নেত্রকোনা ১০:৩৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শ্রীবরদী পৌরসভার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন নেই মাসের পর মাস,পরিবার নিয়ে চরম সংকটে

  • আপডেট : ১২:৩১:২৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ৭ ডিসেম্বর ২০১৯
  • ৩৯৩

মো. আব্দুল বাতেন,শ্রীবরদী ঃ

শ্রীবরদী পৌরসভার কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ১৪ মাস ধরে বেতন-ভাতা না পেয়ে পরিবার-পরিজন নিয়ে অতি কষ্টের মধ্যে খেয়ে না খেয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছে। বেতন-ভাতা না পাওয়ায় আর্থিকভাবে চরম সংকটে পড়েছেন। তার ওপর ছেলেমেয়েদের লেখাপড়ার খরচ, পাওনাদারদের চাপ, সব মিলিয়ে তারা দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। এ পৌরসভা আয়তনের দিক থেকে ছোট হওয়ায় রাজস্ব আয় একেবারেই কম।

প্রধান হাট-বাজার ও অন্যান্য খাত থেকে পাওয়া আয় দিয়ে কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বেতন-ভাতা দিতে হয়। কয়েকজন কর্মচারী পরিচয় গোপন রাখার শর্তে বলেন মেয়র সাহেব আমাদের সুখ-দুখের কথা কখনও চিন্তাও করেন না। তার খেয়ালখুশি মতো যা ইচ্ছা তাই করেন। তিনি বেতন না দিয়ে মাঝে মধ্যে কিছু কর্মীদের ভাতা প্রদান করেন। কারণ দৈনিক হাজিরার ভিত্তিতে অতিরিক্ত কিছু লোক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে যাদের কোনো কাজ নেই। তারা মেয়রের নিজস্ব লোক। তাদেরকে কোনোসময় অফিসের কাজ করতে দেখা যায় না। কিছু বলাও যায় না।

বর্তমানে আমাদের সংসার চালানো কঠিন হয়ে পড়েছে। ছেলেমেয়েদের পড়ালেখার খরচ জোগাড় করা নিয়ে খুব সমস্যা হচ্ছে। হিসাব রক্ষক তারেক বলেন, পৌরসভার সাংগঠনিক কাঠামোভুক্ত (নিয়মিত ্েবতন) ২ জন কর্মকর্তা এবং ২৩ জন কর্মচারী রয়েছে। দৈনিক হাজিরার ভিত্তিতে রয়েছেন ২০জন কর্মী। সবার বেতন-ভাতা দিতে বছরে প্রয়োজন ১ কোটি ২০ লাখ টাকা।
পৌরসভার অতিরিক্ত প্রকৌশলী ফখরদ্দিন আহাম্মদ বলেন, এ পৌরসভার নিজস্ব আয়ের তেমন কোনো উৎস নাই, লোকজন হোল্ডিং ট্যাক্স দেয় না, বড় কোনো ব্যবসা প্রতিষ্ঠানও নাই। আয়ের কোনো উৎস্য না থাকলে তাহলে আমরা বেতন-ভাতা কোত্থেকে দেব। পৌর সচিব সরাফত আলী বলেন আমার নিজেরও অনেক বেতন-ভাতা বাকি আছে। সবসময় আমাকে আর্থিক সংকটে থাকতে হয়।

এ পৌরসভায় অর্থ সংকুলানের অভাবে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা বন্ধ রয়েছে। এতে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মানবেতন জীবনযাপন করতে হচ্ছে। হাট-বাজারের ইজারার অর্থসহ পৌর ট্যাক্সের টাকা দিয়েই কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা দেয়া হয়। তবে এই সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা সরকারি কোষাগার থেকে দেয়া হলে এই দুরাবস্থায় থাকতে হতো না।
মেয়র আবু সাঈদ বলেন, কিছুদিনের মধ্যেই কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা দেওয়া হবে।

আপনার মন্তব্য লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষণ করুন

প্রকাশক ও সম্পাদক সম্পর্কে-

আমি মো. শফিকুল আলম শাহীন। আমি একজন ওয়েব ডেভেলপার ও সাংবাদিক । আমি পূর্বকণ্ঠ অনলাইন প্রকাশনার সম্পাদক ও প্রকাশক। আমি জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে ইতিবাচক। আমি করতে, দেখতে এবং অভিজ্ঞতা করতে পছন্দ করি এমন অনেক কিছু আছে। আমি আইটি সেক্টর নিয়ে বিভিন্ন এক্সপেরিমেন্ট করতে পছন্দ করি। যেমন ওয়েব পেজ তৈরি করা, বিভিন্ন অ্যাপ তৈরি করা, অনলাইন রেডিও স্টেশন তৈরি করা, অনলাইন সংবাদপত্র তৈরি করা ইত্যাদি।
জনপ্রিয়

