মঙ্গলবার ২৬ নভেম্বর পদ্মা সেতুর ১৭ তম স্প্যান বসানো হয়েছে । আর এতে করে দৃশ্যমান হয়েছে আড়াই কিলোমিটার।
আর ১৭তম স্প্যান বসানোর মধ্যদিয়ে দেশের দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের মানুষের বহুলকাংখিত পদ্মা সেতু আরও এক ধাপ এগুলো গেল।
মঙ্গলবার সকাল ৯টার দিকে মাওয়ার মাঝের চরের অস্থায়ী প্লাটফর্ম থেকে ভাসমান ৩ হাজার ৬০০ টন ধারণ ক্ষমতার শক্তিশালী ভাসমান ‘তিয়ান ই’ ক্রেনে স্প্যানটি ২২ ও ২৩ নম্বর পিলারের কাছে নেয়া হয়।
দুপুর ২টার দিকে পদ্মা নদীর মাঝখানে ২২ ও ২৩ নাম্বর পিলারের ওপর স্প্যানটি বসানো হয়। যার ফলে পদ্মা সেতু এখন ২ দশমিক ৫৫ কিলোমিটার দৃশ্যমান হল।
সেতু বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী দেওয়ান আবদুল কাদের সাংবাদিকদের জানান, ১৬তম স্প্যানটি বসানোর মাত্র ৭ দিনের মাথায় বসানো হলো ১৭ তম স্প্যানটি। মাদারীপুর- মুন্সিগঞ্জ জেলার সীমান্তবর্তী এলাকার পদ্মা নদীর মাঝখানে সকাল থেকেই স্প্যান উঠানোর শুরু করে।
পদ্মা সেতু বিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলী হুমায়ুন কবির জানান, ২০১৭ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর সেতুর প্রথম স্প্যান, ২০১৮ সালের ২৮ জানুয়ারি দ্বিতীয়, ১০ মার্চ তৃতীয়, ১৩ এপ্রিল চতুর্থ, ২৯ জুন পঞ্চম, ২০১৯ সালের ২৩ জানুয়ারি ষষ্ঠ, ২০ ফেরুয়ারি সপ্তম, ২০ মার্চ অষ্টম, ১৮ এপ্রিল নবম স্প্যান বসানো হয়।
চ্যানেলে নাব্য সংকট দেখা দেয়ায় খনন করে স্প্যান উত্তোলনের কাজ করতে হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ওই প্রকৌশলী।
প্রতিটি স্প্যানের দৈর্ঘ্য ১৫০ মিটার। ৪২টি পিলারের উপর ৪১টি স্প্যান বসানো হবে। ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ পদ্মা সেতু নির্মাণ করা হবে। এর মধ্যে বেশ কয়েকটি পিলারের লাইলিংয়ের কাজ শেষ হয়েছে। ইতিমধ্যে ৩২টি পিলারের কাজ শেষ হয়েছে। বাকি পিলারের কাজ দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলছে।
সেতু বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী দেওয়ান আবদুল কাদের বলেন, আবহাওয়াসহ সব কিছু অনুকূলে থাকায় ১৬তম স্প্যানটি বসানোর মাত্র ৭ দিনের মাথা ১৭তম স্প্যানটি বসানো সম্ভব হয়েছে।