নেত্রকোনা ০৪:৪৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০১ মে ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

অভয়ারণ্যে মাছ ধরতে না দেওয়ায় বনরক্ষীর ওপর হামলা

সুন্দরবনের অভয়ারণ্যে মাছ ধরতে না দেওয়ায় শরণখোলা উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আসাদ হাওলাদারের নেতৃত্বে ১০-১২ জন বনরক্ষীর ওপর হামলা চালিয়েছে।

হামলায় বন বিভাগের শরণখোলা রেঞ্জ কর্মকর্তা (এসিএফ) শেখ মাহাবুব হাসান, ফরেস্টার মতিউর রহমান ও স্পিড বোট ড্রাইভার সিরাজুল ইসলাম গুরুতর আহত অবস্থায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়েছেন।,

এ ঘটনায় পাঁচজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ৭-৮ জনকে আসামি করে শরণখোলা থানায় একটি মামলা করা হয়েছে। পুলিশ শুক্রবার মো. জসিম নামে একজনকে গ্রেফতার করেছে।

শরণখোলা রেঞ্জ কর্মকর্তা (এসিএফ) শেখ মাহাবুব হাসান পূর্বকন্ঠকে জানান, শরণখোলা উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আসাদুজ্জামান হাওলাদার ও সাইফুল ইসলাম রুবেল খলিফা সুন্দরবনের অভয়ারণ্যে মাছ ধরার জন্য তাকে চাপ প্রয়োগ করে আসছিল। কিন্তু তাদের এই অনৈতিক দাবি না মানলে তারা আমাকেসহ বনরক্ষীদের বিভিন্ন সময় হুমকি দিতে থাকে। একপর্যায়ে বৃহস্পাতবার দুপুরে আন্তর্জাতিক বন দিবস পালন শেষে বিভাগীয় বন কর্মকর্তা কাজী মুহাম্মদ নুরুল করিমকে এগিয়ে দিতে শরণখোলা রেঞ্জসংলগ্ন বাজারের খেয়াঘাটে পৌঁছানো মাত্র পরিকল্পিতভাবে আসাদুজ্জামান হাওলাদার ও সাইফুল ইসলাম রুবেল খলিফার নেতৃত্বে ১০-১২ ব্যক্তি তাদের ওপর অর্তকিত হামলা চালায়। হামলায় তারা তিনজন গুরুতর আহত হন।,

শরণখোলা থানার ওসি এইচএম কামরুজ্জামান বলেন, এ ঘটনায় বন বিভাগের বগী স্টেশন কর্মকর্তা ফরেস্টার মো. জাহাঙ্গীর আলম বাদী হয়ে মো. আসাদ হাওলাদার, সাইফুল ইসলাম রুবেল খলিফা, মাসুদুর রহমান রনি, আমির হাসান চয়ন, মো. জসিমসহ আরও ৭-৮ জন অজ্ঞাত ব্যক্তিকে আসামি করে থানায় একটি মামলা করেছেন। মামলার আসামি মো. জসিমকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ‘অন্য অসামিদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।,

এ ব্যাপারে উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান রায়হান উদ্দিন আকন শান্ত পূর্বকন্ঠকে বলেন, একজন কর্মকর্তাসহ বনরক্ষীদের মারধর এটি খুবই ন্যক্কারজনক ঘটনা। ‘এ ঘটনায় জড়িত যেই হোক তাদের আইনের আওতায় শাস্তি পেতে হবে।,’

