নেত্রকোনা ০১:৫৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৭ মে ২০২৪, ২৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রাবিতে ছিনতাইকারীকে পুলিশে দিল ছাত্রলীগ

  • আপডেট : ০৩:৪১:০৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ অক্টোবর ২০১৯
  • ১৮৬

মেহেদী হাসান,রাবি সংবাদদতা:

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে এক শিক্ষার্থীর মোবাইল ছিনতাইকালে এক বহিরাগতকে মারধর করে পুলিশে দিয়েছে শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মন্নুজান হলের সামনে এ ঘটনা ঘটে বলে জানা গেছে। মারধরের পর আহত অবস্থায় তাকে রামেকে ভর্তি করা হয়।

আটক হওয়া ফয়সাল উদ্দীন রাহাত মেহেরচন্ডী পূর্বপাড়ার রহিজ উদ্দীনের ছেলে। তিনি নিজেকে বঙ্গবন্ধু ডিগ্রি কলেজের শিক্ষার্থী এবং ২৬ নং ওয়ার্ড ছাত্রলীগের কর্মী দাবি করেন।

ভুক্তভোগী মার্কেটিং বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী রুবেল কাজী বলেন, আমি তৃতীয় বিজ্ঞান ভবনের পাশ দিয়ে চ্যাটিং করতে করতে টুকিটাকির দিকে যাচ্ছিলাম। এমন সময় দ্রæত গতিতে একটি মোটর সাইকেল এসে থাবা দিয়ে আমার মোবাইল কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু আমার মোবাইলটি রাস্তায় পড়ে যায়। পরে তারা গ্রন্থাগারের রাস্তা হয়ে প্যারিস রোডের দিকে চলে যায়। বিষয়টি আমার বন্ধু ফেরদৌস কে জানিয়ে আমি মন্নুজান হলের দিকে দৌড়ে যাই। গিয়ে দেখি ছিনতাইকারী প্যারিস রোড ঘুরে এসে মন্নুজান হলের সামনে দাড়িয়ে আছে। এসময় তাদেরকে সক্ষম হন ফেরদৌস।

তাদের মধ্যে বাকবিতÐার এক পর্যায়ে ছিনতাইকারী বাঁশ দিয়ে ফেরদৌসকে মারতে গেলে উল্টো ওই বাঁশ দিয়েই ছিনতাইকারীকে মারধর করেন। পরে শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ রুনুর কাছে মোটর সাইকেলের চাবিটি গচ্ছিত রাখি।
তবে ছিনতাইয়ের কথা অস্বীকার করে মারধরের শিকার ফয়সাল উদ্দীন রাহাত বলেন, এখানে আমার এক বন্ধুর সাথে দেখা করতে এসেছিলাম। আমি মোটর সাইকেলে বসে অপেক্ষা করছিলাম। হঠাৎ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা এসে আমার মোটর সাইকেলের চাবি খুলে নেয়।

চাবি নেয়ার কারণ জানতে চাইলে ‘ছিনতাইকারীর সাথে কিসের কথা’ এই কথা বলে তারা আমাকে মারধর করতে শুরু করে। আমাকে কোন কথা বলার চান্স না দিয়ে আমাকে সবাই মিলে বাঁশ দিয়ে বেধরক মারধর শুরু করে। আমি কোনভাবেই ছিনতাইয়ের সাথে জড়িত নই।

জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর প্রফেসর লুৎফর রহমান বলেন, ছিনতাইয়ের চেষ্টাকালে এক বহিরাগতকে ধরা হয়েছে এমন কথা শোনার মতিহার থানা পুলিশ খবর দিই। পরে পুলিশ এসে তাকে ধরে নিয়ে যায়।

