী দলগুলো।,

কংগ্রেস এবং অন্যান্য বিরোধী দলগুলো মণিপুর পরিস্থিতি নিয়ে সংসদে বিশদ আলোচনা এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিবৃতি দাবি করেছে। ২০ জুলাই সংসদের বাদল অধিবেশন শুরু হয়েছে। তারপর থেকে লোকসভা এবং রাজ্যসভা উত্তাল হয়েছে বিরোধীদের প্রতিবাদ এবং স্লোগানে। তথ্য সূত্র: যুগান্তর