সুন্দরবনের অভয়ারণ্যে মাছ ধরতে না দেওয়ায় শরণখোলা উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আসাদ হাওলাদারের নেতৃত্বে ১০-১২ জন বনরক্ষীর ওপর হামলা চালিয়েছে।
হামলায় বন বিভাগের শরণখোলা রেঞ্জ কর্মকর্তা (এসিএফ) শেখ মাহাবুব হাসান, ফরেস্টার মতিউর রহমান ও স্পিড বোট ড্রাইভার সিরাজুল ইসলাম গুরুতর আহত অবস্থায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়েছেন।,
এ ঘটনায় পাঁচজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ৭-৮ জনকে আসামি করে শরণখোলা থানায় একটি মামলা করা হয়েছে। পুলিশ শুক্রবার মো. জসিম নামে একজনকে গ্রেফতার করেছে।
শরণখোলা রেঞ্জ কর্মকর্তা (এসিএফ) শেখ মাহাবুব হাসান পূর্বকন্ঠকে জানান, শরণখোলা উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আসাদুজ্জামান হাওলাদার ও সাইফুল ইসলাম রুবেল খলিফা সুন্দরবনের অভয়ারণ্যে মাছ ধরার জন্য তাকে চাপ প্রয়োগ করে আসছিল। কিন্তু তাদের এই অনৈতিক দাবি না মানলে তারা আমাকেসহ বনরক্ষীদের বিভিন্ন সময় হুমকি দিতে থাকে। একপর্যায়ে বৃহস্পাতবার দুপুরে আন্তর্জাতিক বন দিবস পালন শেষে বিভাগীয় বন কর্মকর্তা কাজী মুহাম্মদ নুরুল করিমকে এগিয়ে দিতে শরণখোলা রেঞ্জসংলগ্ন বাজারের খেয়াঘাটে পৌঁছানো মাত্র পরিকল্পিতভাবে আসাদুজ্জামান হাওলাদার ও সাইফুল ইসলাম রুবেল খলিফার নেতৃত্বে ১০-১২ ব্যক্তি তাদের ওপর অর্তকিত হামলা চালায়। হামলায় তারা তিনজন গুরুতর আহত হন।,
শরণখোলা থানার ওসি এইচএম কামরুজ্জামান বলেন, এ ঘটনায় বন বিভাগের বগী স্টেশন কর্মকর্তা ফরেস্টার মো. জাহাঙ্গীর আলম বাদী হয়ে মো. আসাদ হাওলাদার, সাইফুল ইসলাম রুবেল খলিফা, মাসুদুর রহমান রনি, আমির হাসান চয়ন, মো. জসিমসহ আরও ৭-৮ জন অজ্ঞাত ব্যক্তিকে আসামি করে থানায় একটি মামলা করেছেন। মামলার আসামি মো. জসিমকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ‘অন্য অসামিদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।,
এ ব্যাপারে উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান রায়হান উদ্দিন আকন শান্ত পূর্বকন্ঠকে বলেন, একজন কর্মকর্তাসহ বনরক্ষীদের মারধর এটি খুবই ন্যক্কারজনক ঘটনা। ‘এ ঘটনায় জড়িত যেই হোক তাদের আইনের আওতায় শাস্তি পেতে হবে।,’