আপনার মন্তব্য লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষণ করুন

প্রকাশক ও সম্পাদক সম্পর্কে-

আমি মো. শফিকুল আলম শাহীন। আমি একজন ওয়েব ডেভেলপার ও সাংবাদিক । আমি পূর্বকণ্ঠ অনলাইন প্রকাশনার সম্পাদক ও প্রকাশক। আমি জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে ইতিবাচক। আমি করতে, দেখতে এবং অভিজ্ঞতা করতে পছন্দ করি এমন অনেক কিছু আছে। আমি আইটি সেক্টর নিয়ে বিভিন্ন এক্সপেরিমেন্ট করতে পছন্দ করি। যেমন ওয়েব পেজ তৈরি করা, বিভিন্ন অ্যাপ তৈরি করা, অনলাইন রেডিও স্টেশন তৈরি করা, অনলাইন সংবাদপত্র তৈরি করা ইত্যাদি। আমাদের প্রকাশনা “পূর্বকন্ঠ” স্বাধীনতার চেতনায় একটি নিরপেক্ষ জাতীয় অনলাইন । পাঠক আমাদের সবচেয়ে বড় অনুপ্রেরনা। পূর্বকণ্ঠ কথা বলে বাঙালির আত্মপ্রত্যয়ী আহ্বান ও ত্যাগে অর্জিত স্বাধীনতার। কথা বলে স্বাধীনতার চেতনায় উদ্বুদ্ধ হতে। ছড়িয়ে দিতে এ চেতনা দেশের প্রত্যেক কোণে কোণে। আমরা রাষ্ট্রের আইন কানুন, রীতিনীতির প্রতি শ্রদ্ধাশীল। দেশপ্রেম ও রাষ্ট্রীয় আইন বিরোধী এবং বাঙ্গালীর আবহমান কালের সামাজিক সহনশীলতার বিপক্ষে পূর্বকন্ঠ কখনো সংবাদ প্রকাশ করে না। আমরা সকল ধর্মমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল, কোন ধর্মমত বা তাদের অনুসারীদের অনুভূতিতে আঘাত দিয়ে আমরা কিছু প্রকাশ করি না। আমাদের সকল প্রচেষ্টা পাঠকের সংবাদ চাহিদাকে কেন্দ্র করে। তাই পাঠকের যে কোনো মতামত আমরা সাদরে গ্রহন করব।
জনপ্রিয়

পূর্বধলায় বণিক সমিতির সাথে উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীর মতবিনিময়

অভয়ারণ্যে মাছ ধরতে না দেওয়ায় বনরক্ষীর ওপর হামলা

আপডেট : ০৭:০৬:০৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৩ মার্চ ২০২৪

সুন্দরবনের অভয়ারণ্যে মাছ ধরতে না দেওয়ায় শরণখোলা উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আসাদ হাওলাদারের নেতৃত্বে ১০-১২ জন বনরক্ষীর ওপর হামলা চালিয়েছে।

হামলায় বন বিভাগের শরণখোলা রেঞ্জ কর্মকর্তা (এসিএফ) শেখ মাহাবুব হাসান, ফরেস্টার মতিউর রহমান ও স্পিড বোট ড্রাইভার সিরাজুল ইসলাম গুরুতর আহত অবস্থায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়েছেন।,

এ ঘটনায় পাঁচজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ৭-৮ জনকে আসামি করে শরণখোলা থানায় একটি মামলা করা হয়েছে। পুলিশ শুক্রবার মো. জসিম নামে একজনকে গ্রেফতার করেছে।

শরণখোলা রেঞ্জ কর্মকর্তা (এসিএফ) শেখ মাহাবুব হাসান পূর্বকন্ঠকে জানান, শরণখোলা উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আসাদুজ্জামান হাওলাদার ও সাইফুল ইসলাম রুবেল খলিফা সুন্দরবনের অভয়ারণ্যে মাছ ধরার জন্য তাকে চাপ প্রয়োগ করে আসছিল। কিন্তু তাদের এই অনৈতিক দাবি না মানলে তারা আমাকেসহ বনরক্ষীদের বিভিন্ন সময় হুমকি দিতে থাকে। একপর্যায়ে বৃহস্পাতবার দুপুরে আন্তর্জাতিক বন দিবস পালন শেষে বিভাগীয় বন কর্মকর্তা কাজী মুহাম্মদ নুরুল করিমকে এগিয়ে দিতে শরণখোলা রেঞ্জসংলগ্ন বাজারের খেয়াঘাটে পৌঁছানো মাত্র পরিকল্পিতভাবে আসাদুজ্জামান হাওলাদার ও সাইফুল ইসলাম রুবেল খলিফার নেতৃত্বে ১০-১২ ব্যক্তি তাদের ওপর অর্তকিত হামলা চালায়। হামলায় তারা তিনজন গুরুতর আহত হন।,

শরণখোলা থানার ওসি এইচএম কামরুজ্জামান বলেন, এ ঘটনায় বন বিভাগের বগী স্টেশন কর্মকর্তা ফরেস্টার মো. জাহাঙ্গীর আলম বাদী হয়ে মো. আসাদ হাওলাদার, সাইফুল ইসলাম রুবেল খলিফা, মাসুদুর রহমান রনি, আমির হাসান চয়ন, মো. জসিমসহ আরও ৭-৮ জন অজ্ঞাত ব্যক্তিকে আসামি করে থানায় একটি মামলা করেছেন। মামলার আসামি মো. জসিমকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ‘অন্য অসামিদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।,

এ ব্যাপারে উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান রায়হান উদ্দিন আকন শান্ত পূর্বকন্ঠকে বলেন, একজন কর্মকর্তাসহ বনরক্ষীদের মারধর এটি খুবই ন্যক্কারজনক ঘটনা। ‘এ ঘটনায় জড়িত যেই হোক তাদের আইনের আওতায় শাস্তি পেতে হবে।,’