আপনার মন্তব্য লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষণ করুন

প্রকাশক ও সম্পাদক সম্পর্কে-

আমি মো. শফিকুল আলম শাহীন। আমি একজন ওয়েব ডেভেলপার ও সাংবাদিক । আমি পূর্বকণ্ঠ অনলাইন প্রকাশনার সম্পাদক ও প্রকাশক। আমি জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে ইতিবাচক। আমি করতে, দেখতে এবং অভিজ্ঞতা করতে পছন্দ করি এমন অনেক কিছু আছে। আমি আইটি সেক্টর নিয়ে বিভিন্ন এক্সপেরিমেন্ট করতে পছন্দ করি। যেমন ওয়েব পেজ তৈরি করা, বিভিন্ন অ্যাপ তৈরি করা, অনলাইন রেডিও স্টেশন তৈরি করা, অনলাইন সংবাদপত্র তৈরি করা ইত্যাদি।
জনপ্রিয়

পূর্বধলায় বণিক সমিতির সাথে উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীর মতবিনিময়

রাবিতে ছিনতাইকারীকে পুলিশে দিল ছাত্রলীগ

আপডেট : ০৩:৪১:০৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ অক্টোবর ২০১৯

মেহেদী হাসান,রাবি সংবাদদতা:

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে এক শিক্ষার্থীর মোবাইল ছিনতাইকালে এক বহিরাগতকে মারধর করে পুলিশে দিয়েছে শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মন্নুজান হলের সামনে এ ঘটনা ঘটে বলে জানা গেছে। মারধরের পর আহত অবস্থায় তাকে রামেকে ভর্তি করা হয়।

আটক হওয়া ফয়সাল উদ্দীন রাহাত মেহেরচন্ডী পূর্বপাড়ার রহিজ উদ্দীনের ছেলে। তিনি নিজেকে বঙ্গবন্ধু ডিগ্রি কলেজের শিক্ষার্থী এবং ২৬ নং ওয়ার্ড ছাত্রলীগের কর্মী দাবি করেন।

ভুক্তভোগী মার্কেটিং বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী রুবেল কাজী বলেন, আমি তৃতীয় বিজ্ঞান ভবনের পাশ দিয়ে চ্যাটিং করতে করতে টুকিটাকির দিকে যাচ্ছিলাম। এমন সময় দ্রæত গতিতে একটি মোটর সাইকেল এসে থাবা দিয়ে আমার মোবাইল কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু আমার মোবাইলটি রাস্তায় পড়ে যায়। পরে তারা গ্রন্থাগারের রাস্তা হয়ে প্যারিস রোডের দিকে চলে যায়। বিষয়টি আমার বন্ধু ফেরদৌস কে জানিয়ে আমি মন্নুজান হলের দিকে দৌড়ে যাই। গিয়ে দেখি ছিনতাইকারী প্যারিস রোড ঘুরে এসে মন্নুজান হলের সামনে দাড়িয়ে আছে। এসময় তাদেরকে সক্ষম হন ফেরদৌস।

তাদের মধ্যে বাকবিতÐার এক পর্যায়ে ছিনতাইকারী বাঁশ দিয়ে ফেরদৌসকে মারতে গেলে উল্টো ওই বাঁশ দিয়েই ছিনতাইকারীকে মারধর করেন। পরে শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ রুনুর কাছে মোটর সাইকেলের চাবিটি গচ্ছিত রাখি।
তবে ছিনতাইয়ের কথা অস্বীকার করে মারধরের শিকার ফয়সাল উদ্দীন রাহাত বলেন, এখানে আমার এক বন্ধুর সাথে দেখা করতে এসেছিলাম। আমি মোটর সাইকেলে বসে অপেক্ষা করছিলাম। হঠাৎ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা এসে আমার মোটর সাইকেলের চাবি খুলে নেয়।

চাবি নেয়ার কারণ জানতে চাইলে ‘ছিনতাইকারীর সাথে কিসের কথা’ এই কথা বলে তারা আমাকে মারধর করতে শুরু করে। আমাকে কোন কথা বলার চান্স না দিয়ে আমাকে সবাই মিলে বাঁশ দিয়ে বেধরক মারধর শুরু করে। আমি কোনভাবেই ছিনতাইয়ের সাথে জড়িত নই।

জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর প্রফেসর লুৎফর রহমান বলেন, ছিনতাইয়ের চেষ্টাকালে এক বহিরাগতকে ধরা হয়েছে এমন কথা শোনার মতিহার থানা পুলিশ খবর দিই। পরে পুলিশ এসে তাকে ধরে নিয়ে যায়।