নেত্রকোনা ১২:৫১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

হেমন্ত উপলক্ষে এ কে সরকার শাওনের ২টি কবিতা

  • আপডেট : ০৯:০৭:০৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ অক্টোবর ২০১৯
  • ৫৭৪
হেমন্তের গান-এ কে সরকার শাওন:
হেমন্তের আগমনী গান

হিমেল হাওয়া গেয়ে যায়;
শরৎ নিয়েছে বিদায়,
কুয়াশার চাদর দিয়ে গায়।

ঘাসের মাথায় হীরার শিশির
মুকুট ঝলমল করে!
নীলাকাশ মিতালীতে মাতে
সবুজ দিগন্ত ধরে!

বাগানজুড়ে শোভা পায়
অশোক ছাতিম হিমঝুরী;
শিউলি কামিনী গন্ধরাজের
ঘ্রাণে মন যায় ভরি!

বাতাস ঢেউ খেলে
সোনালী ধানের ক্ষেতে।
কৃষাণ খুশীতে গান করে
পূর্ণতা প্রাপ্তিতে!

পরিবারের পুনর্মিলন
নবান্নের মহা উৎসবে ;
ঝিয়ারী জামাই নাইওর আসে,
খুশীর জোয়ারে ভাসে সবে!

নতুন চালের ফিরনী পায়েস
অমৃতের স্বাদ ক্ষীরে!
চিড়া মুড়ি খইয়ের স্বাদ বাড়ে
চিনিপাতা জমাট দইয়ে!

চাই হাতে নানা চলে
মাছ ধরার উৎসবে!
জাল কাঁধে সাথী নাতি
ডোলা হাতে গৌরবে!

দিনে লুডু লাঠিখেলা অার
কানামাছি নাগরদোলা !
রাতে আড্ডা হৈ হুল্লুড়
বাউলা গান যাত্রাপালা!

হাঁসি খুশী আনন্দ উল্ল্যাস
ধানে ধনে জনে গানে
চাঁদের হাট বসে ঘরে ঘরে
সাধের অগ্রহাণে!

আবহমান বাংলায়
এ পরম্পররা বিশ্বের সেরা!
শহরে বসে কি আছে আর;
স্মৃতি রোমন্থন ছাড়া?

কবিতাঃ হেমন্তের গান
এ কে সরকার শাওন
কাব্যগন্থঃ আপন-ছায়া
এ কে সরকার শাওন
শাওনাজ, ঢাকা।
১৩ অক্টোবর ২০১৯

হিমেল হেমন্ত-
এ কে সরকার শাওন

রঙ্গরসের গাঙ্গেয় ব-দ্বীপে

হেমন্ত বর নিয়ে আসে!
শ্যামলীমা উল্ল্যাসে নাচে ,
মুক্তার ঝিলিক দুর্বাঘাসে!

ধানে ধনে যশ জৌলুশে
কৃষাণের চোখে রোশনাই ঝরে!
ঠোটের কোনে হাসি ফুটিয়ে
সোনালী ক্ষেতে চায় ফিরে!

শিউলি কামিনী গন্ধরাজ
আর বাহারী ফুলের মালা;
অশোক ছাতিম হিমঝুরী
বকফুল মনে দেয় দোলা!

গানে ঘ্রাণে গুনগুনিয়ে
ভ্রমর ফড়িং উড়ে!
নবান্নে চাঁদের হাট বসে
সকল শান্তির নীড়ে!

আয়েশী পায়েশ, মিষ্টি সন্দেশ,
বাহারী খাবারের মেলা।
চলে পুলি পাক্কন পাটিশাপটায়
কারু কাজের খেলা!

পার্বণের প্লাবণে হেসে ভেসে
আসে নবান্নের মহামিলন!
হাসি খুশী সাধ আহ্লাদ
ধুমধামে হবে পূরণ!

মাছ ধরার সাড়া পড়ে
খালে বিলে ডোবায়!
নানা ধরনের শুঁটকি নিয়ে
জেলে স্বপ্ন বুনে যায়!

রাত বিরাতে যাত্রাপালা
খুশী কবিগান পালাগানে!
দিনে হই হুল্লুড় আড্ডা
খেলাধুলা চলে সমানে!

হেমন্ত গেঢ়েছে আসন
বাঙ্গালীর হৃদয় কুন্জবনে,
প্রত্যাশা প্রাপ্তি সম্ভবনার

সাধের কার্তিক অগ্রহাণে!

