নেত্রকোনা ১০:২৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শ্রীমঙ্গলে নতুন পেঁয়াজ না আসায়,কমছে না পেঁয়াজের দাম

  • আপডেট : ০৯:৫৮:৫৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৮ অক্টোবর ২০১৯
  • ২২১

শ্রীমঙ্গল প্রতিনিধি:
পেঁয়াজের ঝাঁজের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েই চলেছে দাম। দাম কমার কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। মূলত সংকটের অজুহাতে খুচরা বাজারে হু হু করে বেড়ে গেছে পেঁয়াজের দাম। মাত্র দুই দিনের ব্যবধানে পেঁয়াজের কেজি ৮৫ টাকা থেকে ১১০ টাকা দরে বিক্রি হওয়ায় দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন স্বল্পআয়ী সাধারন মানুষ।
সোমবার শ্রীমঙ্গলের বাজার ঘুরে দেখা যায়, নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম অনেকটা বেড়ে গেছে। তবে পেঁয়াজ ও রসুনের দাম রয়েছে স্বল্প আয়ের মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে। প্রতি কেজি পেঁয়াজ শনিবারে বিক্রি হয়েছিল ৮৫ টাকা করে।
আর রোববার সকাল থেকে এ পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১১০ টাকা দরে। রসুনের কেজি ১২০ টাকা থেকে ১৫০, আদা কেজি প্রতি ১১৫ থেকে ১৩০ টাকা,কাঁচা মরিচ কেজি ১০০ টাকা, ধনে পাতা কেজি ১৫০ টাকা, আদা কেজি ১৫০ টাকা হারে বিক্রি করতে দেখা গেছে।
সম্প্রতি আলুর দামও কেজি প্রতি পাঁচ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে। এদিকে বাজারে প্রচুর পরিমাণে শীতের শাক-সবজি আসলেও বাড়তি দামেই বিক্রি হচ্ছে শাক-সবজি।
ক্রেতারা বলেন, পেঁয়াজ ও রসুনের যে দাম তাতে আমাদের না খেয়েই থাকতে হচ্ছে। আমাদের যে আয় তা দিয়ে পেঁয়াজ, রসুন কিনে খাওয়া কোনো মতেই সম্ভব নয়। তারপরও প্রয়োজনের তাগিদে স্বল্পহারে পিয়াজ রসুন কিনে নিচ্ছেন তারা। তাছাড়া বাজারে এখন সব ধরনের জিনিসপত্রের দাম বেশি।
শ্রীমঙ্গল বাজারের মুদি ব্যবসায়ীরা উত্তম কানু বলেন, পাইকারি বাজার থেকে বেশী দামে পেঁয়াজ রসুন কিনতে হচ্ছে বলে বাজারে বেশী দামে বিক্রি করছেন। আগামী মাসে দেশি নতুন পেঁয়াজ বাজারে না আসা পর্যন্ত দাম চড়া থাকবে।
শ্রীমঙ্গল সেন্ট্রাল পাইকারি ব্যবসায়ী লিটন মিয়া জানান,ভারতীয় পেঁয়াজ বন্ধ থাকায় শ্রীমঙ্গলের বাজারে পেঁয়াজের সংকট তৈরি হয়েছে। এ কারণে পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে। যার ফলে মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জ,জুড়ী,কুলাউড়া,বড়লেখা,রাজনগন সহ সব উপজেলায় চড়া দরে পেঁয়ার বিক্রি হচ্ছে। তিনি জানান,নতুন পেঁয়াজ আসলে পেঁয়াজের দাম কমতে পারে। আর এখন বর্তমানে মিশর,মায়ানমারে পেঁয়াজ বাজারে রয়েছে।

আপনার মন্তব্য লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষণ করুন

প্রকাশক ও সম্পাদক সম্পর্কে-

আমি মো. শফিকুল আলম শাহীন। আমি একজন ওয়েব ডেভেলপার ও সাংবাদিক । আমি পূর্বকণ্ঠ অনলাইন প্রকাশনার সম্পাদক ও প্রকাশক। আমি জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে ইতিবাচক। আমি করতে, দেখতে এবং অভিজ্ঞতা করতে পছন্দ করি এমন অনেক কিছু আছে। আমি আইটি সেক্টর নিয়ে বিভিন্ন এক্সপেরিমেন্ট করতে পছন্দ করি। যেমন ওয়েব পেজ তৈরি করা, বিভিন্ন অ্যাপ তৈরি করা, অনলাইন রেডিও স্টেশন তৈরি করা, অনলাইন সংবাদপত্র তৈরি করা ইত্যাদি।

