নেত্রকোনা ০১:৩৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কেন্দুয়ায় নিখোঁজের ৩৬ দিন পর গাজীপুর থেকে স্কুলছাত্রী উদ্ধার

  • আপডেট : ০৪:৪০:১৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ অগাস্ট ২০১৯
  • ২৮৮

কে. এম. সাখাওয়াত হোসেন, নেত্রকোনা : 

নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলায় আশুজিয়া জেএনসি একাডেমির নবম শ্রেণির ছাত্রী দ্বিপ্তী রানী নিখোঁজের ১ মাস ৬ দিন পর গাজীপুর এলাকা থেকে উদ্ধার করেছে কেন্দুয়া থানা পুলিশ। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কেন্দুয়া থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. রাশেদুজ্জামান ।

তিনি বলেন, উপজেলার বলাইশিমুল ইউনিয়নের ভটেরগাতী পাড়াদুর্গাপুর গ্রামের শিরীষ বিশ্বশর্মার মেয়ে নবম শ্রেণির ছাত্রী দ্বিপ্তী রানী ১৬ জুলাই স্কুলে গিয়ে আর বাড়ি ফিরে আসেনি। পরের দিন এ ব্যাপারে নিখোঁজ ছাত্রীর পিতা থানায় অপহরণ মামলা দায়ের করেন। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে কেন্দুয়া থানা পুলিশ বুধবার (২১আগষ্ট) গভীর রাতে গাজীপুর চৌরাস্তা এলাকা থেকে দ্বিপ্তী রানীকে উদ্ধার করে বৃহস্পতিবার সকালে কেন্দুয়া থানায় নিয়ে আসা বলে তিনি জানান।

এদিকে দ্বিপ্তী রানী জানায়, কেউ আমাকে অপহরণ করেনি। মোবাইল ফোনের মাধ্যমে পরিচয় হয় ময়মনসিংহ জেলার গৌরীপুর উপজেলার সিংরাউন্দ গ্রামের আব্দুল হাই এর ছেলে আব্দুল হান্নানের সাথে। সে পেশায় একজন রড মিস্ত্রী। তার সাথে দুই বছরের প্রেমের টানে সেদিন (১৬ জুলাই) আশুজিয়া থেকে আমি ঈশ্বরগঞ্জ চলে যাই।

পরে আব্দুল হান্নানের সঙ্গে পালিয়ে গাজীপুরের টঙ্গীতে চলে আসি। সেখানে মুন্সী দিয়ে বিয়ে পড়ানোর পর স্বামী-স্ত্রী হিসেবে বসবাস করতেছি। নাম পরিবর্তন করে বর্তমানে আমার নাম সানজিদা আক্তার রুনা। আমি বাবার কাছে যেতে চাই না, স্বামীর কাছে ফিরে যেতে চাই।

উল্লেখ্য, দ্বিপ্তী রানী নিখোঁজের পরদিন ১৭ জুলাই তার বাবা শিরীষ বিশ্বশর্মা বাদী হয়ে দীপ্তির এক সহপাঠি মনি বর্মণসহ তার দুই ভাই সুজিত বর্মণ ও প্রদীপ বর্মণকে আসামি করে মামলা কেন্দুয়া থানায় অপহরণ মামলা দায়ের করেন।

এই মামলায় উপজেলার আশুজিয়া গ্রামের মনোরঞ্জন বর্মণের ছেলে সুজিত বর্মণকে (২৫) গ্রেফতার করে ১৯ জুলাই আদালতে পাঠায় পুলিশ। বর্তমানে সুজিত বর্মণ একমাস ধরে জেল হাজতে রয়েছেন।

আপনার মন্তব্য লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষণ করুন

প্রকাশক ও সম্পাদক সম্পর্কে-

আমি মো. শফিকুল আলম শাহীন। আমি একজন ওয়েব ডেভেলপার ও সাংবাদিক । আমি পূর্বকণ্ঠ অনলাইন প্রকাশনার সম্পাদক ও প্রকাশক। আমি জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে ইতিবাচক। আমি করতে, দেখতে এবং অভিজ্ঞতা করতে পছন্দ করি এমন অনেক কিছু আছে। আমি আইটি সেক্টর নিয়ে বিভিন্ন এক্সপেরিমেন্ট করতে পছন্দ করি। যেমন ওয়েব পেজ তৈরি করা, বিভিন্ন অ্যাপ তৈরি করা, অনলাইন রেডিও স্টেশন তৈরি করা, অনলাইন সংবাদপত্র তৈরি করা ইত্যাদি।