আপনার মন্তব্য লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষণ করুন

প্রকাশক ও সম্পাদক সম্পর্কে-

আমি মো. শফিকুল আলম শাহীন। আমি একজন ওয়েব ডেভেলপার ও সাংবাদিক । আমি পূর্বকণ্ঠ অনলাইন প্রকাশনার সম্পাদক ও প্রকাশক। আমি জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে ইতিবাচক। আমি করতে, দেখতে এবং অভিজ্ঞতা করতে পছন্দ করি এমন অনেক কিছু আছে। আমি আইটি সেক্টর নিয়ে বিভিন্ন এক্সপেরিমেন্ট করতে পছন্দ করি। যেমন ওয়েব পেজ তৈরি করা, বিভিন্ন অ্যাপ তৈরি করা, অনলাইন রেডিও স্টেশন তৈরি করা, অনলাইন সংবাদপত্র তৈরি করা ইত্যাদি।

পূর্বধলায় নিজ মেয়েকে হত্যা করে শেষ রক্ষা হলো না মায়ের

হেমন্ত উপলক্ষে এ কে সরকার শাওনের ২টি কবিতা

আপডেট : ০৯:০৭:০৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ অক্টোবর ২০১৯
হেমন্তের গান-এ কে সরকার শাওন:
হেমন্তের আগমনী গান

হিমেল হাওয়া গেয়ে যায়;
শরৎ নিয়েছে বিদায়,
কুয়াশার চাদর দিয়ে গায়।

ঘাসের মাথায় হীরার শিশির
মুকুট ঝলমল করে!
নীলাকাশ মিতালীতে মাতে
সবুজ দিগন্ত ধরে!

বাগানজুড়ে শোভা পায়
অশোক ছাতিম হিমঝুরী;
শিউলি কামিনী গন্ধরাজের
ঘ্রাণে মন যায় ভরি!

বাতাস ঢেউ খেলে
সোনালী ধানের ক্ষেতে।
কৃষাণ খুশীতে গান করে
পূর্ণতা প্রাপ্তিতে!

পরিবারের পুনর্মিলন
নবান্নের মহা উৎসবে ;
ঝিয়ারী জামাই নাইওর আসে,
খুশীর জোয়ারে ভাসে সবে!

নতুন চালের ফিরনী পায়েস
অমৃতের স্বাদ ক্ষীরে!
চিড়া মুড়ি খইয়ের স্বাদ বাড়ে
চিনিপাতা জমাট দইয়ে!

চাই হাতে নানা চলে
মাছ ধরার উৎসবে!
জাল কাঁধে সাথী নাতি
ডোলা হাতে গৌরবে!

দিনে লুডু লাঠিখেলা অার
কানামাছি নাগরদোলা !
রাতে আড্ডা হৈ হুল্লুড়
বাউলা গান যাত্রাপালা!

হাঁসি খুশী আনন্দ উল্ল্যাস
ধানে ধনে জনে গানে
চাঁদের হাট বসে ঘরে ঘরে
সাধের অগ্রহাণে!

আবহমান বাংলায়
এ পরম্পররা বিশ্বের সেরা!
শহরে বসে কি আছে আর;
স্মৃতি রোমন্থন ছাড়া?

কবিতাঃ হেমন্তের গান
এ কে সরকার শাওন
কাব্যগন্থঃ আপন-ছায়া
এ কে সরকার শাওন
শাওনাজ, ঢাকা।
১৩ অক্টোবর ২০১৯

হিমেল হেমন্ত-
এ কে সরকার শাওন

রঙ্গরসের গাঙ্গেয় ব-দ্বীপে

হেমন্ত বর নিয়ে আসে!
শ্যামলীমা উল্ল্যাসে নাচে ,
মুক্তার ঝিলিক দুর্বাঘাসে!

ধানে ধনে যশ জৌলুশে
কৃষাণের চোখে রোশনাই ঝরে!
ঠোটের কোনে হাসি ফুটিয়ে
সোনালী ক্ষেতে চায় ফিরে!

শিউলি কামিনী গন্ধরাজ
আর বাহারী ফুলের মালা;
অশোক ছাতিম হিমঝুরী
বকফুল মনে দেয় দোলা!

গানে ঘ্রাণে গুনগুনিয়ে
ভ্রমর ফড়িং উড়ে!
নবান্নে চাঁদের হাট বসে
সকল শান্তির নীড়ে!

আয়েশী পায়েশ, মিষ্টি সন্দেশ,
বাহারী খাবারের মেলা।
চলে পুলি পাক্কন পাটিশাপটায়
কারু কাজের খেলা!

পার্বণের প্লাবণে হেসে ভেসে
আসে নবান্নের মহামিলন!
হাসি খুশী সাধ আহ্লাদ
ধুমধামে হবে পূরণ!

মাছ ধরার সাড়া পড়ে
খালে বিলে ডোবায়!
নানা ধরনের শুঁটকি নিয়ে
জেলে স্বপ্ন বুনে যায়!

রাত বিরাতে যাত্রাপালা
খুশী কবিগান পালাগানে!
দিনে হই হুল্লুড় আড্ডা
খেলাধুলা চলে সমানে!

হেমন্ত গেঢ়েছে আসন
বাঙ্গালীর হৃদয় কুন্জবনে,
প্রত্যাশা প্রাপ্তি সম্ভবনার

সাধের কার্তিক অগ্রহাণে!