পূর্বধলায় উপজেলা নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন চেয়ারম্যান প্রার্থী

শ্রীমঙ্গলে নতুন পেঁয়াজ না আসায়,কমছে না পেঁয়াজের দাম

আপডেট : ০৯:৫৮:৫৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৮ অক্টোবর ২০১৯

শ্রীমঙ্গল প্রতিনিধি:
পেঁয়াজের ঝাঁজের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েই চলেছে দাম। দাম কমার কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। মূলত সংকটের অজুহাতে খুচরা বাজারে হু হু করে বেড়ে গেছে পেঁয়াজের দাম। মাত্র দুই দিনের ব্যবধানে পেঁয়াজের কেজি ৮৫ টাকা থেকে ১১০ টাকা দরে বিক্রি হওয়ায় দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন স্বল্পআয়ী সাধারন মানুষ।
সোমবার শ্রীমঙ্গলের বাজার ঘুরে দেখা যায়, নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম অনেকটা বেড়ে গেছে। তবে পেঁয়াজ ও রসুনের দাম রয়েছে স্বল্প আয়ের মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে। প্রতি কেজি পেঁয়াজ শনিবারে বিক্রি হয়েছিল ৮৫ টাকা করে।
আর রোববার সকাল থেকে এ পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১১০ টাকা দরে। রসুনের কেজি ১২০ টাকা থেকে ১৫০, আদা কেজি প্রতি ১১৫ থেকে ১৩০ টাকা,কাঁচা মরিচ কেজি ১০০ টাকা, ধনে পাতা কেজি ১৫০ টাকা, আদা কেজি ১৫০ টাকা হারে বিক্রি করতে দেখা গেছে।
সম্প্রতি আলুর দামও কেজি প্রতি পাঁচ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে। এদিকে বাজারে প্রচুর পরিমাণে শীতের শাক-সবজি আসলেও বাড়তি দামেই বিক্রি হচ্ছে শাক-সবজি।
ক্রেতারা বলেন, পেঁয়াজ ও রসুনের যে দাম তাতে আমাদের না খেয়েই থাকতে হচ্ছে। আমাদের যে আয় তা দিয়ে পেঁয়াজ, রসুন কিনে খাওয়া কোনো মতেই সম্ভব নয়। তারপরও প্রয়োজনের তাগিদে স্বল্পহারে পিয়াজ রসুন কিনে নিচ্ছেন তারা। তাছাড়া বাজারে এখন সব ধরনের জিনিসপত্রের দাম বেশি।
শ্রীমঙ্গল বাজারের মুদি ব্যবসায়ীরা উত্তম কানু বলেন, পাইকারি বাজার থেকে বেশী দামে পেঁয়াজ রসুন কিনতে হচ্ছে বলে বাজারে বেশী দামে বিক্রি করছেন। আগামী মাসে দেশি নতুন পেঁয়াজ বাজারে না আসা পর্যন্ত দাম চড়া থাকবে।
শ্রীমঙ্গল সেন্ট্রাল পাইকারি ব্যবসায়ী লিটন মিয়া জানান,ভারতীয় পেঁয়াজ বন্ধ থাকায় শ্রীমঙ্গলের বাজারে পেঁয়াজের সংকট তৈরি হয়েছে। এ কারণে পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে। যার ফলে মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জ,জুড়ী,কুলাউড়া,বড়লেখা,রাজনগন সহ সব উপজেলায় চড়া দরে পেঁয়ার বিক্রি হচ্ছে। তিনি জানান,নতুন পেঁয়াজ আসলে পেঁয়াজের দাম কমতে পারে। আর এখন বর্তমানে মিশর,মায়ানমারে পেঁয়াজ বাজারে রয়েছে।