পূর্বধলায় বণিক সমিতির সাথে উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীর মতবিনিময়

শ্রীবরদী পৌরসভার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন নেই মাসের পর মাস,পরিবার নিয়ে চরম সংকটে

আপডেট : ১২:৩১:২৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ৭ ডিসেম্বর ২০১৯

মো. আব্দুল বাতেন,শ্রীবরদী ঃ

শ্রীবরদী পৌরসভার কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ১৪ মাস ধরে বেতন-ভাতা না পেয়ে পরিবার-পরিজন নিয়ে অতি কষ্টের মধ্যে খেয়ে না খেয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছে। বেতন-ভাতা না পাওয়ায় আর্থিকভাবে চরম সংকটে পড়েছেন। তার ওপর ছেলেমেয়েদের লেখাপড়ার খরচ, পাওনাদারদের চাপ, সব মিলিয়ে তারা দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। এ পৌরসভা আয়তনের দিক থেকে ছোট হওয়ায় রাজস্ব আয় একেবারেই কম।

প্রধান হাট-বাজার ও অন্যান্য খাত থেকে পাওয়া আয় দিয়ে কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বেতন-ভাতা দিতে হয়। কয়েকজন কর্মচারী পরিচয় গোপন রাখার শর্তে বলেন মেয়র সাহেব আমাদের সুখ-দুখের কথা কখনও চিন্তাও করেন না। তার খেয়ালখুশি মতো যা ইচ্ছা তাই করেন। তিনি বেতন না দিয়ে মাঝে মধ্যে কিছু কর্মীদের ভাতা প্রদান করেন। কারণ দৈনিক হাজিরার ভিত্তিতে অতিরিক্ত কিছু লোক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে যাদের কোনো কাজ নেই। তারা মেয়রের নিজস্ব লোক। তাদেরকে কোনোসময় অফিসের কাজ করতে দেখা যায় না। কিছু বলাও যায় না।

বর্তমানে আমাদের সংসার চালানো কঠিন হয়ে পড়েছে। ছেলেমেয়েদের পড়ালেখার খরচ জোগাড় করা নিয়ে খুব সমস্যা হচ্ছে। হিসাব রক্ষক তারেক বলেন, পৌরসভার সাংগঠনিক কাঠামোভুক্ত (নিয়মিত ্েবতন) ২ জন কর্মকর্তা এবং ২৩ জন কর্মচারী রয়েছে। দৈনিক হাজিরার ভিত্তিতে রয়েছেন ২০জন কর্মী। সবার বেতন-ভাতা দিতে বছরে প্রয়োজন ১ কোটি ২০ লাখ টাকা।
পৌরসভার অতিরিক্ত প্রকৌশলী ফখরদ্দিন আহাম্মদ বলেন, এ পৌরসভার নিজস্ব আয়ের তেমন কোনো উৎস নাই, লোকজন হোল্ডিং ট্যাক্স দেয় না, বড় কোনো ব্যবসা প্রতিষ্ঠানও নাই। আয়ের কোনো উৎস্য না থাকলে তাহলে আমরা বেতন-ভাতা কোত্থেকে দেব। পৌর সচিব সরাফত আলী বলেন আমার নিজেরও অনেক বেতন-ভাতা বাকি আছে। সবসময় আমাকে আর্থিক সংকটে থাকতে হয়।

এ পৌরসভায় অর্থ সংকুলানের অভাবে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা বন্ধ রয়েছে। এতে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মানবেতন জীবনযাপন করতে হচ্ছে। হাট-বাজারের ইজারার অর্থসহ পৌর ট্যাক্সের টাকা দিয়েই কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা দেয়া হয়। তবে এই সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা সরকারি কোষাগার থেকে দেয়া হলে এই দুরাবস্থায় থাকতে হতো না।
মেয়র আবু সাঈদ বলেন, কিছুদিনের মধ্যেই কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা দেওয়া হবে।