পূর্বধলায় উপজেলা নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন চেয়ারম্যান প্রার্থী

কেন্দুয়ায় নিখোঁজের ৩৬ দিন পর গাজীপুর থেকে স্কুলছাত্রী উদ্ধার

আপডেট : ০৪:৪০:১৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ অগাস্ট ২০১৯

কে. এম. সাখাওয়াত হোসেন, নেত্রকোনা : 

নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলায় আশুজিয়া জেএনসি একাডেমির নবম শ্রেণির ছাত্রী দ্বিপ্তী রানী নিখোঁজের ১ মাস ৬ দিন পর গাজীপুর এলাকা থেকে উদ্ধার করেছে কেন্দুয়া থানা পুলিশ। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কেন্দুয়া থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. রাশেদুজ্জামান ।

তিনি বলেন, উপজেলার বলাইশিমুল ইউনিয়নের ভটেরগাতী পাড়াদুর্গাপুর গ্রামের শিরীষ বিশ্বশর্মার মেয়ে নবম শ্রেণির ছাত্রী দ্বিপ্তী রানী ১৬ জুলাই স্কুলে গিয়ে আর বাড়ি ফিরে আসেনি। পরের দিন এ ব্যাপারে নিখোঁজ ছাত্রীর পিতা থানায় অপহরণ মামলা দায়ের করেন। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে কেন্দুয়া থানা পুলিশ বুধবার (২১আগষ্ট) গভীর রাতে গাজীপুর চৌরাস্তা এলাকা থেকে দ্বিপ্তী রানীকে উদ্ধার করে বৃহস্পতিবার সকালে কেন্দুয়া থানায় নিয়ে আসা বলে তিনি জানান।

এদিকে দ্বিপ্তী রানী জানায়, কেউ আমাকে অপহরণ করেনি। মোবাইল ফোনের মাধ্যমে পরিচয় হয় ময়মনসিংহ জেলার গৌরীপুর উপজেলার সিংরাউন্দ গ্রামের আব্দুল হাই এর ছেলে আব্দুল হান্নানের সাথে। সে পেশায় একজন রড মিস্ত্রী। তার সাথে দুই বছরের প্রেমের টানে সেদিন (১৬ জুলাই) আশুজিয়া থেকে আমি ঈশ্বরগঞ্জ চলে যাই।

পরে আব্দুল হান্নানের সঙ্গে পালিয়ে গাজীপুরের টঙ্গীতে চলে আসি। সেখানে মুন্সী দিয়ে বিয়ে পড়ানোর পর স্বামী-স্ত্রী হিসেবে বসবাস করতেছি। নাম পরিবর্তন করে বর্তমানে আমার নাম সানজিদা আক্তার রুনা। আমি বাবার কাছে যেতে চাই না, স্বামীর কাছে ফিরে যেতে চাই।

উল্লেখ্য, দ্বিপ্তী রানী নিখোঁজের পরদিন ১৭ জুলাই তার বাবা শিরীষ বিশ্বশর্মা বাদী হয়ে দীপ্তির এক সহপাঠি মনি বর্মণসহ তার দুই ভাই সুজিত বর্মণ ও প্রদীপ বর্মণকে আসামি করে মামলা কেন্দুয়া থানায় অপহরণ মামলা দায়ের করেন।

এই মামলায় উপজেলার আশুজিয়া গ্রামের মনোরঞ্জন বর্মণের ছেলে সুজিত বর্মণকে (২৫) গ্রেফতার করে ১৯ জুলাই আদালতে পাঠায় পুলিশ। বর্তমানে সুজিত বর্মণ একমাস ধরে জেল হাজতে রয়েছেন।